হাইমচরে কাটাখালী হামিদিয়া আলিম মাদ্রাসার নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে নিন্দা
চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার মধ্যে তিনবারের শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা হিসেবে পুরস্কার প্রাপ্ত কাটাখালী হামিদিয়া আলিম সিনিয়র মাদ্রাসার নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ভূমিদাতা পরিবারের সদস্য প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানান।
মঙ্গলবার জাতীয় এবং স্থানীয় কিছু প্রিন্ট এবং অনলাইন পত্রিকায় কাটাখালী হামিদিয়া আলিম সিনিয়র মাদ্রাসার নামে গাইড বই প্রকাশনীর সরবরাহ করা প্রশ্নপত্র দিয়ে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে, এমন মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করায় ভূমিদাতা পরিবারের সদস্য সোহরাব হোসেন ও প্রতিষ্ঠান প্রধান শরীফ হোসেন প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানান।
পরিক্ষার প্রশ্নের বিষয়ে মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী আফরিন জাহান বলেন, আমাদের শিক্ষকরা আমাদেরকে যেভাবে ক্লাসে পড়িয়েছেন সেই অনুযায়ী আমাদের পরীক্ষার প্রশ্ন এসেছে। আজকের পরীক্ষাটি ভালো হয়েছে। এবং আমাদের বিগত পরীক্ষাগুলোও আমরা ভালোভাবে দিয়েছি।
মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্র ইয়াসিন আরাফাত বলেন, আমাদের পরীক্ষার যে সিলেবাস অনুযায়ী আমাদেরকে পড়ানো হয়েছিল। এবং স্যার আমাদেরকে যেই দিকনির্দেশনা দিয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা পড়াশোনা করেছি। আজকে আমাদের বাংলা পরীক্ষা হয়েছে, পরীক্ষায় যতটুকু আশা করেছি তার থেকেও বেশি ভালো করে পরীক্ষা দিয়েছি। এবং সামনের পরীক্ষা গুলো আরো ভালো হবে।
মাদ্রাসার ভূমিদাতা পরিবারের সদস্য সোহরাব হোসেন জানান, গতকালকে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয় বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে সেই সংবাদে আমার একটি বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। অথচ আমি সেই বিষয়ে কিছুই জানিনা এবং এই বিষয়ে কোনো সাংবাদিকদের সাথে আমার কথা হয়নি। আমার নামে কেন এই মিথ্যা বক্তব্য দেওয়া হলো তার আমি জবাব চাই।
অধ্যক্ষ মো. শরীফ হোসেন খাঁন বলেন, কাটাখালী হামিদিয়া আলিম সিনিয়র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানটি উপজেলায় শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা হিসেবে পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছে। এ বছরের ২০২৩ সালের বার্ষিক এবং সামুস্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নিতে যাচ্ছি। আজকে আমরা একটা নিউজ পেলাম নিউজে দেখলাম মাদ্রাসার কিছু কথা নিউজে এসেছে। আমরা সরকারি কারিকুলাম অনুযায়ী পরীক্ষা নিচ্ছি। গতকালকে আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে পরীক্ষার প্রশ্ন পত্রে কেন মাদ্রাসার নাম নেই। পরে আমি বলেছি প্রশ্নপত্রে কোন কোন সময় নাম দেওয়া হয় আবার অনেক সময় নাম দেওয়া হয় নাই। কিন্তু আমরা নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা নিচ্ছি। প্রশ্নপত্রে নাম লেখা থাকতে হবে, এমনভাবে কোন নির্দেশনা আমাদেরকে দেওয়া হয় নাই। আমরা সরকারের সকল নির্দেশনা পালন করে থাকি। যদি প্রশ্নপত্রের নাম দেওয়া প্রয়োজন হয় তবে অবশ্যই আমরা প্রশ্নপত্রে মাদ্রাসার নাম দিয়ে প্রশ্নপত্র দিবো। এ বছর আমাদের মাদ্রাসার নাম দিয়ে প্রশ্ন করা হয় নাই। যারা আমাদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে এই ধরনের রিপোর্ট করেছে আমি এই বিষয়টি নিয়ে খুবই দুঃখিত। আমি ওনাদের সাথে যেই কথা বলেছি উনারা সেটি না বলে উল্টোভাবে লিখে প্রকাশ করেছেন। আমাদের মাদ্রাসাটি ভালোভাবেই চলছে, তবে আমাদের মাদ্রাসার কিছু অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন। যারা এভাবে একটি প্রতিষ্ঠানকে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানকে হেও পূর্ণ করে নিউজ করেছে তাদের কথার আমি নিন্দা জানাই।
এমএসএম / এমএসএম