ঢাকা সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

মুখোশ উন্মোচনের জন্যই এতো ধৈর্য্য ধরাঃ এমপি আজিজুল ইসলাম


সোহেল পারভেজ, কেশবপুর photo সোহেল পারভেজ, কেশবপুর
প্রকাশিত: ৪-৮-২০২৪ দুপুর ৩:৬

সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৯০ যশোর ৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ আজিজুল ইসলাম এমপি নিজের ফেসবুক ‘কেএম আজিজ’ নামক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে গত শনিবার দিনগত রাতে স্ট্যাটাসে লিখেছেন ৭৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হেরে যাবে ইসরাইলের দোসর নুরা পাগলার হাতে জন্ম নেয়া ছাত্রশক্তি করা স্বাধীনতা বিরোধী সমন্বয়কদের হাতে??? 
আরে ভাই,  বাংলাদেশের জন্ম দিছে আওয়ামী লীগ।  সেই আওয়ামী লীগরে তোমরা দফা শেখাও? 
তিনি আরও লেখেন, আপনাদের মুখোশ উন্মোচনের জন্যই এতো ধৈর্য্য ধরা। সরকার নিশ্চিয়ই ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে কোন ভুল করেনি। এবার লড়াই হবে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের বিরুদ্ধে। বাজান আমরা যহন ক্লাশ ছাড়ছি তহন তোমরা ফুটোও নাই। জাস্ট ধৈর্যের চরম পরীক্ষা দিয়ে  দেশবাসীকে স্বাক্ষী রাখলাম। 

ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ কি জিনিস এইবার দেখবা। লগি, বৈঠা কি জিনিস এইবার বুঝবা। আরেকটা ১৫ই আগাস্ট ঘটাবা? দেশকে আরেকবার স্বাধীন করে পাকিস্তান বানাবা? সব হিসেব চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এইবার লড়াই হবে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বনাম স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির।

তিনি গত বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) নিজের ফেসবুক ‘কেএম আজিজ’ নামক আইডি থেকে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন এমপি আজিজুল ইসলাম। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন।
তিনি লিখেছেন ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনের কষ্ট দূর করতে এই মুহুর্তে করণীয় কী?’ নামের এক পোস্টে এই মন্তব্য করে ফেসবুক স্টাটাসে তিনি বলেন, ‘যেভাবে চলছে তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লেগে যাবার কথা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার কোনো সলিউশন (সমাধান) হতে পারে না। আমি মনে করি, যে সকল শিক্ষার্থীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই তাদের গ্রেফতার করাটা অযৌক্তিক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাইলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধরপাকড় করাটা মোটেও সুখকর হবে না। বরং এই মুহুর্তে সরকারের উচিৎ হবে যে সকল সাধারণ শিক্ষার্থী গ্রেফতার হয়েছে সেই সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসি, শিক্ষামন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, রাষ্ট্রের সর্বজনমান্য কিছু অভিভাবক, আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক এবং জাতীয় অধ্যাপকদের নিয়ে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিস্থিতি ফেরাতে একটা সার্বজনীন ডায়লগের ব্যবস্থা করা।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ প্রশমিত করতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দেখানোই হবে এখন সময়ের সেরা সিদ্ধান্ত। একটা পক্ষ তো চাচ্ছেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাধে বন্দুক রেখে সরকার পতন করতে। দুষ্কৃতকারীদের সেই সুযোগও নষ্ট হবে এরকম কিছু করলে ‘সেতুমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে এই এমপি লেখেন, ‘সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় যেই দুজন লোকের ওপর শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ সেই ওবায়দুল কাদের সাহেব এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এখনও সেভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে দেখলাম না। অবশ্যই সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। এতোগুলে তাজা প্রাণ চলে গেছে। দায়িত্বশীলরা শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইলে দোষের কিছু দেখি না। দায়িত্বশীলদের দায়িত্বও যেমন নিতে হয়, তেমনিভাবে দায়ও নিতে হয়। একটা দেশ এ রকম অচলাবস্থায় থাকতে পারে না। দেশ ও দশের মঙ্গলের জন্য রাষ্ট্রকেই এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনের ক্ষোভ প্রশমনে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন ‘
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি যেহেতু কোনো রাজনৈতিক দলের নয়, সেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয়দের এখানে যথাযথ ভূমিকা রাখা উচিত। আর শিক্ষার্থীদের দিক যদি ভিসিরা দেখাতে ব্যর্থ হন আমি মনে করি না তাদের ওই পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার আছে। দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষরা শান্তি চায়। আর কোনো হানাহানি দেখতে চায় না। গত ২ থেকে ৩ সপ্তাহে দেশ যতটুকু পিছিয়ে গেছে আর পিছিয়ে যাবার সুযোগ নেই। সকলের মধ্যে শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। দেশে শান্তি ফিরে আসুক। 

এবিষয়ে কেশবপুর ডিগ্রি কলেজ শিক্ষার্থীরা বলেন,  কোটা আন্দোলন আমরা ছাত্র সমাজ করেছিলাম। আমাদের দাবির সঙ্গে যশোর-৬ কেশবপুর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ আজিজুল ইসলাম এমপি সহমত প্রকাশ করেছেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষে তিনি যেমন রয়েছেন আমরা শিক্ষার্থীরা মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ আজিজুল ইসলাম এমপির সঙ্গে আছি থাকব ইনশাআল্লাহ। কিন্তু এখন আন্দোলনটি ছাত্রদের মধ্যে নেই জামাত, শিবির, বিএনপিদের মধ্যে চলে গেছে। দেশে অস্থিরতা অরজগতা সৃষ্টি করতে চায় তারা। তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। তার এই স্ট্যাটাসে শিক্ষার্থীদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। 

অভিভাবকরা বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েদের আন্দোলন ছিল কোটা আন্দোলন। আমাদের ছেলে মেয়েদের শিশু শ্রেণি থেকে কলেজ, ইউনিভার্সিটি, মেডিকেল  পড়াতে কত টাকা খরচ হয় তা একজন কৃষক বাবা-মা যানেন। গরীবের টাকা হাতিয়ে নিয়ে যারা নিজের ছেলে-মেয়েদের বিদেশে পড়ান তাঁরা বুঝতে পরবেন না। এই গরীবের গায়ের ঘাম ঝরান রক্তের বিনিময়ে একজন শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক, কবি সাহিত্যিক তৈরি হয়। তাদেরকে গুলি করে মারা হচ্ছে। ধিক্কার জানাই এহেন কাজের। এখনো সময় আছে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিন। নয়তো আমরা অভিভাবক ঘরে বসে থাকব না। সন্তানদের সঙ্গে আন্দোলনে নেমে পড়তে হবে। এতদিন আমাদের ছেলে মেয়েদের আন্দোলন ঠিকঠাক ছিল কিন্তু সুযোগটি কাজে লাগাতে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে আমাদের সন্তানদের আন্দোলনকে ব্যাহত করেছে। ওদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

এমএসএম / এমএসএম

বিদ্যালয়ের জমি দখল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চিতলমারীতে মানববন্ধন

মাদারীপুরে কুকুরের উপদ্রব: জনভোগান্তি চরমে, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

সাভা‌রে সাবেক ইউপি সদস্যের নির্মানাধীন বাড়ি অবরুদ্ধ করে চাঁদা দাবি

বড়লেখায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে নাগেশ্বরীতে মাদক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহসচিবের সাথে ইরানী প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত

বরগুনায় চেক প্রতারণার মামলায় পলাতক প্রতারক জসিম কারাগারে

মান্দায় সওজের জমি দখল করে রেস্টুরেন্ট নির্মানের অভিযোগ

লোহাগড়ায় বিএনপি নেতাদের সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুরে " জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেম-ওলামাগণের ভূমিকা " শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ঈশ্বরদীতে উপজেলা ও পৌর বিএনপি নেতাদের সংবাদ সম্মেলনে হাইব্রিড নেতাদের মুখোশ উন্মোচন

আদমদীঘিতে আওয়ামীলীগ ও কৃষকলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জ ডিবি পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী নেন্টু গ্রেফতার