মোহাম্মদপুরে চাঞ্চল্যকর নবী হোসেন হত্যার ৪ আসামি ৪৮ ঘন্টায় গ্রেফতার

নবী হোসেন কে হত্যার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ, আজ সোমবার ১০ এপ্রিল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিসি তেজগাঁও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বলেন,চারজন আসামির মধ্যে একজনের স্ত্রীর দিকে কু-নজহর দেওয়া এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে,ধারণা করা হচ্ছে, আসামিদের জিজ্ঞসায়ও এমনই আবাস পাওয়া গেছে, আসামিদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
গত ৪ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তুরাগ নদী থেকে লেগুনার লাইনম্যান নবী হোসেনের (৩২) গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন করেছে ডিএমপি পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।পুলিশ বলছে, নবী হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এরপর লাশ তুরাগ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় নিহতের ভাই অপহরণ হত্যা ও লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন মোহাম্মদপুর থানায়।
মামলার তদন্তে নেমে হত্যায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। হত্যা জড়িত মো. মাহিকে কেরাণীগঞ্জ, দীপুকে বসিলা, মো. কবিরকে মিরপুর পল্লবী ও মো. ইমরানকে সিলেটের ওসমানী নগরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নবী হোসেন হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক গণমাধ্যম কর্মীদের জানান। তিনি বলেন, নিহত নবী হোসেন মোহাম্মদপুরের বেড়িবাধে চলাচল করা লেগুনার লাইনম্যান ছিলো। একই এলাকার কবিরের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয়। তবে লেগুনার চাঁদা ও নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে কবিরের স্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য ও কুনজর দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে কবির। পরবর্তীতে কবিরের পরিকল্পনায় চূড়ান্ত হয় নবীকে হত্যার সিদ্ধান্ত। গত ৪ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে মোহাম্মদপুর থানার বসিলা হাউিজংয়ের চল্লিশ ফিট রোডের শেষ মাথায় তুরাগ নদীর পাড়ে আসামিরা নবীকে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে ১০ টি ঘুমের ওষুধ মদের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে আসে। নদীর পাড়ে ওয়াক ওয়েতে বসে নবীকে মদ পান করায়। মদ পান করার কিছুক্ষণ পর নবী অচেতন হয়ে পড়লে ঘাতকরা ওয়াক ওয়ের নিচে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে প্রধান আসামি কবির নিহত নবীর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। একপর্যায়ে আসামী ইমরান সঙ্গে আনা ধারালো ছুরি দিয়ে ননবীর গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে কবির লাশটি তুরাগ নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
ডিসি আজিমুল হক বলেন, লাশ উদ্ধারের ঘটনার ৩ দিন পর নিহতের বড় ভাই একটি মামলা দায়ের করলে তদন্তে নামে পুলিশ। হত্যায় জড়িতদের সনাক্ত করতে বসিলা ও এর আশপাশের এলাকার দুই শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যাকরীদের সনাক্ত করা হয়। আসামিরা ঘটনার পর থেকে রাজধানীরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আত্মগোপন করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মামলা দায়েরে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চারজনকে'ই গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিসি বলেন, হত্যার ঘটনায় স্ত্রীর দিকে আপত্তিকর মন্তব্য কু নজর দেওয়ায় নবী হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। তবে এর বাইরেও কোনো বিষয় আছে কি না সেটি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
এমএসএম / এমএসএম

কৃষক লীগ নেতা মোজাজ্জেল ঢালী এখন স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ পেতে মরিয়া

আশুলিয়াকে "উচ্চ শিক্ষা নগরী" গড়তে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের একসাথে পথচলা

কোতোয়ালী থানা প্রেসক্লাবের জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন: সাংবাদিক সমাজে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস

মেহনতী ও শ্রমজীবী মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজপথের নির্ভীক সৈনিক আব্বাস আলী: জয়পুরহাট-২ এ পরিবর্তনের প্রত্যাশা

ইসলামী ক্যাটাগরিতে সেরা অভিনেতার সম্মাননা পেলেন শিশু শিল্পী নাহিদুল ইসলাম

গঠনতন্ত্র ও আরপিও অনুযায়ী কাউন্সিলে নির্বাচিত বৈধ নেতৃত্ব লাঙ্গল প্রতীকের মালিক

মাদকবিরোধী অভিযান, ব্যাপক পরিবর্তন গেন্ডারিয়া এলাকায়

জেএসএস এর নবনির্বাচিত যুগ্ম মহাসচিব শোয়েব রহমান

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রুহুল আমিন গাজীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মন্দির পরিদর্শনে ঢাকা গেন্ডারিয়া থানার ওসি, পূজাকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার আশ্বাস

রূপনগর থানার নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মোরশেদ আলমের যোগদান
Link Copied