বিএনএসবি’র অবৈধ পরিচালনা পর্ষদ ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের ডিডি আইয়ুব খানের দুর্নীতির সাতকাহন

অন্ধদের কল্যাণে কাজ করার নিমিত্তে ১৯৭৩ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন লাভ করে ‘বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি’ (বিএনএসবি)। অভিযোগ উঠেছে, লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করার হীন উদ্দেশ্য নিয়ে অন্ধদের সেবার ব্রত নিয়ে গড়ে উঠা এ প্রতিষ্ঠানটির দিকে কুনজর পড়েছে একদল দুষ্কৃতির। সমাজসেবা অধিদপ্তরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গঠনতন্ত্র এবং কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন ব্যতিরেকে যুগ যুগ ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। নিজেদের খেয়াল খুশিমতো খরচ করছেন সংস্থার বিপুল পরিমাণ অর্থ।
জানা গেছে, স্বাধীনতার পর বকশীবাজারে জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির (বিএনএসবি নামে পরিচিত) প্রতিষ্ঠা করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যু পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভী রহমান। খন্দকার মাহবুব হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী ড. ফরহাত হোসেন বিএনএসবি’র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি (বিএনএসবি) প্রতিষ্ঠানটি অন্ধদের কল্যাণে কাজ করার নিমিত্তে সরকার কর্তৃক জমি বরাদ্দ দিয়েছিল। সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদ নিজেদেরকে প্রভাবশালী ভেবে অত্র জমির উপর বহুতল ভবন নির্মাণ করে একাধিক ডেভেলপার কোম্পানীর সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিনামার মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেছেন। সংগঠনটি পরিচালনা করার মতো কোন গঠণতন্ত্র সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন না নিয়েই নিজেদের খেয়াল খুশিমতো পরিচালনা করে আসছে, যা সম্পূর্ণরূপে বে-আইনি ও অবৈধ। সরকার যাদের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছিল তাদের কল্যাণে কাজ না করে, নিজেদের কল্যাণে কাজ করেছে। পরিচালনা পর্ষদ অন্ধদের কোন কল্যাণে কাজ করেনি বিধায় গত ২৬ নভেম্বর সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পরিচালক কার্যক্রম ঢাকা এর বরাবরে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়।
দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকার পরিচালক (কার্যক্রম) কামরুল ইসলাম চৌধুরী কর্তৃক সাব্বির হোসেন, সমাজসেবা, অফিসার-১, নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ শাখা, সমাজসেবা অধিদপ্তর, সদর কার্যালয়, ঢাকাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেন। তদন্তে জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সংস্থার পক্ষে অনুমোদিত কমিটির কোন তালিকা এবং অনুমোদিত গঠনতন্ত্র পাওয়া যায়নি। নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই পরিচালনা পর্ষদ নিজেদের খেয়াল খুশিমতো সংস্থা পরিচালনা করে আসছেন বিধায় গ্রুপিং ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে বলে তদন্তে উঠে আসে। সুশাসন ফিরিয়ে আনাসহ সংস্থাটিকে আইনের আওতায় আনতে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী গঠনতন্ত্র প্রণয়ন এবং অনুমোদনহীন কার্যনির্বাহী পরিষদ বরখাস্তকরণপূর্বক একজন প্রশাসক অথবা অনধিক ৫ সদস্য বিশিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক বডি নিয়োগের সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর দেড় মাস অতিবাহিত হলেও সংস্থাটিতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (নিবন্ধন) আইয়ুব খান। অভিযোগ উঠেছে, উপপরিচালক (নিবন্ধন) আইয়ুব খানকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পরবর্তী পদক্ষেপ আটকে রেখেছেন জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির অননুমোদিত পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান ড. ফরহাত হোসেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির সকল অনিয়ম ধামাচাপা দিতে সংস্থাটিকে ট্রাস্টি করার গোপন পাঁয়তারা চলছে। আর এতে সহযোগিতা করছেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (নিবন্ধন) আইয়ুব খান এবং ঢাকা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. রকনুল হক। সংস্থার নির্বাচন আটকে রেখে গোপনে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কমিটি অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে দৈনিক সকালের সময়ের পক্ষ থেকে উপপরিচালক আইয়ুব খানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপপরিচালক আইয়ুব খান উৎকোচ ছাড়া কোনো ফাইল ছাড়েন না। আর উৎকোচ পেলে ফাইল পাশ হয় বিদ্যুৎ গতিতে। চাকরি জীবনের শুরু থেকে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ঘুষ বাণিজ্যে সিদ্ধহস্ত উপপরিচালক আইয়ুব খান। তার অনিয়ম, দুর্নীতির অনুসন্ধানে মিলেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী প্রতিবেদনে।
এমএসএম / এমএসএম

রেজিস্ট্রি অফিসের প্রভাবশালী নকলনবিশের কাণ্ডঃ মন্ত্রীদের প্রভাবে চাঁদাবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান!

কেরানীগঞ্জ উপজেলার রাজাবাড়ী রোডে অবৈধ এলপিজি বটলিং প্লান্ট এর সন্ধান

গডফাদার মুরাদ জং-এর বোন পরিচয়ে দলিল দাতা-গ্রহীতাদের জিম্মি করার অভিযোগ

গাজীপুরের কাশিমপুরে সরকারি খাস জমি ভূমিদস্যুদের দখলে

বগুড়ায় সাবেক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে 'ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেটের' মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আইন যেন শুধু খাতা কলমে

প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

গোয়েন্দা প্রধানসহ লুটপাটের অভিযোগে চার কর্মকর্তা ক্লোজড

নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের মানববন্ধনে শাস্তি ও অপসারণ দাবী

সীমাহীন দুর্নীতি,অর্থ আত্মসাত ও সরকারি চাকুরির শৃংখলা ভংগের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রনজিত দে সাময়িক বরখাস্ত

সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে শ্রমিকদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ
