ঢাকা বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫

ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির কমিটি বানিজ্যে বাকযুদ্ধ


নিজাম উদ্দিন photo নিজাম উদ্দিন
প্রকাশিত: ৩০-৮-২০২৩ দুপুর ৪:৬

ঢাকা মহানগর উত্তরের কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে প্রতিনিধি সভায় প্রকাশ্যে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। দুই নেতার বাকবিতণ্ডতায়  সভায় উপস্থিত নেতারা এতে হতবিম্ভত হয়ে পড়েন। তাদের দুজনের অনুসারীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগানও দিতে থাকেন সে-সময়। এতে হলরুমে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রতিনিধি সভায় এ ঘটনা ঘটে বলে বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া যায়।  কমিটির শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে বিতণ্ডাতা চলে প্রায় ২০ মিনিট ধরে। পরে উপস্থিত নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এবিষয় শেখ বজলুর রহমান সকালের সময়কে বলেন,এটা একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে, তবেঁ এস এম মান্নান কচি যেটা বলেছেন এটা মোটেই ঠিক ছিল না । সভাপতির স্ত্রীর বিষয় যে কথাটি জনসভায় বলা হয়েছে, এ বিষয় শেখ বজলুর রহমান বলেন আমার স্ত্রী কে, এখনও কেউ  তেমন চিনেন না তাকে নিয়ে কথা বলা ঠিক হয়নি বলে আমি মনে করি।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি তিনি আমার কাছে ছোট ভাইয়ের মত তাই তারা ভুল করতেই পারে এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কমিটি না হওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি সকালের সময়কে বলেন, জাতীয় নির্বাচন না হাওয়ার আগে এখন আর কমিটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে হয়। সভাপতি মুঠোফোনে আরও বলেন আমি আমার ব্যর্থতা স্বীকার করি, যেহেতু সময়মত কমিটি দিতে পারি নাই। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের ব্যর্থতা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এবং ফারুক খানকে কমিটির বিষয় খোঁজখবর নিয়ে দায়িত্ব দিয়েছেন তারা হয়তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে কমিটি করার বিষয়টি আলোচনা করবে । তবে নির্বাচনের পরে হয়তো ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। 

গত সোমবার,, প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সকালের সময়কে, মুঠোফোনে  এ বাগবিতণ্ডার ঘটনা স্বীকার করেছেন,এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের কমিটি না হওয়ায় এটা কে, এক ধরনের নগর নেতাদেরই দোষারোপ করেন। তারা জানান, সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি সভাস্থল ত্যাগ করার পর মান্নান কচি ও শেখ বজলুর রহমান বাক- বিতর্কে জড়ায়। 
সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, প্রতিনিধি সভা চলাকালে হঠাৎ শেখ বজলুর রহমান ও এস এম মান্নান কচির মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। 

এ সময় সাধারণ সম্পাদক কচি সভাপতির বজলুর মানের উদ্দেশ্য বলে ওঠেন,,আপনি তো কমিটিতে বাণিজ্য করার জন্য লোক রেখে দিয়েছেন। আপনার লোক দিয়ে কমিটি বাণিজ্য করাচ্ছেন। কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগে প্রকাশ্যে কচি-বজলুর বিতণ্ডা ছড়িয়ে পরে পুরো অনুষ্ঠানে, এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের ভিতরে স্লোগান দেওয়া হয়। নিজ নিজ নেতার নামে। দলীয় সূত্র বলছেন, এস এম মান্নান কচি মূলত সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের অনুগত। কিন্তু মান্নান কচি বলে উঠেন, একজন সাংগঠনিক সম্পাদককে ইঙ্গিত করে কথাগুলো বলেন। তিনি একপর্যায়ে সেই নেতার নাম ধরে সভাপতি তাকে দিয়ে কমিটি বাণিজ্য করেছেন বলে সরাসরি অভিযোগ তোলেন মান্নান কচি। 

অন্য এক সূত্রে জানা যায়,সাধারণ সম্পাদকের এমন প্রকাশ্য অভিযোগের জবাবে সভাপতি শেখ বজলুর রহমানও বলে উঠেন,আপনি তো কমিটিতে মাস্তান রেখে দিয়েছেন মাস্তানি করার জন্য। এটা বন্ধ করুন।

পরে কচি সভাপতির উদ্দেশে আরও বলেন, ‘আপনি তো আপনার বউকেও কমিটি বাণিজ্যে নামিয়েছেন। কাফরুলে একজনকে নেতা বানিয়েছেন। সে তো নেতার হওয়ার পর থেকে লাপাত্তা। কোনো প্রোগ্রামে আসেন না। সব বিষয়ে জানি। কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগে প্রকাশ্যে কচি-বজলুর বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই নেতাই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তাদের দুজনের মধ্যেই আরও কিছুক্ষণ উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। সে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে তাদের সমর্থক-অনুসারীদের মধ্যেও। তারা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকেন নিজ নিজ নেতার পক্ষে। পরে উপস্থিত নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। উপস্থিত নেতারা সকালের সময়কে মুঠোফোনে বলেন,  মহানগরের থানা পর্যায়ে এমন কিছু ঘটলে কোথায় আমাদের সমাধান দিবেন অথচ তারাই দুজন বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন এটা আমরা আশা করিনা। দুঃখজনক ঘটনা। 

সভায় ঢাকা মহানগরের উত্তরের অধীনে প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। দুই নেতার বাকবিতণ্ডায় তারাও মনঃক্ষুণ্ণ হন তারা।

সূত্রে আরও জানা যায়, আগামী ৩০ আগস্ট ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভার কার্ড বিতরণ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এই প্রতিনিধি সভা আহবান করেছিল। সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষ করে সভাস্থল ত্যাগ করার পর কার্ড বিতরণের সময় এই বাগবিতণ্ডায় জড়ান মহানগর উত্তরের এই দুই আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা।

এমএসএম / এমএসএম

ভক্ত-দর্শনার্থীদের আবেগে মুখরিত উত্তরা সার্বজনীন মন্দির প্রাঙ্গণ

কৃষক লীগ নেতা মোজাজ্জেল ঢালী এখন স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ পেতে মরিয়া

আশুলিয়াকে "উচ্চ শিক্ষা নগরী" গড়তে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের একসাথে পথচলা

কোতোয়ালী থানা প্রেসক্লাবের জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন: সাংবাদিক সমাজে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস

মেহনতী ও শ্রমজীবী মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজপথের নির্ভীক সৈনিক আব্বাস আলী: জয়পুরহাট-২ এ পরিবর্তনের প্রত্যাশা

ইসলামী ক্যাটাগরিতে সেরা অভিনেতার সম্মাননা পেলেন শিশু শিল্পী নাহিদুল ইসলাম

গঠনতন্ত্র ও আরপিও অনুযায়ী কাউন্সিলে নির্বাচিত বৈধ নেতৃত্ব লাঙ্গল প্রতীকের মালিক

মাদকবিরোধী অভিযান, ‎ব্যাপক পরিবর্তন গেন্ডারিয়া এলাকায়

জেএসএস এর নবনির্বাচিত যুগ্ম মহাসচিব শোয়েব রহমান

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রুহুল আমিন গাজীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মন্দির পরিদর্শনে ঢাকা গেন্ডারিয়া থানার ওসি, পূজাকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার আশ্বাস