অপরাধ দমনে জনসচেতনতা বাড়াতে নিউমার্কেট থানার পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার

অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষের মাঝে জনসচেতনতা তৈরি করতে অভিনব পুলিশিং উদ্যোগ নিয়েছে নিউমার্কেট থানা পুলিশ।কাউন্সিলিং, স্টিকার-লিফলেট বিতরণ, এর মধ্য দিয়ে এলাকার মানুষজনকে জনসংযোগ, মাইকিংসহ মাসব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে এই জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।সংশ্লিষ্টরা বলেন, অনেক সময় অপরাধীরা মানুষের অসচেতনতাকে পুঁজি করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। যদিও পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সংস্থা সম্মিলিতভাবে এসব অপরাধ দমনে কাজ করে যাচ্ছে। তারপরও অবচেতন থাকার কারণে বাসে ওঠা-নামার সময় মোবাইল, মানিব্যাগ চুরি কিংবা ছিনতাইয়ের মুখোমুখি হতে হয়। সাধারণ মানুষজন যদি চলাফেরার সময় সামান্য সচেতনতা অবলম্বন করেন তাহলে এসব অপরাধ অনেকাংশেই কমে আসবে। সেজন্যই নিউমার্কেট থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে নিউমার্কেট জোনের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজেরা উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। মিরপুর সড়কে চলাচল করা প্রতিটি গণপরিবহন, লেগুনা, সিএনজিতে পুলিশের পক্ষ থেকে ‘পকেটমার থেকে সতর্ক থাকুন, নিরাপদে চলাচল করুন’, ‘বাসে ওঠা-নামার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন’সহ বিভিন্ন স্টিকার-লিফলেট দেওয়া হচ্ছে। আবার বাসে উঠে যাত্রীদের চলাচলের সময় সতর্ক থাকার জন্যও অনুরোধ করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রিফাতুল ইসলাম সকালের সময়কে বলেন, নিউমার্কেট এলাকাটি অত্যন্ত জনবহুল অধ্যুষিত এলাকা। এখানে কেনাকাটা করার জন্য প্রতিদিন অনেক মানুষ আসেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু পকেটমার, চোর প্রায়শই মানুষের মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। এটা একেবারেই নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এসব অপরাধ দমন করার জন্য নিউমার্কেট থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি যা পুলিশিং কাজেরই অন্তর্ভুক্ত। তারমধ্যে একটি হচ্ছে, জনসচেতনতা তৈরি করা। আমরা প্রতিটি গণপরিবহনের গেটে ও ভেতরে কিছু সতর্কবার্তা লাগিয়ে দিচ্ছি। একইসাথে মার্কেটগুলোতেও সচেতন থাকার জন্য অব্যাহত মাইকিং সিস্টেম পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এই কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষজন সচেতন হলে অপরাধের মাত্রা অনেক কমে আসবে। সেই উদ্দেশ্য থেকেই এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটি মাসব্যাপী চলবে।একইসঙ্গে এসব অপরাধের সাথে জড়িত চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম।
দৈনিক সকালের সময়কে তিনি বলেন, চুরি-ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত এমন একাধিক চক্রের সন্ধান আমরা পেয়েছি। যাদের অনেক সদস্যকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। কিন্তু পরে আবার কেউ কেউ জামিনে বের হয়ে আগের অপরাধেই জড়িয়ে যাচ্ছে। আসলে সবাই যদি সাবধান এবং সতর্ক থাকে তাহলে তাদের অপরাধ করার মাত্রা কমবে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা মনে করি মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন। সেজন্যই আমরা এমন উদ্যোগ নিয়েছি। পাবলিক যে সব পরিবহন সেগুলোতে আমরা সচেতনতামূলক বিভিন্ন স্টিকার লাগিয়েছি। একটি অডিও প্রচার করছি। আশা করি সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় একটি অপরাধ মুক্ত পরিবেশ তৈরি হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন— নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হালদার অর্পিত ঠাকুর, পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার জালাল মাহমুদ, উপ-পরিদর্শক মো. সজিব মিয়া, মো. রায়হান উদ্দিন, মো. সোহেল রানা, ছবির উদ্দিন সহ ও অন্যানরা।
এমএসএম / এমএসএম

শ্রদ্ধামিশ্রিত ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রবীণদের পাশে থাকতে হবে

যাত্রাবাড়ীর অন্বেষা কর্পোরেশন (প্রদীপ ব্রান্ড) নিয়ে বিতর্ক

কোটিপতি হয়েও সরকারি খাস জমি দখল করে দোকান ভাড়া দিচ্ছেন আব্দুল হাই গং

মালিবাগে সোনার দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি, ৫০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরির অভিযোগ

গুলশান থানা এলাকা হবে অপরাধ মুক্ত: ওসি হাফিজুর রহমান

বিএসটিআই মহাপরিচালকের সাথে কসোভোর রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ভারতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ইন্তিফাদা বাংলাদেশের

সদরঘাট পাইকারি বাজারে আগুন

ঢাকা ওএমএস ডিলার নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদ সভা

সঠিক প্রক্রিয়ায় টেন্ডার না হওয়ায়, কাজ সম্পূর্ণে ব্যর্থ হচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান

রাজধানীর গুলশান-বনানী মণ্ডপে প্রতিমা বিসর্জন শেষে মা দূর্গার শান্তির জল প্রদান

‘সমন্বয়ক’পরিচয়ে উত্তরায় বেপরোয়া আকাশ
