ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫

মুন্সিগঞ্জে পিতাকে হত্যার দ্বায়ে ছেলে গ্রেফতার


তোফাজ্জল হোসেন শিহাব, মুন্সীগঞ্জ photo তোফাজ্জল হোসেন শিহাব, মুন্সীগঞ্জ
প্রকাশিত: ১১-৪-২০২৩ বিকাল ৫:২৯

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে বাবাকে হত্যার অভিযোগে জড়িত তিন ছেলের মধ্যে দুই ছেলেকে গ্রেফতার করেছে মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ । এ নিয়ে ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান, জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান আল মামুন ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় , পারিবারিক কলহের জের ধরেই ৯ এপ্রিল উক্ত হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটে।  নিহত ব্যক্তির নাম মো.নুরুল ইসলাম  হাওলাদার (৪৭)। তিনি আদারা ইউনিয়নের ভাষানচর মিজিকান্দি এলাকার প্রয়াত সুবেদ আলীর ছেলে।পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রী ছিলেন। নুরুল ইসলামের স্ত্রীর নাম তাছলিমা বেগম। এ দম্পতির পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

৯ এপ্রিল সকালে স্বামি নুরুল ইসলাম হালদারের সাথে তার স্ত্রী তাসলিমা বেগমের মাঝে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে নুরুল ইসলাম তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম কে মারধর করে।মারধরের এক পর্যায়ে তাসলিমা বেগম মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তার মেয়ের বাসায় চলে যায় । এ ঘটনায় বাবার প্রতি  ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল ইসলামের বড় ছেলেরা  তাকে ( পিতাকে ) মারধোর করার জন্য খোঁজাখুঁজি করে। সোমবার রাত ৩ টায় নুরুল ইসলামের বড় ছেলে মো. সুমন , রাসেল ও মো. আলি মিলে তার বাবা নুরুল ইসলামের উপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে । বড় ছেলে সুমন হালদার প্রথমেই তার বাবাকে মাথায় কোপ দেয় । দুই ছেলে মো. আলি ও রাসেলের সহযোগীতায় নৃসংশ ভাবে নুরুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে।

এ দিকে হত্যা কান্ডকে মিথ্যে নাটক সাজানোর চেষ্টা করে তার তিন ছেলে। পিতা নুরুল ইসলামের নিজস্ব মাছ ধরার নৌকা আর জাল নিয়ে নদীতে যাওয়ার নাটক সাজায় তারা। জলদস্যুরা মেরে ফেলেছে বলে চিৎকার চেচামি করে এক পর্যায়ে জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয় নুরুল ইসলামকে। জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে।

এ ঘটনায় অভিযোগের সুত্র ধরে তাৎক্ষনিক তদন্তে নামে জেলা পুলিশ ।মৃত নুরুল ইসলামের বসত ঘরের খাট থেকে রক্তের আলামত সহ বিভিন্ন আলামত পুলিশের সন্দেহের নজরে আসে। নুরুল ইসলামের ছোট ছেলের সাথে কথা বলে এবং মাছ ধরার নৌকায় রক্তের কোন আলামত না থাকায় ঘটনাটি সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে  নিশ্চিত করে পুলিশ। তাৎক্ষনিক বড় ছেলে সুমন ও মো. আলিকে গ্রেফতার করা হয়।

এ দিকে মৃত নুরুল ইসলাম হত্যা কান্ডের ঘটনায় তার বোন হামিদা বেগম বাদি হয়ে থানায় মামলা করে। নিহতের বোন হামিদা বেগম বলেন, আমার ভাই একজন কাঠমিস্ত্রি। সে কখনো মাছ ধরতেন না। তাঁকে হত্যা করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মাছ ধরার কথা বলা হচ্ছে। আমার ভাইকে আমার ভাতিজারা তাঁদের মামাদের সহযোগিতা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। 

গ্রেফতার হওয়া সুমন ও মুক্তার আলি পুলিশের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানা যায়। এক ছেলে রাসেল কে গ্রেফতারের চেস্টা চলছে  বলে জানা যায়। চাঞ্চল্যকার এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ১৭ ঘন্টার মধ্যে উন্মোচিত করেছে জেলা পুলিশ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ) আদিবুল ইসলাম , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) থান্দার খাইরুল ইসলাম , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ডিএসবি) ইয়াসিনা ফেরদৌস , সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুজ্জামানসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্য , প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা।

এমএসএম / এমএসএম

পিরোজপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৫ উদযাপন

বিএনপি সরকার গঠন করলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ডিজিটাল মন্দির নির্মাণ করা হবে — খন্দকার নাসিরুল ইসলাম

বকশীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

বাকেরগঞ্জে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুরে ৪৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের পরিবার পেল ২৫ লাখ টাকা

ঈশ্বরদীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

সাটুরিয়ায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

মেহেরপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আত্রাইয়ে গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ৫ টি গরু চুরি

কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ডিজিটাল লার্নিং সেন্টার উদ্বোধন

কাপাসিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত