ঢাকা সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

কেশবপুরে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের মানব বন্ধন


সোহেল পারভেজ, কেশবপুর photo সোহেল পারভেজ, কেশবপুর
প্রকাশিত: ৪-২-২০২৪ দুপুর ৩:১৬

যশোরের কেশবপুরে ভদ্রাপল্লী সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির গ্রাহকরা তাদের সঞ্চয়কৃত টাকা ফেরত পেতে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন। রোববর বেলা ১১ টার দিকে কেশবপুরে ভদ্রাপল্লী সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির নামে এক ভুয়া প্রতিষ্টানের নামে একটি প্রতারক চক্র প্রতারনার মাধ্যমে এলাকার শতাধিক গ্রাহকের নিকট থেকে প্রায় ২১/২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে জানা যায়, কেশবপুর উপজেলার গৌরিঘোনা ইউনিয়নের মৃত অশোক চক্রবর্তীর ছেলে দেবদাস চক্রবর্তী, স্বপন দাসের ছেলে বিলাস দাস, মৃত সন্তোষ মল্লিকের ছেলে রকি মল্লিক, মৃত বিধান দাসের ছেলে অমিত দাস এবং মধু বিশ্বাসের ছেলে সুব্রত বিশ্বাস, গত ২০১৫ সালে ভদ্রাপল্লী সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ এর নামে স্থানীয় গৌরীঘোনা গ্রােমর মধ্যে একটি অস্থায়ী অফিস বানিয়ে একটি সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে একটি ভুয়া সমবায় সমিতি গঠন করে। এসময় তারা স্ট্যাম্পে চুক্তি পত্রের মাধ্যমে বাৎসরিক শতকারা দুই টাকা হারে লাভ দেয়ার কথা বলে ডিপিএস ও সঞ্চয় প্রকল্পের নামে এলাকার প্রায় শতাধিক গরীব অসহায় পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে লোভ দেখিয়ে প্রতিমাসে ৫০০, ১০০০ ও ২৫০০ টাকা হারে জমা সঞ্চয়ের টাকা জমা নেয়। ২০১৫ সাল থেকে শুরু করে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫ বছর মেয়াদী তারা গ্রাহকদের নিকট থেকে প্রায় ২১/২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর মেয়াদ শেষে গ্রাহকরা তাদের জমাকৃত সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চাইলে সমিতির ওই কর্মকর্তারা নানা টাল-বাহানা শুরু করে। পরবর্তিতে গ্রহকরা তাদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত পেতে ভুয়া ওই সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার ম্যানের কাছে একটি আবেদন করেন। চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান এব্যাপারে বিবাদীদের ৩বার নোটিশের মাধ্যমে  গ্রাম আদালতে হাজির হওয়ার জন্য বললেও বিবাদীগন ওই নোটিশকে তোয়াক্কা না করে বুক ফুলিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরেফিরে চলছে। এমনকি প্রতিনিয়ত চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের লোকদের সাথে ওঠাবসা করতে দেখা গেছে। কিন্তুু কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায়, অবশেষে ক্ষতিগ্রস্থরা ওই প্রতারকদের বিচার চেয়ে কেশবপুর উপজেলা পরিষদের সামেন একটি মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তুহিন হোসেন ও ৯০ যশোর-৬ কেশবপুর সাংসদ সদস্য মোঃ আজিজুল ইসলামের নিকট আলাদা ভাবে অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে ওই সমিতির গ্রাহক তাপস বিশ্বাস, সুশান্ত দাস, মুকুন্দ মল্লিক, জয়ন্তি মল্লিক, স্বপ্না মল্লিকসহ ২১জন গ্রাহক দরখাস্তে স্বাক্ষর করেছেন।

উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মুহাম্মাদ আলমগীর হোসেন বলেন, কেশবপুরের গোরীঘোনা বাজারে ভদ্রাপল্লী সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় প্রতিষ্ঠানের নামে কোন রেজিঃশন নেই। এছাড়া কোন সমিতি ক্যাডিট প্রগ্রাম করতে চাইলে তাদের এম আই আর এর অনুমোদন নিতে হয়। উপজেলা সমবায় অফিসার মোছাঃ নাসিমা খাতুন বলেন, ২০১৬ সালে ভদ্রাপল্লী সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির নামে একটি রেজিঃশন দেয়া হয়। কিন্তু সমবায় আইন অনুযাযী তারা কোন কার্যক্রম পরিচালনা না করায় ২০২১ সালে তাদের বেজিঃশন বাতিল করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তুহিন হোসেন বলেন, ভদ্রাপল্লী সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতির বিরুদ্ধে অর্থ্য আত্ত্বসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।  

এমএসএম / এমএসএম

সিডিএ'র কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে ঠিকাদার

পটুয়াখালীতে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

বেনাপোল বন্দরে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্যে স্থবিরতা

রাণীনগরে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবসরে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলদের বিদায় সংবর্ধনা

সম্প্রীতি বিনিষ্টকারীদের ছাড় নেই: গোপালগঞ্জে সম্মেলনে ডিসি

পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির টানায় শক লেগে ৫ শিশু হাসপাতালে

আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে হাটহাজারীর কৃষকরা

রৌমারীতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না বলেই আন্দোলন মুছতে পারেনি : এটিএম আজহারুল

বোদায় ১৩৫০ টাকার সার ১৮০০ টাকায় বিক্রি, যৌথ বাহিনীর অভিযান

সমাজ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : জহুরুল আলম

নেত্রকোনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ বশির