ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

অপরিণত বিবাহ বা বাল্যবিবাহ : রোকসানা আক্তার জুঁই


তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ photo তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ
প্রকাশিত: ১৩-১০-২০২৪ দুপুর ১২:১

আমাদের দেশে নানা ধরনের সামাজিক সমস্যার মধ্যে শিশুবিবাহ বা বাল্যবিবাহ অন্যতম কঠিন সামাজিক সমস্যা হিসেবে স্বীকৃত। অসহায়, দরিদ্র আবার অনেক সময় সংস্কারের ফলে সারাদেশে প্রতিদিন অসংখ্য বাল্যবিবাহ হচ্ছে। ১৯২৯ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধক আইন পাস হয়। ফলে মেয়ে এবং ছেলেদের বিবাহের ন্যূনতম বয়স ১৪ ও ১৮ বছর ধার্য হয়। বর্তমানে দেশে এই বয়সের সীমা পাল্টে মেয়েদের ১৮ ও ছেলেদের ২১ বছর নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

নির্দিষ্ট শারীরিক কাঠামো গড়ে ওঠার আগেই অল্প বয়সের বিবাহকে অপরিণত বিবাহ বা বাল্যবিবাহ বলা হয়। সামাজিক নানা কুসংস্কার, দরিদ্রতা ও শিক্ষার অভাবের জন্য বাল্যবিবাহের মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। বাল্যবিবাহে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ওপরই প্রভাব পড়ে। তবে মেয়েদেরই বেশি সমস্যা হয়।

মাধ্যমিক পাস করলেই মেয়েদের জোর করে বিবাহ দেয়া গ্রামাঞ্চলের মানুষের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। বাল্যবিবাহ বৃদ্ধির সাথে নারীশিক্ষার হারও কমে যাচ্ছে। মৃত্যু ঘটছে নবজাতক ও তাদের মায়ের। পুষ্টির অভাবে অনেক শিশুই বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ছে। বাল্যবিবাহের পরিণতি হিসেবে বিবাহবিচ্ছেদের হারও বেড়ে গেছে।

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। রেডিও, টিভি, সংবাদপত্রের পাশাপাশি সমাজের শিক্ষিত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর কুফল সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। বতমানে পশাসনের সহায়তায় বহু বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। পশাসনের পাশাপাশি সরকার ও সমাজকল্যাণমূলক সংস্থাগুলো সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ালে বাল্যবিবাহকে দ্রুত রোধ করা যাবে। বর্তমান সমাজে বাল্যবিবাহ একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমএসএম / জামান