কুয়াশার নগরী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত পোহালেই শুরু হবে কুয়াশা উৎসব
ষড়ঋতুর হিসাবে শীতকাল শুরু হতে বাকি আরও বাকি এক সপ্তাহ। কিন্তু এরই মধ্যে শীতের অনুভূতি বেশ শুরু হয়েছে। শিশিরে সিক্ত হচ্ছে আলপথের পল্লীর মাঠঘাট থেকে দালানকোঠা। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা, আবার কোথাও ঘন কুয়াশার চাদর দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে পড়ছে শীত। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলজুড়ে রাতের বেলায় শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও সিলেট অঞ্চলেও আংশিকভাবে শীত অনুভূত হচ্ছে। বলাই বহাুল্য পুরো দেশবাসীই শীতের পরশ পেতে শুরু করেছেন।
বরাবরের মতো এবারও শীতের আগমনীতে চঞ্চল হয়ে উঠছে ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। গত কয়েকদিন ধরে জাতীয় কবির স্মৃতিঘেরা ত্রিশালের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যাচ্ছে শীতের বিভিন্ন উৎসবমুখর আমেজ। এই আমেজকে আরো একধাপ বাড়িয়ে দিতে উৎসবের তালিকায় এবারও যুক্ত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী 'কুয়াশা উৎসব'। যা শুরু হচ্ছে আগামী ১০ ও ১১ ডিসেম্বর ২০২৩। ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) প্রথমবার কুয়াশা উৎসব হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেবারের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘কুয়াশায় সু-আশায় কহ কুশলাদি’। দুইবারের সফল আয়োজন শেষে তৃতীয় এই আয়োজনের প্রতিপাদ্য, ‘হারাবার আগে পায়ে মাখো শিশির, কুয়াশার মাঠে বাড়ুক প্রাণের ভিড়।'
এই আয়োজন জাককানইবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে কেবল উৎসব নয়, বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার সংকল্পও। কুয়াশা উৎসবের অন্যতম আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষক, অভিনয়শিল্পী মনোজ প্রামাণিক বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু এর ক্যাম্পাস ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়েই নয়, বরং চারপাশের মানুষ, আবহাওয়া কিংবা সংস্কৃতি—সবকিছুই জড়িত। তাই আমরা চেয়েছি সবার অংশগ্রহণে যেন একটি সর্বজনীন উৎসব করতে পারি। এই অংশগ্রহণের মানে কিন্তু এমন নয় যে আশপাশের মানুষ স্রেফ অতিথি হয়ে আসবে, আর আমাদের পরিবেশনা উপভোগ করবে। বরং তারা যেন এ অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সব ধরনের কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে—আমরা তা নিশ্চিত করতে চেয়েছি।’
আবহমান গ্রামবাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে উৎসবে যুক্ত হচ্ছে নানা আয়োজন। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এখানে আয়োজনে করা হয় চিত্রকলা প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, পিঠা পার্বণ উৎসব, বইমেলা, সংগীত, নৃত্য, স্ট্যান্ড-আপ কমেডি, পারফরম্যান্স আর্ট, কীর্তন ইত্যাদি। উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজিত প্রতিটি আয়োজনেই থাকবে বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরার প্রয়াস। গেট থেকে শুরু করে আমন্ত্রণপত্র—সবকিছুতেই যেন গ্রামীণ সংস্কৃতির ছোঁয়া।
১০ ও ১১ ডিসেম্বরের দুই দিনব্যাপী এই উৎসবকে সবার কাছে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে রয়েছে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে প্রচারণা থেকে শুরু করে মঞ্চ তৈরি, স্টল তৈরি কিংবা আলোকসজ্জা—সবকিছুর দায়িত্ব নিয়েছেন শিক্ষার্থীরাই।
কুয়াশা উৎসব ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আলাদা ভাবনা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর দে। তিনি বলেন বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও আশার একটি উৎসব কুয়াশা উৎসব। কুয়াশায় জেগে উঠুক প্রাণ। এই যে প্রাণের আকুতি, এই আকুতিকে একটু অন্যভাবে স্লোগানে ধরা হয়েছে। আমরা চাই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রাণের ভীড়ে ভীড়ে উদ্দীপিত হয়ে উঠুক, জেগে উঠুক।'
এমএসএম / এমএসএম
মধুখালী ডায়াবেটিক সমিতি'র উদ্যোগেনচিকিৎসা সেবা প্রদানের দশক পূর্তি উৎসব অনুষ্ঠিত
মনপুরায় শ্রেণীকক্ষ দখল করে বসবাস শিক্ষকের - শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত
মনপুরায় শ্রেণীকক্ষ দখল করে বসবাস শিক্ষকের - শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত
সন্দ্বীপের ছিনিয়ে নেওয়া ভূমি ফিরিয়ে দেওয়া ও জলবায়ু বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন
নেত্রীর জন্য অশ্রু, কর্মীদের কান্না: বাঘায় 'তারুণ্যের সমাবেশ' রূপ নিলো আবেগঘন প্রার্থনায়
উলিপুরে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা
সীতাকুণ্ডে মশক নিধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনএফ শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ
কোটালীপাড়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী পথযাত্রা
বেগম জিয়ার আরোগ্য কামনায় হাজী ইয়াছিনের ধারাবাহিক কুরআন খতম ও দোয়া
শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিনোদপুরে মানববন্ধন
ঝিনাইদহে অবৈধভাবে দখলকৃত জমি উদ্ধার করলো সড়ক ও জনপথ বিভাগ
আশুলিয়ায় নিষিদ্ধ আওয়ামী পুনর্বাসন চক্রে সক্রিয় গাজী নাছরিন
Link Copied