এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ভূয়া উপাচার্য জঙ্গিনেতা সাদেক দমনে সরকার ব্যর্থ
২০১০ সাল থেকে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ভূয়া উপাচার্য পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালটিতে ভর্তি হতে আসা হাজার হাজার শিক্ষার্থীদেরকে ভূয়া সনদ প্রদান করে অবৈধ ভাবে বহু সম্পদের মালিক হয়েছে যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিনেতা মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক। সমাজে উচ্চপর্যায়ের নাগরিকদের কাছে সুশীল সেজে প্রতারণা করার জন্য নিজের নামে এমিরেটস অধ্যাপক উপাধি ব্যবহার করতো এই জঙ্গি নেতা। দৈনিক সকালের সময়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পরে এমিরেটস উপাধি এবং উপাচার্য পদ সবই হারিয়েছে। সকালের সময়ের প্রতি বিক্ষুব্ধ প্রতারক সাদেক একজন উকিলের মাধ্যমে দৈনিক সকালের সময়ের কাছে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলো। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান হওয়ার পরে ঢাকায় বড় বড় জঙ্গি গোষ্ঠী দমন করার পরে পুলিশ প্রশাসন সরকারের পক্ষে ঘোষণা দেন "জঙ্গি দমনে সরকারের শূন্য সহনশীলতা নীতি"। জঙ্গি দমনে সরকারের একাধিক ইউনিট কাজ করার পরেও জঙ্গি নেতা মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেকে দমন করতে সরকার ব্যার্থ হয়েছে। সরকার পতনের নানান ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে সাথে একত্রে চলাফেরা করতো এই জঙ্গি মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক। নারী সঙ্গীসহ মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্স থেকে গ্রেফতার হওয়ার পরে তার মুক্তির জন্য দফায় দফায় প্রতিবাদ মিছিল করছে জঙ্গি নেতা মাওলানা সাদেক। মামুনুল হকের ফেসবুক স্টাটাস থেকে দেখা যায় তিনি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে ২০১৭ সালে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করছে। এর পরে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে তিনি শিক্ষকতা করতেন। ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। এর পরে ১৮ এপ্রিল রবিবার গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম ও ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের যৌথ অভিযানে মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। গ্রেফতারের পূর্ব পর্যন্ত তিনি জঙ্গি নেতা মাওলানা সাদেকের সঙ্গী ছিলেন।
দৈনিক সকালের সময়ের সাদেকের অপরাধকর্ম একাধিকবার প্রকাশ হলেও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রীর নজরে আনলে মন্ত্রী দৈনিক সকালের সময়কে বলছেন সাদেকর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছি। কমিশনের বেসরকারি ইউনিট পরিচালক ওমর ফারুক দৈনিক সকালের সময়কে বলছেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের দুর্নীতি এবং সাবেক উপাচার্য সাদেকের বিষয়ে কিছু অভিযোগ আমরা আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করে গতবছরেই শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রতিবেদনের ফলোআপ সম্পর্কে আপডেট জানতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপসচিব ড. মোহাম্মদ ফরহাদ হোসের সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি সকালের সময়কে বলছেন কমিশ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন মন্ত্রণালয়ের কাছে কোন পর্যবেক্ষণ পাঠায়নি তাই এর বেশি কিছু তার জানা নাই। কমিশন জঙ্গি নেতা মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দেয়ার পরেও দুর্নীতি দমন কমিশন কেন দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে এই উপসব দুদকে খোঁজ নেয়ার পরামর্শ দেন।
জঙ্গি নেতা মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেকের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন প্রয়োগ হচ্ছে না। এটা সরকারের ব্যার্থতার প্রমাণ কিনা তা জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান চান বলছেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারের ব্যার্থ হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারের সফলতা রয়েছে। কিছু জামাতি চক্র বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে এতে করে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সনদ জালিয়াতির খবর আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পাই। এটা দূখঃজনক। সরকারের ভেতরে জামাতি চক্র শক্তিশালী হয়ে উঠছে বলেও তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন আপনি খোঁজ নিয়ে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশে এক লোক বহু বছর একই পদে বসে আছে। তার নামে দুর্নীতি প্রমানিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন তদন্ত করে তাদের নিজেদের কর্মকর্তার নামে দুর্নীতির প্রমান পাওয়ার পরেও সে এখন কমিশনের সেকেন্ড ম্যান। ওই সেকেন্ড ম্যানের নাম জানতে চাইলে তিনি আলেন আপনারা সাংবাদিকরা জানেন তার নাম আমার মুখ থেকে বলতে পারছি না।
২০০১ সাল থেকে ঢাকার উত্তরায় এবং পরবর্তীতে সাভার আশুলিয়ায় বঙ্গবন্ধু সড়কে সরকারের অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল তসরুপ বিদেশে অর্থ পাচার টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি এবং জঙ্গি জামাত এবং যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিপোষণ দেয়াসহ নানারকম অভিযোগ থাকার পরেও আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্ববিদ্যালয়টির ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতি অবলম্বন করা সরকার এই জঙ্গি নেতা মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেকের অপরাধ ও অপকর্মের বৈধতা দিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এই অবৈধ বিশ্ববিদ্যালয়টির ভূয়া সনদ বিতরণ করতে ২০১৭ সালে তাদের আয়োজিত একটি সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। উপাচার্য ছাড়া একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন হয় কিভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী বলছেন আমি ওই সমাবর্তনে গিয়েছিলাম কিনা তা এখন মনে পড়ছে না। নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে আমি সঠিক উত্তর দিতে পারবো। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ওই সমাবর্তনের কোন অনুমতি দেয়নি তবুও কথিত আছে আপনি এককোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ করে ওই সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করছেন! এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন প্রশ্নই ওঠেনা আমি কোন কাজের জন্য কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুষ নেইনি। সরকারি কর্মকর্তাদের রয়ে সয়ে অল্প অল্প ঘুষ গ্রহণ করতেই পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন সাবেক এই মন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।
এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আনিসুর রহমান বলছেন সাবেক ওই শিক্ষামন্ত্রীকে এক কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য তাকে রাজি করানো হয়েছিলো। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে চাকুরী হারানো শিক্ষক গোলাম রাব্বানী বলছেন ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে অতিথিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করানোর লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আক্তারুজ্জামানকে। সেই অবৈধ সমাবর্তনের মূল বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ততকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আক্তারুজ্জামান। বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং সংস্থা ইউজিসির কোন কর্মকর্তা সেই সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বলছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ কবে কোথায় সমাবর্তন করছে সেবিষয়ে কমিশনের কোন কর্মকর্তা জ্ঞাত নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সুত্রে জানা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির নামে বাড়িভাড়া খাতে দুর্নীতি, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই বেআইনিভাবে তহবিল পরিচালনাসহ নানা রকম অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে ২৮ বছরের পুরোনো এই ইউনিভার্সিটিটির বিরুদ্ধে। ২০০১ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি অবৈধভাবে পরিচালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাষ্টি বোর্ড পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল ইউজিসি। এখন তারই আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়টির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক একজন দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়টির বাড়িভাড়া খাতে বড় ধরনের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। ক্যাম্পাস না থাকা সত্ত্বেও ক্যাম্পাস দেখিয়ে ভাড়া হিসেবে টাকা আত্মসাৎ করছে তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় ব্যক্তি নামে ফ্ল্যাট কেনাছাড়াও তিনি একটি বাসভবনে অবস্থান করছে সেই বাড়িটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে। তিনি সেখানে অবৈধভাবে বসবাস করছে। স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে গঠন করা ট্রাস্টের অনুকূলে বাড়িভাড়া পরিশোধসহ প্রতিটি লেনদেনই সন্দেহজনক ও আইনবহির্ভূত। মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ জঙ্গিবাদ ও সরকারবিরোধী কার্যক্রমে অর্থায়নে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই কিছু পদক্ষেপ মন্ত্রণালয় সরাসরি না নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। সাদেকের অপরাধের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে কঠোর হতেও পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সূচনালগ্ন থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২৭ বছর আচার্য ও রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা কোষাধ্যক্ষ ছিল না। এ জন্য আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ তহবিল পরিচালনা করা হয়নি। তাই ২০১০ (সংশোধিত আইন পাসের সময়) সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির সব আয়-ব্যয় বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত বহির্নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানগুলোর (সিএ ফার্ম) মধ্যে থেকে সরকার মনোনীত একটি ফার্ম দিয়ে পুনরায় নিরীক্ষা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ পুনর্গঠন ও পুনরায় নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া বা ইউজিসির পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধু শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং জরুরি একাডেমিক ব্যয় ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে অন্য কোনো খাতে ব্যয়, বিনিয়োগ বা তহবিল স্থানান্তর করতে পারবে না।
ছাত্র শিবির অধ্যুষিত বিভাগীয় শহর রংপুরের কারমাইকেল কলেজের সাবেক শিবির সভাপতি মাহবুবুর রহমান দীর্ঘদিন জঙ্গি নেতা মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেকের সাথে কাজ করেন। মাহাবুবুর রহমান ভূয়া উপাচার্য যুদ্ধাপরাধী মাওলানা সাদেকের বিশেষ সহকারী হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে। বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচালনায় মনিটরিং কর্মকর্তা হিসেবে দ্বায়িত্ব নিয়ে এই মাহবুবুর রহমান বর্তমান উপাচার্য শাজানের ব্যাক্তিগত সহকারী পরিচয় দিলেও তার কোন ভিজিটিং কার্ড চাইলে তিনি বলেন আমি রুটিন দ্বায়িত্বে আছি। যুদ্ধাপরাধী মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেকের কুকর্মের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সাবেক ভিসি মাওলানা সাদেকের বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। সাদেকের সাথে যোগাযোগ করে তার মন্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার বার্তা পাঠিয়ে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
এমএসএম / এমএসএম