ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

শান্তিগঞ্জে দেশীয় মাছের আকাল : ভরসা পাঙ্গাস আর তেলাপিয়ায়


শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি photo শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৮-৮-২০২১ বিকাল ৫:১০
বর্ষা মৌসুমেও সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাট-বাজারে দেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এসব হাট-বাজারে বিক্রেতারা বিভিন্ন মৎস্য খামারে চাষ করা মাছ এনে বিক্রি করছেন। তারা জানান, জেলেরা নদী, খাল-বিলে জাল ফেলে দেশি মাছের দেখা আগের মতো পাচ্ছেন না। এছাড়া নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের অবাধ ব্যবহার, মাছের অভয়াশ্রম ধ্বংস, শুষ্ক মৌসুমে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে পানি সেচে মাছ ধরার অবাধ প্রবণতা, কৃষিজমিতে মাত্রারিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, প্রজনন মৌসুমে পোনা মাছ নিধন; এসব কারণে উপজেলার মৎস্যসম্পদ দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বছর কয়েক আগেও বর্ষা মৌসুমে হাট-বাজারগুলোতে দেশি মাছের ছড়াছড়ি ছিল। তাছাড়া এখন দেশি মাছের আকাল দেখা দিয়েছে।
 
এক সময় দেশি মাছের ভাণ্ডার ছিল শান্তিগঞ্জ উপজেলা। উপজেলার বিভিন্ন হাওর ও বিল থেকে সুস্বাদু দেশি মাছের জোগান পাওয়া যেত। এসব মাছের মধ্যে রয়েছে পুঁটি, টেংরা, পাবদা, কই, টাকি, শোল, রানী, মলা, মেনি, চাপিলা, গোলসা, বালিয়া, কালিবাউস, দেশি রুই, কাতলা ইত্যাদি। কিন্তু এখন উপজেলার সবকটি বিল লিজ হওয়ায় এবং শুকনা মৌসুমে জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরার কারণেই দেশি মাছের উৎপাদন খুবই কম। 
 
সরেজমিন উপজেলার কয়েকটি হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি মাছের পরিবর্তে পুকুরে চাষ করা রুই, কাতলা, সিলভার কার্প, বিদেশি মাগুর, জাটকা ইলিশ, পাঙ্গাস, বিদেশি কৈ ও তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে। মাঝেমধ্যে বাজারে দেশি মাছের দেখা মিললেও দাম অনেকটা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ফলে দেশি মাছ না পেয়ে বাধ্য হয়ে বিদেশি মাছ কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
 
ক্রেতা সিজিল মিয়া বলেন, বাজারে ঢুকেই দেশি মাছের খোঁজ করি। না পেয়ে বাধ্য হই মৎস্য খামারের স্বাদহীন মাছ কিনতে। ক্রেতা ফয়জুল হক বলেন, এখন দেশি মাছ পাওয়াই দুষ্কর। প্রতিদিন বাজারে ‍এসে দেশি মাছ পাচ্ছি না। কিছু পেলেও দাম নাগালের বাইরে থাকায় নিতে পারছি না।
 
শান্তিগঞ্জ বাজারের মাছ ব্যবসায়ী নবী হোসেন বলেন, খামারের মাছ দিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছি। জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনে এনে লাভ করা যায় না। দাম বেশ চড়া। মাঝে মাঝে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলে এনে বিক্রি করি।
 
একই বাজারের আরেক মাছ ব্যবসায়ী মো. মঈন উদ্দিন বলেন, দেশি মাছ এখন পাওয়াই যায় না। যা পাওয়া যায় সব উচ্চমূল্যে সিলেট ও ঢাকা চলে যায়।  আমরা পাই না। আজ সামান্য কিছু মাছ চড়া দামে কিনে রেখেছি। 
 
গনিগঞ্জ বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সত্য দাস বলেন, বেশি দামে মাছ এনে লাভ করা যায় না। বাধ্য হয়ে বিদেশি মাছই বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদের কিছু করার নেই। পরিবার নিয়ে তো চলতে হবে।
 
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, দেশি মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমরা জেলেদের সচেতন করতে কাজ করছি। তবে হাওরের বিলগুলো লিজ হওয়ায় উন্মুক্তভাবে জেলেরা আগের মতো মাছ আহরণ করতে পারেন না। এছাড়া শুকনা মৌসুমে জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরার কারণে মাছের উৎপাদন কমে যায়। মূলত আমাদের সেটা পরিহার করতে হবে। যেহেতু লকডাউন শেষ হয়েছে এবং যারা অবৈধভাবে দেশি মাছের পোনা নিধন করছে, অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান শুরু করব।

এমএসএম / জামান

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত