গাজীপুরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজরের চেষ্টা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৭ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ওপর নিপীড়ন ও মামলাসহ বিভিন্নভাবে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, তখন আওয়ামী নেতাকর্মীরা যখন নীরবে চলে যায়, ঠিক তখনই একদল দুষ্কৃতকারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্নভাবে বিএনপির সক্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং যারা দুঃসময় দলের হাল ধরেছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ও গুজব ছড়াচ্ছে।
কয়েক দিন আগে গাছা থানা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহীন মিয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী শাহীন মিয়ার ছবি বিকৃতি করে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতাদের সাথে সুপার এডিট করে তাকে আওয়ামীপন্থী এবং বিএনপির হাইব্রিড নেতা হিসেবে গুজব রটানোর চেষ্টা চলছে।
বিএনপি নেতা শাহীন বলেন, আমি ছাত্রদল করে এ পর্যায়ে এসেছি। একমাত্র আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না বিধায় ম্যানেজমেন্টে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেও আওয়ামী সরকারের আমলে সরকারি চাকরিও ভাগ্যে জোটেনি। এমনকি বিটিআরসি থেকে রকেট ইন্টারনেট সার্ভিস নামে বৈধ লাইসেন্স নিয়ে নিয়মিত ট্যাক্স-ভ্যাট দিয়েও ব্যবসা করতে পারিনি ঠিকমতো। বিভিন্ন হুমকি এবং ভয়ভীতির মধ্যে জীবনযাপন করতে হয়েছে। তাহলে আওয়ামী নেতাদের সাথে কিসের সম্পর্ক আমার, এটাই আমার প্রশ্ন।
কয়েকটি দুষ্কৃতকারী মহল আমার ছবি সুপার এডিট করে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে বসিয়ে আমার হাইকমান্ডের কাছে ভুল বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছে। আমি এই দুষ্কৃতকারীদের ভিত্তিহীন ও মিথ্যাচার নিয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গাছা থানা বিএনপির সভাপতি বাবুল সিপাইয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি কুচক্রী মহল আমাদের নেতাদের সুনাম নষ্ট করার জন্য এরকম করে যাচ্ছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আলী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, ইদানীং এ বিষয়গুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এর আগেও অনেক নেতার বিরুদ্ধে এ ধরনের গুজব ছড়ানোর অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।
T.A.S / জামান