সচ্ছতার নামে মুজিব কিল্লা নির্মাণ প্রকল্পে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির কালো থাবা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের নামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত “মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্প টি ২০১৮ সালে অনুমোদিত হয়। দেশের বিভিন্ন জেলায় ৫৫০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ডিপিপি অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ৪ (চার) বছর অতিবাহিত হওয়ার পর প্রকল্প নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অযোগ্যতা ও ব্যর্থতার কারণে ২০২২ সালে ডিসেম্বর মাসে ১০০টি প্রকল্প কমিয়ে ৪৫০টি প্রকল্প সংশোধিত ডিপিপি পাশ করেন। সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদনের প্রায় ১ (এক) বছর অতিবাহিত হলেও প্রকল্পের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রকল্পে নিয়োজিত প্রকৌশলী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের অযোগ্যতা ও দুর্নীতির মূল অন্তরায় বলে মনে করেন ঠিকাদাররা
মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্প ৮৬১৫৩৮, ৮৬১৫৪৯ ৯.৯৮% উদ্ধারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট রেইট কোড বিক্রয় করছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায়। ৮৬১৫৫২, ৮৬১৫৭১, ৮৮৯৬০০, ৮৮৯৬১০ ও ৮৮৯৬২২-৯.৯৭%, ৯.৯৮% ও ৮৮৯৬০১- ৯.৯৯% নিম্নদরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রয় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার জানান যে, রেইট কোড বিক্রয় না হলে কোন ইঞ্জিনিয়ার/ঠিকাদারের পক্ষে গোপন রেইটে এভাবে মিলানো সম্ভব নয়
মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্প প্রতিটি টেন্ডারে ইজিপি মাধ্যমে রেইট কোড ফাঁস করে ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রতিটি টেন্ডারে তারা এভাবে দুর্নীতি করে আসছে কিন্তু এর কোন প্রতিকার এখনও হয়নি। একজন ভুক্তভোগী ঠিকাদার নাম বলতে ইচ্ছুক না দৈনিক সাকালের সময়কে জানান আমি ২০২১ সালে মুজিব কেল্লা টেন্ডারের কাজ শেষ করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি আমার কাজের বিলের প্রাপ্য টাকা পাই নাই।
বিলের টাকা কেন পায় নাই এ বিষয়ে প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি যে মুজিব কিল্লা টেন্ডারের কাজ করতে ছিলাম এই কাজ শেষ না হতেই হঠাৎ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সময় চলে আসে উপরের চাপে কাজটি আমাকে খুব তড়িঘড়ি করে কাজটি সম্পূর্ণ করি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে প্রকল্পে নিয়োজিত কর্মকর্তারা আমাকে বলেন আমরা আপনাকে যেভাবে বলবো আপনি আপনার কাজটা সেভাবে করবেন আপনার কাজের বিল নিয়ে কোন চিন্তা করা লাগবে না আমিও ওনাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করি।
এক পর্যায়ে আমি কাজটি শেষ করে তিনাদের কাছে হস্তান্তর করে দেই এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিল্ডিংটি উদ্বোধন করেন তারপর আমি আমার বিল সাবমিট করি বিল্ডিং এর বিভিন্ন ত্রুটি দেখিয়ে আমার বিল আটকিয়ে দেন আমি প্রকল্প কর্মকর্তাদেরকে বলি যে আপনারা আমাকে যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন আমি আপনাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছি একথা বলার পর আমাকে ১৫% কমিশনের বিনিময়ে বিল দিতে সম্মতি জানান আমি ১৫% কমিশনে বিল নিতে রাজি না হওয়ায় এখনো আমার বিলটি আটকে আছে।
এ বিষয় সংক্রান্ত প্রকল্প পরিচালক জানে আলম কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই ধরনের কোন ঘটনা হলে টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে টেন্ডার দাখিল করা হবে। বিল পাওনাদের বিষয়ে কোন ঘটনা হলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দেখা হবে।
এমএসএম / এমএসএম

রেজিস্ট্রি অফিসের প্রভাবশালী নকলনবিশের কাণ্ডঃ মন্ত্রীদের প্রভাবে চাঁদাবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান!

কেরানীগঞ্জ উপজেলার রাজাবাড়ী রোডে অবৈধ এলপিজি বটলিং প্লান্ট এর সন্ধান

গডফাদার মুরাদ জং-এর বোন পরিচয়ে দলিল দাতা-গ্রহীতাদের জিম্মি করার অভিযোগ

গাজীপুরের কাশিমপুরে সরকারি খাস জমি ভূমিদস্যুদের দখলে

বগুড়ায় সাবেক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে 'ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেটের' মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আইন যেন শুধু খাতা কলমে

প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

গোয়েন্দা প্রধানসহ লুটপাটের অভিযোগে চার কর্মকর্তা ক্লোজড

নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের মানববন্ধনে শাস্তি ও অপসারণ দাবী

সীমাহীন দুর্নীতি,অর্থ আত্মসাত ও সরকারি চাকুরির শৃংখলা ভংগের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রনজিত দে সাময়িক বরখাস্ত

সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে শ্রমিকদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ
