ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু

বগুড়ার নন্দীগ্রামে হেল্থ কেয়ার এন্ড ডায়াগনষ্ট্রিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মৃত নবজাতকের নানা পৌর এলাকার গুন্দইল গ্রামের এলিম হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন বাদী হয়ে ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেনের বিরুদ্ধে গত ১২ এপ্রিল থানায় এবং ১৮ এপ্রিল বগুড়া সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, লিমন হোসেন তার অন্তসত্বা মেয়েকে নিয়ে হেল্থকেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে যান। এসময় ক্লিনিকের পরিচালক মাছুদ হোসেন সনোলজিষ্ট বিশেষজ্ঞ ছাড়াই নিজে সনোলজিষ্ট বিশেষজ্ঞ সেজে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন এবং আগামী ৫ মে বাচ্চা হওয়ার তারিখ জানান। এরপর দ্বিতীয়বার আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন বাচ্চা হওয়ার তারিখ উল্লেখ করেন ২৭ এপ্রিল। পরবর্তীতে গত ৮ এপ্রিল বিকেল ৩টায় মেয়ের শারীরিক চেকআপ করাতে মেয়েকে নিয়ে ক্লিনিকে যান মিলন হোসেন। এসময় ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান এবং মুহুর্তে ক্লিনিকে ভর্তি হতে বলেন। সেই সাথে মেয়ের স্বাভাবিক বাচ্চা হওয়ার আশ্বাস দেন। মেয়েকে ভর্তি করার ১ ঘন্টা পর ডঃ শ্রাবনী সরকার মেয়েকে ব্যাথার ইনজেকশন দেন এবং স্যালাইন দেন। ইনজেকশন দেওয়ার ২০ মিনিট পর মেয়েকে সিজার রুমে নিয়ে যান এবং সিজার করেন। সিজার শেষে একটি পুত্র সন্তান হয়েছে বলে জানান ক্লিনিকের মালিক মাছুদ হোসেন। সেই সাথে নবজাতক শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে একথা বলে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল নবজাতক শিশুটির মৃত্যু হয়।
উক্ত বিষয়ে বাদী মিলন হোসেন বলেন, হেল্থ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের এমডি মাছুদ হোসেন ভুল চিকিৎসা ও ভুল পরামর্শ দিয়ে আমার নাতিকে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত হেল্থ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক মাছুদ হোসেন বলেন, মা ও নবজাতক আমার ক্লিনিকেই ভর্তি ছিল। পরে বগুড়া মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে এবং সেখানেই মারা গেছে। এখানে আমরা দায়ী নই।
উক্ত বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসাইনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন সফিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব, উপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে হেল্থ কেয়ার ক্লিনিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আবারও সেই একই ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালত আদালত পরিচালনা করে সতর্ক করা হয়েছিল এবং মুচলেকা দিয়ে ছাড় পেয়েছিল হেল্থ কেয়ার ক্লিনিকের পরিচালক মাছুদ হোসেন।
এমএসএম / এমএসএম

মহেশখালীতে রাতে অপহরণের পর সকালে মিলল যুবকের লাশ

আবার রোহিঙ্গা ঢলের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

তানোরে চাষাবাদে গরুর বদলে বাড়ছে ঘোড়া দিয়ে মই চাষ

উল্লাপাড়ায় কষ্টি পাথরের মূর্তি পাচারকারী দুই জন গ্রেফতার

বরগুনায় তিন সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহী-১ আসনে শরিফ উদ্দিনের বিরোধিতা না বিএনপির বিরোধিতা

টেকনাফে মুক্তিপণে ফিরেছে অপহৃত ব্যবসায়ী

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

হাসিনা বাংলাদেশকে গুম-খুন আর লুটের রাজ্যে পরিণত করেছিল: আব্দুল খালেক

দাউদকান্দির ধারিবন গ্রামে একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ, পানিবন্দি কয়েকটি পরিবার

ভূরুঙ্গামারীতে ব্র্যাকের স্বপ্ন সারথি দলের জীবন দক্ষতা বিষয়ক ২৫তম সেশন অনুষ্ঠিত

রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার ডা:কে এম বাবর সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রীর অভিযোগ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পানিবন্দি ২ হাজার পরিবারকে যুবদলের ত্রাণ সহায়তা
Link Copied