সংবাদ প্রকাশের পর খেয়াঘাটের নারী মাঝি চপলা রাণীর পাশে উপজেলা প্রশাসন

সংবাদ প্রকাশের পরদিনই সরকারি সহায়তায় এক বান জিআর ঢেউটিন ও নগদ ৩ হাজার টাকা পেলেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা নতুন বাজার থেকে গোপীনাথপুর মনোপীরের মাজার বটতলা খেয়াঘাটের জীবনযুদ্ধের সংগ্রামী নারী মাঝি চপলা রাণী দাস। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দৈনিক সকালের সময় পত্রিকায় প্রকাশিত ‘জীবন যুদ্ধে সংগ্রামী নারী খেয়াঘাটের মাঝি চপলা রাণী দাস’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের দৃষ্টিগোচর হলে চপলা রাণী দাসকে এক বান (জিআর প্রকল্প) ডেউটিন ও নগদ ৩ হাজার টাকা দেয়ার বিষয়টি মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন। সরকারি সহায়তা পেয়ে চপলা রাণী দাস উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপজেলা ভবনের সামনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম এক বান ঢেউটিন ও নগদ ৩ হাজার টাকা চপলা রানী দাসের হাতে তুলে দেন। এছাড়াও তিনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ আরো ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মানিকুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মালা বড়াল প্রমুখ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গণমাধ্যমে চপলা রাণীর এমন জীবনযুদ্ধের সংবাদ প্রকাশে বিষয়টি আমি জানতে পারি। সাথে সাথে আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানাই এবং প্রাথমিকভাবে এক বান জিআর ঢেউটিন ও ৩ হাজার টাকা এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো ৫ হাজার টাকাসহ মোট ৮ হাজার টাকা নগদ প্রদান করি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য উপজেলা প্রশাসন সবসময়ই পাশে আছে এবং থাকবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা তুলে ধরে এমন সংবাদ পরিবেশনের জন্য উপজেলার সাংবাদিকদেরও তিনি ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, পঞ্চাশোর্ধ্ব চপলা রাণী দাস উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত সুবাস চন্দ্র দাসের স্ত্রী। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে সংসার জীবনে এ দম্পতি ছিলেন চার সন্তানের জনক জননী। বড় মেয়ে সরস্বতী রাণী দাসের বিয়ে হয়েছে অনেক আগেই। বড় ছেলে সঞ্জীব চন্দ্র দাস পেশায় কাঠমিস্ত্রিরির সহকারী হিসেবে কাজ করে। সে টাঙ্গাইলে বিয়ে করে ওখানেই কাঠমিস্ত্রীরির কাজ করে। ছোট মেয়ে তুলশী রাণী দাস ও ছোট ছেলে আকাশ চন্দ্র দাসকে নিয়ে স্বামীর রেখে যাওয়া ৪ শতাংশ জায়গার ওপর প্রায় ১৫ বছর আগে কারিতাসের দেয়া একটি ঘরে বসবাস করেন চপলা রাণী দাস। ঘরটিও টাকার অভাবে মেরামত করতে না পারায় জরাজীর্ণ অবস্থায় বাস করছেন।
১৬ বছর আগে ব্রেন স্ট্রোকে মারা যান সুবাস চন্দ্র দাস। তখন থেকেই শিশু সন্তানদের নিয়ে স্বামীর রেখে যাওয়া খেয়া নৌকা চালিয়ে সংসারের হাল ধরেন চপলা রাণী দাস।
এমএসএম / জামান

বড়লেখায় জীবননাশ ও গুমের আশঙ্কায় আতংকিত ব্যবসায়ী

নাসা গ্রুপের কর্মরত শ্রমিকদের পাওনা বেতন প্রাপ্তির লক্ষ্যে যৌথ আলোচনা সভা

অ্যাকুয়াকালচার নীতির প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মোরেলগঞ্জে চার লাখ মানুষের সুপেয় খাবার পানির অভাব

রৌমারী উপজেল্ াস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ছের গাছের কি দোশ

দুর্গাপূজায় কোন ঝুকি নাই, নিরাপত্তা আমরা দিব, দুর্গাপূজা শুধু একটি উৎসব নয়, এটি বাঙালির সম্প্রীতি ও মহোৎসব

টেকনাফে যৌথ অভিযানে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

হাটহাজারী সাব রেজিস্টার অফিসে মূল দলিলের পাতা গায়েব করে ভুয়া পাতা সংযুক্ত

রাঙামাটিতে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন

বিশ্ব পর্যটন দিবসে পরিচ্ছন্ন অষ্টগ্রাম গড়ার শপথ

কাশিয়ানীতে বাস ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত-৪, আহত-৩

কেশবপুরের সাংবাদিক কন্যা সোনালী মল্লিক পেলেন ইয়েস কার্ড'
