মোহাম্মদপুরে পাইকারী বাজারে দাম কম থাকলেও খুচরা বাজারে পন্যের দাম বেশি

মোহাম্মদপুরে পাইকারী বাজারে দাম কম থাকলেও খুচরা বাজারে পন্যের দাম বেশি। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে ছোলা বুট নিয়ে কারসাজী পাইকারী বাজার থেকে খূচরা বাজারের দূরত্ব ১ মিনিট তবুও কেজি প্রতি ১৫-২০ টাকা বেশি।
এদিকে দাম বেড়েছে ফলের দাম আপেল প্রতি কেজি ২২০ টাকা থেকে ২৩০ টাকা আঙ্গুর ফল ২৮০, মালটা ২৩০ ড্রাগন ফল ৪৮০। বিভিন্ন পাইকারী ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন পাইকারী বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে দাম বেশি রাখেন সাধারণ ব্যবসীরা এতে করে অনেকেই এখন ফল কিনতে সাহস পাচ্ছেনা। খুচরা বাজারে সরকারের নজর দেওয়া উচিৎ বলে মনে করি। পাইকারী ফল বাজারের থেকে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেশি বিক্রি করেন খুচরা বিক্রি্তরা
এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে রমজানের নিত্যপণ্য নিয়ে কারসাজীর অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে ছোলা বুট নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে দাম বাড়িয়ে গুদামজাত করার অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এলাকা বহু পুরাতন একটি পাইকারী পণ্যের বাজার। চাল,ডাল,তেল থেকে শুরু করে সব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য এ মার্কেটের নাম-ডাক রয়েছে। পাইকারী এই বাজারের পাশেই রয়েছে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য খূচরা বাজার। পাইকারী বাজার থেকে যার দূরত্ব সর্বোচ্চ এক মিনিট। তবে, পাইকারী বাজার ঘুরে আড়ৎএর ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাশের খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা তাদের থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল,ডাল,তেল,পেঁয়াজ,রসুন,ছোলাসহ নানা রকম আইটেম পাইকারী দামে কিনে এনে ক্রেতাদের কাছে তা খূচরা দামে বিক্রী করা হয়। তবেঁ খুচরা বাজারে দাম বেশি রাখার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পাইকারী বাজার ঘুরে দেখা মেসার্স সূর্য এন্টারপ্রাইজ,খান এন্টারপ্রাইজ,পাবনা এন্টারপ্রাইজসহ বেশ কয়েকটি দোকান এসব নিত্যপন্য পাইকারী বিক্রী করে থাকে। সূর্য এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ জাহাঙ্গীর জানান,কৃষি মার্কেটের খূচরা বিক্রেতারা আমাদের কাছ থেকে ডাল,চিনি,তেল,ছোলা বুট,ময়দাসহ নিত্যপন্য পাইকারী দামে নিয়ে তা খূচরা বিক্রী করেন।
সামনে রমজান উপলক্ষ্যে ছোলা বুট,চিনি,তেল এগুলোর চাহিদাটা একটু বেশি। পন্যের মান ভেদে,ছোলা বুট আমরা ৭৪-৮২ টাকা করে বিক্রী করতেছি। ছোলার পাশাপাশি চিনি ১০৮ টাকা বিক্রী করতে হচ্ছে। তার মতো খান এন্টারপ্রাইজের মালিক আতাউর রহমান খান একই কথা জানালেন। কিন্তু, পাশেই থাকা মাত্র ১ মিনিটের রাস্তা পাড় হয়ে খূচরা বাজারে যেতে যেন চোখ কপালে ওঠলো। খূচরা বাজারে গিয়ে কথা হয় জোনাকি জেনারেল ষ্টোরের মালিকের সাথে। তিনি বলেন পাইকারী বাজারের দরের চেয়ে একটু বেশিই বিক্রি হয়। যে যেমন দামে পারছে বিক্রি করছে।
জলিল এন্টারপ্রাইজ নামে এক খূচরা মালামাল বিক্রেতা জলিল হোসেনের সাথে কথা হয়, তার দোকানে ছোলার দাম জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, দুই ধরনের ছোলা আছে তার দোকানে। একটার দাম ৮৯-৯০ টাকা। আরেকটার দাম ৯৫-১০০ টাকা। জলিল এন্টারপ্রাইজ ছাড়াও আরেক খূচরা বিক্রেতা আলী জেনারেল স্টোরের মালিক মোঃ আলীর সাথে কথা হয়। তিনিও জলিল এন্টারপ্রাইজের মালিকের মতোই দুই ধরনের ছোলা বুটের কথা জানান। তার দোকানে এক ধরনের ছোলার দাম ৯২-৯৮ টাকা। আরেকটির দাম ১০০- ১০৫ টাকা। তাদের মতো কৃষি মার্কেট খূচরা বাজার ঘুরে ২০-২৫ টি দোকান মালিকের সাথে কথা হয়। এ সময় তারাও ছোলা বুটসহ নিত্যপণ্যের এমন বেশি দামের কথা জানান। এছাড়াও, কৃষি মার্কেটের খূচরা বাজারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দেওয়া দামের তালিকার সাথে শাক-সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের দামের সাথে কোন মিল পাওয়া যায় নি।
রমজান উপলক্ষ্যে বাজার করতে আসা লাকী বেগম জানান, রোজা শুরু হওয়ার আগেই পাইকারী বাজার দর থেকে খুচরা বাজারে দাম একটু বেশিই। তিনি আরও বলেন আজকে বাজারে আসলাম ছোলা বুট কিনে নিয়ে যাবো। কিন্তু ছোলা কিনতে গিয়ে দেখি ৯৫-১০০ টাকা করে কেজি। যে ছোলা বুট শবে বরাতের আগে ৭০ টাকা করে কিনে নিয়ে গেছি। এর পাশাপাশি, বেসন এবং চিনির দামও লাগামহীন। আব্দুর রহীম নামের আরেক ক্রেতা জানান, সামনে রোজা। অথচ ছোলা বুট,চিনি, বেসন এগুলোর দাম যেহারে বাড়তে শুরু করেছে। দুইদিন পর এগুলো বাজারে খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা বলতে পারছি না। মানুষ মনে করবে রোজায় আরও দাম বাড়তে পারে। সেজন্য সবাই ইচ্ছেমতো কিনে বাসায় গুদাম বানাবে। কিন্তু আমরা যারা মধ্যবিত্ত,নিন্মমধ্যবিত্ত আছে তাদের কি অবস্থ হবে? এমনই প্রশ্ন করেন এই ক্রেতা তিনি বলেন ব্যবসায়ীরা সব কিছুর দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেট করে সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিয়া চাঁন সকালের সময় কে মুঠোফোনে বলেন আমি ব্যবসীদের বারবার বলেছি পাইকারী কেনা থেকে ২-৩ টাকা কেজি প্রতি লাভ করতে কিন্তু যাঁরা প্রতি কেজিতে ১০/১২ টাকা লাভ করে থাকেন তাদের টাকা হালাল হবে না। আমার অনুরোধ সাধারণ ক্রেতারা যেনো স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পারেন।
এবিষয় কৃষি মার্কেট কাজা বাজারের সভাপতি হাবিব উল্লাহ হাবুর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে,কেউ তার মোবাইল নাম্বার দিতে চায়নি। এই হাবু হচ্ছে ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ সলুর ছোট ভাই।
ক্রেতাদের অভিযোগ সিটি কর্পোরেশনের মূল্য তালিকা থাকলেও মনিটরিং নেই যে যার মত করে বিক্রি করে যাচ্ছে। বাজার কমিটি থাকলেও বাজার মূল্য নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
এমএসএম / এমএসএম

কৃষক লীগ নেতা মোজাজ্জেল ঢালী এখন স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ পেতে মরিয়া

আশুলিয়াকে "উচ্চ শিক্ষা নগরী" গড়তে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের একসাথে পথচলা

কোতোয়ালী থানা প্রেসক্লাবের জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন: সাংবাদিক সমাজে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস

মেহনতী ও শ্রমজীবী মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজপথের নির্ভীক সৈনিক আব্বাস আলী: জয়পুরহাট-২ এ পরিবর্তনের প্রত্যাশা

ইসলামী ক্যাটাগরিতে সেরা অভিনেতার সম্মাননা পেলেন শিশু শিল্পী নাহিদুল ইসলাম

গঠনতন্ত্র ও আরপিও অনুযায়ী কাউন্সিলে নির্বাচিত বৈধ নেতৃত্ব লাঙ্গল প্রতীকের মালিক

মাদকবিরোধী অভিযান, ব্যাপক পরিবর্তন গেন্ডারিয়া এলাকায়

জেএসএস এর নবনির্বাচিত যুগ্ম মহাসচিব শোয়েব রহমান

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রুহুল আমিন গাজীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মন্দির পরিদর্শনে ঢাকা গেন্ডারিয়া থানার ওসি, পূজাকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার আশ্বাস

রূপনগর থানার নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মোরশেদ আলমের যোগদান
Link Copied