ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল

গজারিয়া - মুন্সিগঞ্জের সাথে দ্রুত যোগাযোগ ও দুরত্ব কমিয়ে আনার লক্ষে গত ৯ই নভেম্বর পূনরায় চালূ করা হয় তিনটি ফেরি। তবে যানবাহন স্বল্পতার কারনে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়।
সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার গজারিয়া - মুন্সিগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় , ফেরি স্বর্ণচাপা , সন্ধা মালতি আর কর্ণফুলি ঘাটে নোঙ্গর অবস্থায় রয়েছে। সারাদিনে ১/২ বার ফেরি মুন্সিগঞ্জ ( চর কিশোর গঞ্জ) ঘাট থেকে গজারিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। যানবাহন স্বল্পতার কারনেই এই রুটে তিনটি ফেরি যেন অলস সময় পাড় করছেন।
ফেরি চালক মাস্টার শাহিন জানান , সারাদিনে ১/২ বার এপাড় ওপার ট্রিপ দিয়ে থাকি। এদিকে যানবাহন চলাচল খুব কম। যানবাহন যদি না আসে তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই। প্রায় সময় ভিআইপিদের পাড়াপাড় করতে হয়।
অভিযোগ করে স্থানীয়রা জানান , আমরা এ রুটে প্রতিনিয়ত গাড়ি চালিয়ে থাকি। মুন্সিগঞ্জ থেকে গজারিয়া সরাসরি যাত্রীসহ গাড়ি পাড়াপাড়ে দীর্ঘ সময় ফেরিতে বসে থাকতে হয়। তাছাড়া বেশি পরিমান যানবাহন না হলে ফেরিও ছেড়ে যায় না। তবে ভিআইপি কোন গাড়ি আসলে ফেরি চলাচল করে বলে অভিযোগ তাদের।
ফেরির বিকল্প হিসেবে দীর্ঘদিন এই নৌ-রুটে ট্রলার চলাচল করে আসছে। যা এখনো চলমান আছে। প্রতিদিন প্রায় ২০/৩০ টি ট্রলার এখানে চলাচল করে থাকে। স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ট্রলার পাড়ি দিয়ে যাতায়াত করে আসছে। প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থী জানান , আমরা ফেরি ছেড়ে যাওয়ার সঠিক সময় জানি না। কখন আসবে , আর কখন ছেড়ে যাবে তার জন্য তো আর বসে থাকলে হবে না। বাধ্য হয়ে আমরা ট্রলারে পাড়াপার হয়ে থাকি।
কুমিল্লা থেকে মোটরসাইকেলে করে আসা রেদওয়ান ( ২৮) গজারিয়া ফেরিঘাটে ট্রলার থেকে তার মোটরসাইকেল সহ নামছেন। তিনি জানান , এখানে ফেরি চলাচল করে শুনেছি। তবে ঔপারে ফেরির জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। তবে কখন ছেড়ে যাবে সেটা জানতাম না। তাই বাধ্য হয়ে ঝুকি নিয়ে ৩০০ টাকা দিয়ে ট্রলারে পাড় হচ্ছি।
এ দিকে ২০১৮ সালের ৩ জুন প্রথমবারের মত এই রুটে ফেরি চলাচল শুরু করে। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ৪ বছর পর সেই ঘটনার পূনরাবৃত্তি হবে কিনা এমন প্রশ্ন জনমনে বিরাজ করছে।এদিকে সুশিল সমাজের ব্যাক্তির্বগরা বলছেন , দক্ষিনবঙ্গ গামি প্রতিটি যানবাহন যদি এই পথটি ব্যবহার করে রাজধানী ও অন্যান্য এলাকায় আসা যাওয়া করে তাহলে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধিও আশংকা রয়েছে। তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের প্রচার প্রচারনা চালানো যেতে পারে। তাহলেই গজারিয়া মুন্সিগঞ্জ নৌ রুট জমজমাট হবাব সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে নৌ পরিবহন কর্পোরেশন ফেরি সার্ভিস ইউনিট এর ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) শিহাব উদ্দিন জানান , আমরা পূনরায় ফেরি চালু করার সময় প্রচারনার স্বাথ্যে প্রতিটি নিউজ চ্যানেল এবং স্থানীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন করিয়েছে। তাছাড়া বাস মালিকরা যদি তাদের বাস চলাচলে আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে আমরাও তাদের সঠিক সময় জানিয়ে দিবো এবং পাড়াপার করবো। আর ভাড়ার বিষয়ে চালকরা দাবি জানালে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো।
এমএসএম / এমএসএম

পিরোজপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৫ উদযাপন

বিএনপি সরকার গঠন করলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ডিজিটাল মন্দির নির্মাণ করা হবে — খন্দকার নাসিরুল ইসলাম

বকশীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

বাকেরগঞ্জে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুরে ৪৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের পরিবার পেল ২৫ লাখ টাকা

ঈশ্বরদীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

সাটুরিয়ায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

মেহেরপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আত্রাইয়ে গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ৫ টি গরু চুরি

কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ডিজিটাল লার্নিং সেন্টার উদ্বোধন
