মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে কাজ করছেন মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ
মাদক,চুরি ছিনতাই কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ। মাদক চুরি ছিনতাই কিশোর গ্যাংদের ছাড় নেই,যেখানেই অপরাধের তথ্য পাওয়া যাবে সেখানেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহফুজ হক ভূঁইয়া।
তিন মাসে, গাঁজা উদ্ধার ২৫ গেজি ৬৫০ গ্রাম। হেরোইন উদ্ধার ৫১৯.১২ গ্রাম। ইয়াবা উদ্ধার ৩ থেকো ৪ হাজার পিস। একাধিক মাদক মামলার আসামি এবং চুরি ছিনতাইকারী গ্রেফতার হয়েছে। গত তিন মাসে শুধু জেনেভা ক্যাম্পেই মাদকের মামলা হয়েছে ৮৩ টি গ্রেফতার হয়েছে ১৬৫ জন।
যেখানে ভয় ,সংকোচ, দ্বিধা ,মানবতা ক্ষমতা অধিপত্য চাঁদাবাজি সন্ত্রাস মাদক তাদের জীবনের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। তারা হচ্ছে ৭১ সালে যুদ্ধের সময় আটকে পড়া পাকিস্তানি জনগোষ্ঠী। তারা প্রায় ৪৮ হাজারের মত বাসিন্দারা মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে বসবাস করে থাকেন। কিন্তু তাদের অধিকাংশই মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এমন কোন মাদকদ্রব্য নেই যা এখানে মিলতো না, ঢাকার যে কয়েকটি মাদকের স্পট রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জেনেভা ক্যাম্প কিন্তু বর্তমান আইনশৃঙ্খলার অভিযানে এখন অনেকটাই মাদক নিয়ন্ত্রণের পথে এই ক্যাম্পটি।
মাদকের প্রবেশ ও বিক্রির দায়ে পুলিশ র্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধেও শুধু মোহাম্মদপুর ১০ থেকে ১৫ বছরে নিহত হয়েছেন প্রায় একাধিক। কিন্তু ২০২৩ সাল একটু ভিন্ন ২০২১ সালের পর থেকে ২০২৩ সালের চলতি মাস পর্যন্ত বন্দুকযুদ্ধে একজনও মারা যাওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের সড়কে পুলিশের কড়া তল্লাশি চৌকি বা চেকপোস্ট রয়েছে, এসব চেকপোস্ট বা তল্লাশি চৌকি পেরিয়ে প্রবেশ করে মরণ নেশা সব ধরনের মাদক। অভিযানও হচ্ছে গ্রেফতার ও হচ্ছে একাধিক,প্রতিদিনই চলছে অভিযান। কেউই চায়না সমাজে মাদক থাকুক,সবাই চায় একটি সুন্দর সমাজ,নীল-সবুজের মাঝেই বেড়ে উঠুক নতুন প্রজন্ম। মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহাফুজুর রহমান ভুঁইয়া এ বিষয় বলেম,একসময় জেনেভা ক্যাম্প মাদক কারবারিদের নিয়ন্ত্রণে ছিল , প্রতি নিয়তই অধিপত্য বিস্তারের জন্য মাদক বিক্রেতারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তো। ক্যাম্পের ভিতর স্থানীয় বাসিন্দারা থেকে শুরু করে সাধারণ ক্যাম্পবাসিরা আতঙ্কে থাকতো। স্থানীয় আশপাশের অনেক ব্যক্তিরাই আছেন যারা ভয়ে আতঙ্কে ক্যাম্পের আশপাশে হাঁটাচলা নিরাপদ মনে করত না। কিন্তু এখন আর সেরকম দেখবেন না,আমরা ওই সব স্থানে কিছু চৌকস এবং সাহসী অফিসার ডিউটি দিয়েছি। এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তিনি আরও বলেন শতভাগ মাদক নির্মূল করা হয়ত সম্ভব না। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব তার প্রমাণ হচ্ছে নিয়মিত অভিযান করে চিহ্নিত মাদককারবারিদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আজিজুল হক বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। বিশেষত জেনেভা ক্যাম্পের এরিয়া গুলোতে চৌখস সৎ এবং সাহসী কিছু পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি তারা দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করছেন, ক্যাম্পের বর্তমান চিত্রটা অনেক অংশেই পরিবর্তন করতে পেরেছি বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। সরকারের যে ঘোষণা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা আমাদের অব্যাহত আছে।
এসপিজিআরসির) প্রেসিডিয়াম মেম্বার শওকত আলী সহ তার সংগঠনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা জানান সারা দেশে যতগুলি ক্যাম্প আছে সব ক্যাম্পেই কম বেশি মাদকের প্রভাব রয়েছে, এক ক্যাম্পের মাদক কারবারিদের সাথে অন্য ক্যাম্পের মাদক কারবারিদের প্রতিনিয়তই যোগাযোগ রয়েছে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে। মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে বর্তমান সময় মাদকের অভয়ারণ্য থেকে কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের যেনো পুর্নবাসন করে দেন।
জেনেভা ক্যাম্পের দায়িত্ব রত বিট ইনচার্জ বলেন, মাদকের হাতছানি সারাদেশে, শুধু শহরে নয় গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে। মাদকের বিষাক্ত ছোবলে শেষ করে দিচ্ছে তারুণ্যের শক্তি ও সম্ভাবনা।
সর্বনাশা মাদক ধ্বংস করে একটি মানুষের শরীর মন জ্ঞান বিবেক ও তার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা তার পরিবারের সব স্বপ্নকে এবং তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎকে। শুধু পরিবারকে নয়, মাদকের কালো থাবা ধ্বংস করে একটি সমাজকেও। মাদক নির্মুলে সরকারের যে ঘোষণা রয়েছে মাদকের বিষয় জিরো টলারেন্স তা বাস্তবায়ন করাই আমাদের উদ্দেশ্য।
স্থায়ীন জেনেভা ক্যাম্পের দোকানীরা বলেন,আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পুলিশ প্রশাসন কে সাধুবাদ জানাচ্ছি বর্তমান সময় তারা যেভাবে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করছেন। এভাবে চললে হয়তো আমরা আবারও একটি মাদক মুক্ত জেনেভা ক্যাম্প পাবো। কোনো এক সময় এই ক্যাম্পে কোনো মাদক নামের কিছুই ছিলোনা,আমাদের বসবাস আয়তন ছোট আকারে হলেও মাদকের অধিপত্য ছিলো না।
তারা আরও বলেন, এই ক্যাম্পে ৮০ দশকের মাঝামাঝি মাদকের প্রবেশ ঘটে তখন শুধু ফেনসিডিল বিক্রি হতো।এখন বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি হয় এই ক্যাম্পে। তবেঁ এখন অনেকটা কমতে শুরু করছে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে।
এমএসএম / এমএসএম
তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ এর অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত
ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত
কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত
পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার
ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা
Link Copied