ঢাকা বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫

কৃষি মার্কেটে আগুন: কয়লার সঙ্গে মিশে গেছে স্বর্ণ, বস্তায় ভরে বস্ত্র রক্ষার চেষ্ট ব্যবসায়ীদের


নিজাম উদ্দিন photo নিজাম উদ্দিন
প্রকাশিত: ১৪-৯-২০২৩ রাত ১১:১২

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার কৃষি মার্কেটে লাগা আগুনে আড়াই শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সবাই পোড়া ছাইয়ের স্তুপ উল্টেপাল্টে  মূল্যবান সামগ্রী খোঁজার চেষ্টা করছেন। তবে একটি দোকানের ব্যবসায়ী ও তার কর্মচারীদের ভিন্নতা দেখা গেলো।

কৃষি মার্কেটের গ সিরিয়ালের ৭৭ নম্বর দোকান। হক জুয়েলার্স নামের এই দোকানটির মালিক ও তার কর্মচারীরা আগুনে পুড়ে যাওয়া কয়লা সাবধানতার সঙ্গে বস্তায় ভরে রাখছেন।
কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দোকানে কয়েক কোটি টাকার স্বর্ণ ও গহনা ছিলো। আগুনের তীব্রতার কারণে দোকানের কাছাকাছি আসার সুযোগ হয় নি। তাই বন্ধ দোকানের ভেতরে থাকা সকল স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র পুড়ে একাকার হয়ে গেছে। তাই তারা সব কিছুই বস্তায় ভরে সংরক্ষণ করছেন।

হক জুয়েলার্সের দোকানটির মালিক মোহাম্মদ আলী ও মিজানুর রহমান নামের দুই ভাই। দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। গত সাত বছর আগে তারা কৃষি মার্কেটের এই দোকানটি ভাড়া নেন। এর আগে বসুন্ধরা শপিং মলসহ বিভিন্ন মার্কেটে তাদের দোকান ছিলো।

বস্তায় ভরে রাখা কয়লার স্তুপের ওপরে বসে মিজানুর রহমান সকালের সময়কে বলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় গেলাম। রাত চারটার দিকে খবর পেলাম মার্কেটে আগুন লেগেছে। দৌড়ে এসে দেখি আগুন আর প্রচুর ধোঁয়া। এই ধোঁয়ার কারণে দোকানের কাছেও আসতে পারি নি। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন সেই ছাই বস্তায় ভরে রক্ষার চেষ্টা করছি। আর তো কিছুই করার নেই।

কত টাকার স্বর্ণ ছিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আনুমানিক ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকার স্বর্ণ ও গহনা ছিলো। নিজেদের পাশাপাশি কাস্টমারদের অনেক গহনা ছিলো। সহ এখন কয়লা আর ছাইয়ের সঙ্গে মিশে গেছে।

পাশের আরেক দোকানী চন্দ্রবিন্দু ফ্যাশনের মালিক কবির হোসেন বলেন, দোকান থেকে আমার বাসা মাত্র এক মিনিট দূরে। তারপরও এসে কিছু রক্ষা করতে পারি নি। আমার অন্তত ৫০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।

দোকানের সামনের ফুটপাত ও রাস্তায়  অবৈধ দোকানের কারণে ব্যবসায়ীরা মালামাল সরিয়ে নিতে পারেনি উল্লেখ করে এই ব্যবসায়ী বলেন, আমরা লাখ লাখ টাকা পুজি খাটিয়ে ব্যবসা করি। আর মার্কেটের কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে আমাদের দোকানের সামনের ফুটপাত ও রাস্তায় দোকান বসায়। আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারি না। কিছু বললে আর ব্যবসা করতে পারবো না।এই সব দোকানের কারণে স্বাভাবিক সময়েও চলাচল করা যায় না। আগুনের পরে অনেক ব্যবসায়ী দোকান থেকে মালামাল বের কর‍তে পারেনি। রাস্তাটা ক্লিয়ার থাকলে আরও বেশি মালামাল রক্ষা করা যেতো।

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।ফায়ার সার্ভিসের ১৭ ইউনিটের প্রায় ৬ ঘন্টার  চেষ্টা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে৷ যদিও সন্ধ্যা পর্যন্তও বিভিন্ন দোকানে আগুন জ্বলছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়ে, মার্কেটে ৩৬৫ টি বৈধ দোকান ছিলো। তবে ফায়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বারবার নোটিশ দেওয়ার পরেও আমলে নেন নি মার্কেটের দোকান মালিক সমিতি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি।

এমএসএম / এমএসএম

ভক্ত-দর্শনার্থীদের আবেগে মুখরিত উত্তরা সার্বজনীন মন্দির প্রাঙ্গণ

কৃষক লীগ নেতা মোজাজ্জেল ঢালী এখন স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ পেতে মরিয়া

আশুলিয়াকে "উচ্চ শিক্ষা নগরী" গড়তে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের একসাথে পথচলা

কোতোয়ালী থানা প্রেসক্লাবের জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন: সাংবাদিক সমাজে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস

মেহনতী ও শ্রমজীবী মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজপথের নির্ভীক সৈনিক আব্বাস আলী: জয়পুরহাট-২ এ পরিবর্তনের প্রত্যাশা

ইসলামী ক্যাটাগরিতে সেরা অভিনেতার সম্মাননা পেলেন শিশু শিল্পী নাহিদুল ইসলাম

গঠনতন্ত্র ও আরপিও অনুযায়ী কাউন্সিলে নির্বাচিত বৈধ নেতৃত্ব লাঙ্গল প্রতীকের মালিক

মাদকবিরোধী অভিযান, ‎ব্যাপক পরিবর্তন গেন্ডারিয়া এলাকায়

জেএসএস এর নবনির্বাচিত যুগ্ম মহাসচিব শোয়েব রহমান

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রুহুল আমিন গাজীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মন্দির পরিদর্শনে ঢাকা গেন্ডারিয়া থানার ওসি, পূজাকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার আশ্বাস