সিংগাইরে আশ্রয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অধিকাংশ ঘরে থাকেন না কেউ
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে আশ্রয়ন প্রকল্পের অধিকাংশ ঘরে ঝুলছে তালা। তিন-চার মাস পর পর তালা খুললেও রাত্রি যাপন করেন না ওই উপকারভোগীরা।ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য বানানো আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মেরও অভিযোগ উঠেছে। যাদের জমি-ঘর আছে তাদের নামেও দেয়া হয়েছে ঘর। তাই অনেকে থাকেন না এসব ঘরে। ঘরে তালা ঝুলিয়ে থাকেন আগের ঠিকানায়।প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন পুনরায় যাচাই বাছাই করে প্রকৃত ভূমিহীন- গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে আশ্রয়ন প্রকল্পের ওই ঘরগুলো।
এ উপজেলায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর বানানো হয়েছে ৪০৩ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য। যাদের ঘর-বাড়ি-জমি সবই আছে, নেই ঘরের প্রয়োজন, তাদের নামে দেওয়া হয়েছে ঘর। তাই বরাদ্দকৃত অধিকাংশ ঘরে তালা ঝুলিয়ে থাকেন না কেউ।
এদিকে আশ্রয় প্রকল্পে বসবাসকারী বাসিন্দারা মাথা গোজার ঠাঁই পেলেও অনেকের নেই কর্মসংস্থান।
আশ্রয়ন প্রকল্পের জমি ও ঘর পাওয়া উপকারভোগীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, যেসব জায়গায় আশ্রয় প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে কাছাকাছি তাদের কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। কর্মসংস্থান থাকলে হয়তো ঘরে থাকতো। অনেকেই আবার বাড়িঘর থাকতেও ঘর পেয়েছে। তারা এখানে থাকেন না। পরিদর্শনে এলে তারা আসেন।
ঘর পাওয়া বাসিন্দারা আশ্রয়ন প্রকল্পের চারপাশে কল-কারখানা তৈরি করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দাবি জানান এবং পুনরায় যাচাই বাছাই করে বরাদ্দকৃত ঘর প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে তালাবদ্ধ ঘর গুলো হস্তান্তর করে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দাবীও জানান।
যারা আবাসনের ঘরে থাকেন না তাদের বরাদ্দ বাতিল করে প্রকৃত ভূমিহীনদের নামে পূনরায় ঘর বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ জানান উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পলাশ কুমার বসু বলেন, কিছু কিছু ঘর অনেকদিন ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে যারা দীর্ঘদিন ধরে ঘরে থাকছেন না তাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সবাইকে ডেকে নিয়ে আসব। প্রকৃতপক্ষেই যদি দীর্ঘদিন তারা ঘরের বাহিরে থাকেন। তাহলে যথাযথ কারণ দর্শানোর কথা বলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম