মিরসরাইয়ের শাহেরখালী খালের ওপর সাঁকো দিয়ে দুই ইউনিয়নের মানুষের পারাপার
স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি কেউ। দুটি ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচলের ভরসা এই একটি মাত্র সাঁকো। সেই সাঁকো পারাপার করতে করতে বহু তরুণ বয়সের ভারে এখন ন্যুব্জ। এখন সাঁকো পার হওয়ার শক্তি হারিয়ে হাতে লাঠি ভর দিয়ে চলেন তাঁরা। এরমধ্যে যতবার নির্বাচন এসেছে, ততবার প্রতিশ্রুতি শুনেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে বাস্তবায়নের পাশে নেই কেউই।
জানা যায়, উপজেলার মায়ানী ও শাহেরখালী ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষে বয়ে যাওয়া শাহেরখালী খালে অবস্থান এই সাঁকোটির। এ দিয়ে চলাচল করেন দক্ষিণ মঘাদিয়া, মধ্যম মঘাদিয়া, খোনার পাড়া, মোল্লা পাড়া, পশ্চিম শাহেরখালীর কয়েকটি জেলেপাড়ার হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া আনন্দ বাজার, গজারিয়া বাজার আমতলা বাজার থেকে লোকজন সাইকেল নিয়ে হেঁটে সাঁকো পার হচ্ছেন। কারণ, সাঁকোর দুই পাশে ধরার হাতল না থাকায় একটু অন্যমনস্ক হলে যে কোনো সময় পড়ে যাওয়ার ভয়ও রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরউদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘৭১ সালের পর থেকে এমপি-চেয়ারম্যান সবাই এখানে সেতু তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন। অথচ সেতু আজ পর্যন্ত হয়নি। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যেতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীদের বই খালের মধ্যে পড়ে যায়। রাত-বিরাতে হাটবাজারে যাতায়াত করতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। একটু অসতর্কভাবে হাঁটলে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। ভরা বর্ষায় সেতু ভেঙে গেলে গ্রামবাসীকেই মেরামত করতে হয়।
স্থানীয় জেলে হরিলাল জলদাস জানান, সাগর থেকে মাছ ধরার পর অনেক কষ্টে সাঁকো পার হয়ে বাজারে নিতে হয়। যানবাহন না থাকায় অনেক সময় বাজারে নেয়ার আগে মাছ নষ্ট হয়ে যায়। হাসপাতালে যাতায়াত করতে মানুষের বেশি সমস্যা হচ্ছে।
মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহম্মদ নিজামী বলেন, দুই বছর আগে এখানে সেতু নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়ে তা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় গিয়েছিল। পরে আর্থিক সংকট দেখিয়ে তা বাতিল করা হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, ৩৭ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণ সম্পন্নের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
এমএসএম / জামান