ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে হাইমচরে আমন ও শীতকালীন সবজির ক্ষয়ক্ষতি
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে আমন ফসল ও আগাম শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বঙ্গপসাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত টানা বৃষ্টি ও প্রচণ্ড বাতাসে উপজেলার ৬ ইউনিয়নের আমন ধান, শীতের আগাম সবজি চাষ, ফলজ, বাগানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। পাকাধান ও আধাপাকা ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ায় কৃষকেরা এখন দিশেহারা।
উপজেলার দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের কৃষক হাসেম মিজি, জাকির শেখ, ইব্রাহিম শেখসহ আরও অনেকে জানান, এবছর শুরুর দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষাবাদে অনেক ভালো ফলন হয়েছিল । কিন্ত ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে অধিকাংশ ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের দক্ষিণ আলগী, চরভাঙ্গা, পূর্ব চর কৃষ্ণপুর, লক্ষ্মীপুর, নয়ানী, লামছড়ি এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় এর কারণে কৃষকের ক্ষতির পাশাপাশি ৩ দিন যাবৎ বিদ্যুৎ নেই। মানুষের বাড়ি ঘরের রক্ষিত ফ্রিজের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
উত্তর আলগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, ফসলসহ আগাম সবজি ও বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া কোন ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
নীলকমল ইউনিয়ন দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসার মনির হোসেন বলেন, তিনি সরজমিনে পরিদর্শন করেছন এবং কৃষকদের মাঝে পরামর্শ দিয়েছেন। কিছু পাকা ধান মাটিতে পড়ে গিয়ে আংশিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে তাড়াতাড়ি পাকা ধানগুলো কেটে ফেললে তেমন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকিল খন্দকার জানান, বর্তমানে উপসহকারী কৃষি অফিসারগণ বর্তমানে মাঠে রয়েছেন, ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তবে কৃষকদের বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি। প্রায় ২০৫ হেক্টর আমনের জমি বাতাসে নুয়ে পড়েছে।
এমএসএম / এমএসএম