বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের স্টল বরাদ্দের নামে সোহরার্য়াদী উদ্যানে গাছ কাটা হচ্ছে

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবার অমর একুশে বইমেলার স্টল বরাদ্দের নামে গাছ কাঁটা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এমনকি সাধারণ মানুষ এই উদ্যানে প্রতি বছরই গাছ রোপন করে। আর সেই গাছগুলো বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ মদনে কর্তন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির সচিব ( অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. হাসান কবীর সকালের সময়কে বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এখনই বিষয়টি দেখছি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাংলা একাডেমির উল্টো পাশে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ পথ বা কালিমন্দিরে প্রবেশের গেটের দক্ষিণ পাশে শতাধিক চারা গাছের উপরে স্টল নির্মাণ শুরু করা হচ্ছে। প্রথম দিকে গাছের উপর এসব স্টলের জন্য টিনের ঘর নির্মাণ করা হলেও পরবর্তীতে রাতের অন্ধকারে সেই সব গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। সোহরায়ার্দী উদ্যানের মন্দিরের গেটে দায়িত্বরত একজন আনসার সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, এখানে কয়েকশ’ দুই তিন বছর বয়সী চারা গাছ ছিল। এসব গাছের উপরে স্টল বরাদ্দের নামে প্রথমে ঘর তৈরী করা হয়েছিল। এরপর তা রাতের বেলায় গাছ গুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করলে স্টল নির্মাণের সাথে জড়িতরা বিভিন্ন প্রকাশ হুমিক দিয়েছেন।
এর আগে উদ্যানে হাঁটাপথ, খাবারের দোকানসহ নানান স্থাপনা নির্মাণের সময় কোনো গাছ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে, তা কেটে ফেলা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এসব উন্নয়নকাজের জন্য কত গাছ কাটা হয়েছে বা কাটতে হবে, সে হিসাব নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে নেই। গত ১৯৯৮ সালে প্রকল্পটির শুরু থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে কত গাছ কাটা হয়েছে, সেই তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের কর্তাব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে বলেছেন, পরিকল্পিত সবুজায়নের অংশ হিসেবে ‘অপ্রয়োজনীয়’ গাছ কাটা হচ্ছে। গাছ কাটা হলেও নতুন করে ফুল গাছ লাগানো হবে। সারা বছরই ফুটবে নানান ফুল। ফুল গাছের পরিচর্যায় মালি থাকবে। ঘাসে পা না দিয়েই মানুষ যাতে হাঁটতে পারে, তাই হাঁটাপথের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। লোকজনের বিশ্রামের জন্য বিভিন্ন নকশার বেঞ্চ তৈরি করা হবে। এতে কিছু গাছ কাটা যেতেই পারে। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান একটি ঐতিহাসিক সম্পত্তি, সাংবিধানিকভাবে এটি রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। এই উদ্যানকে যতটা সম্ভব অক্ষত রাখতে হবে বলে ইতিহাসবিদরা জানিয়েছেন।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জনসমাগম হলে মানুষ যাতে উন্নত মানের খাবার পায়, তাই উদ্যানে সাতটি ফুড কিয়স্ক তৈরি করা হচ্ছে। নারী, শিশু, প্রতিবন্ধীসহ সবার প্রয়োজন অনুযায়ী শৌচাগার, বৃষ্টি হলে শেডের নিচে আশ্রয় নেওয়ার ব্যবস্থা এবং টিকিট কাউন্টার হচ্ছে একই ছাদের নিচে। পরিবেশবিদ, নগরবিদ, প্রকৃতিপ্রেমীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন সময়ে গাছ কাটার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গাছ কেটে খাবারের দোকান বা অন্যান্য স্থাপনা তৈরির যৌক্তিকতা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যে যার মতো করে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করে আসছেন। নগরবিদদের দেওয়া হিসাব বলছে, প্রতিটি বড় শহরে ২০ শতাংশ সবুজ স্থান থাকা প্রয়োজন। কিন্তু কাগজে-কলমে নতুন ঢাকায় আছে ১২ আর পুরান ঢাকায় ৫ শতাংশ। বাস্তবে তার পরিমাণ আরও কম। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে এই উদ্যানে প্রায় ১৫০টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আগে ছিল রেসকোর্স ময়দান। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এই রেসকোর্স ময়দানেই লাখো মানুষের মহাসমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণ দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল এখানেই। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সুহৃদ ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশ সফরকালে এই রেসকোর্স ময়দানেই ভাষণ দিয়েছিলেন।
এর আড়ে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন গণমাধ্যমে বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান একটি ঐতিহাসিক সম্পত্তি, সাংবিধানিকভাবে এটি রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে যতটা সম্ভব অক্ষত রাখতে হবে। স্থাপনা হতেই পারে, তবে তা চারদিকে ছড়িয়ে করতে হবে। ঢাকা শহরের পার্ক ও গাছপালা রক্ষায় বিভিন্ন সময় আমাদের মতামত দিয়েছি। বেশির ভাগ সময়ই মতামতের ধার ধারে না।’
সূত্র জানায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পটির উদ্যোগী মন্ত্রণালয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটির তৃতীয় পর্যায়ের নকশা প্রণয়নকারী সংস্থা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের স্থাপত্য অধিদপ্তর। আর প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত অধিদপ্তর আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড।
২০১৮ সাল থেকে প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ভূগর্ভস্থ গাড়ি পার্কিং ৫০০টি, দৃষ্টিনন্দন জলাধারসহ হাঁটাপথ, আন্ডারপাস, মসজিদ, অত্যাধুনিক রাইডসহ শিশুপার্কের আধুনিকায়ন, খাবারের দোকান, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য এবং যেখানে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেছিল, সেখানেও একটি ভাস্কর্য তৈরি, ইন্দিরা মঞ্চ তৈরিসহ আনুষঙ্গিক নির্মাণের কাজ চলছে। প্রকল্পের এ পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু এখনো সেই নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।
সূত্রটি আরো জানায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজে খরচ হয় ২৬২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আর গত ২০১৮ সাল থেকে প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের কাজে খরচ হবে আরও ২৬৫ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেড়’শ ফুট উচ্চতার কাচের তৈরি স্বাধীনতাস্তম্ভ, উদ্যানের উত্তর প্রান্তের শিখা চিরন্তন, জলাধার, ভূগর্ভস্থ জাদুঘর, দেয়ালে ম্যুরাল স্থাপন, বাংলা একাডেমির সামনের অংশে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ, নতুন ফটক, উদ্যানের চারপাশে স্টিলের বেড়া নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজ হয়েছে বিভিন্ন পর্যায়ে। উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিভিন্ন সময় উদ্যানের গাছ কাটতে হয়েছে। এখন আবার নতুন করে বাংলা একাডেমির অমর একুশে বই মেলার স্টল নির্মাণের নামে চলছে গাছ কাটা।
এর আগে গত ২০২১ সালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কেটে রেস্তোরাঁ, হাঁটার পথ নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে তরুণ শিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতাসহ বিভিন্ন সংগঠন। তখন তারা গাছ কাটার মধ্যে প্রবেশ পথের দেয়ালে কেউ লিখে রেখেছে ‘গাছ কাটা চলবে না’।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের জন্য গাছ কাটা বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। সেই রিটে আদেশের জন্য ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল নকশার সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ, উদ্যান সংরক্ষণ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই উদ্যানকে মূলরূপে রাখার নির্দেশনা চেয়ে ২০২১ সালের ৯ মে হাইকোর্টে পরিবেশবাদী ছয়টি সংগঠনের পক্ষে ও একজন ব্যক্তি রিট করেন। রিট আবেদনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণের (তৃতীয় প্রকল্প) নামে পুরাতন ও ঐতিহাসিক গাছ কেটে প্রকল্প নির্মাণ কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, মূল নকশার বাইরে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এরইমধ্যে যেসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে তা কেন অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ঢাকা মহানগরের মাস্টারপ্ল্যানের যেভাবে রয়েছে সেভাবে উদ্যান সংরক্ষণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না সেই মর্মে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।
একইসঙ্গে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের জন্য গাছ কাটা বন্ধ রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি যেসব গাছ কাটা হয়েছে তার পরিবর্তে তিন গুণ গাছ লাগানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সেই রিট আবেদনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে বিবাদী করা হয়।
রিটের শুনানিতে তৎকালীণ অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, এটা সরকারের একটি মেগা প্রকল্প। পরিবেশ রক্ষা করেই এটা বাস্তবায়ন করছে সরকার। তবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কোনো অবকাঠামো করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, সেখানে কীভাবে কতটি গাছ লাগাতে হবে সে বিষয়ে সরকার ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল। এই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই সব হচ্ছে। গত ২০০৯ সালে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছে সরকার। এখানে পরিবেশ ধ্বংস করে কিছু করা হচ্ছে না।
অমর একুশে বই মেলার স্টল বরাদ্ধের নামে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরিবেশ রক্ষায় লাগানো গাছ কাটার বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা)’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকালের সময়কে বলেন, বই মেলা আয়োজক কর্তৃপক্ষ বা বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ অবশ্যই পরিবেশ রক্ষার জন্য লাগানো গছগুলো রক্ষা করেই তারা বই মেলা আয়োজন করবেন। এটা তাদের নৈতিক দায়িত্ব।
এমএসএম / এমএসএম

রণাঙ্গনের এক সাহসী যোদ্ধা ' শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদের দুর্নীতি বন্ধ হবে কবে?

মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত ব্যবসায়ী গোলাম মর্তুজার মুক্তি দাবি পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেল এর পক্ষ থেকে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ

উত্তরার আমির কমপ্লেক্স মার্কেটে আওয়ামীপন্থী ব্যবসায়ীদের দাপট কমেনি এক মার্কেটে দুই কমিটি

উত্তরায় রোজাদার পথচারীদের মাঝে বিএনপি নেতা সালামের ইফতার বিতরণ

এসেনসিয়াল ড্রাগসের এমডির আত্মীয়দের বদলি বাণিজ্য

ট্যাক্স ল'ইয়ার্স সোসাইটি ২০১৭ এর নির্বাচিত নতুন কমিটির অভিষেক দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত

উদ্যোমী নারীদের সম্মাননা জানাল ‘উইমেন’স ফাউন্ডেশন’

উত্তরা সেক্টর-১২ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

রোজাদার পথচারীদের পাশে ইফতার নিয়ে হাজির আজমল হুদা মিঠু

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ৮ জন নারী উদ্যোক্তা পেলেন সাহসিকা সম্মাননা
