গাজীপুরে বিএনপি নেতা সালাম মন্ডলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টির চেষ্টা
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১৬ বছর এর শাসনামলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উপর নিপীড়ন ও মামলা সহ বিভিন্নভাবে বেকায়দায় ফালানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয় ঠিক তখন আওয়ামী নেতা কর্মীরা যখন নীরবে চলে যায় ঠিক তখনই একদল দুষ্কৃতিকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে বিএনপির সক্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং যারা দুঃসময় দলের হাল ধরেছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ও গুজব ছড়াচ্ছে।
গত কয়েকদিন আগে গাছা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুস সালাম মন্ডলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী আব্দুস সালাম মন্ডলের ছবি বিকৃতি করে আওয়ামী লীগের হেভি ওয়েট নেতাদের সাথে সুপার এডিট করে বিএনপি নেতা সালামকে আওয়ামী পন্থী এবং বিএনপি’র হাইব্রিড নেতা হিসেবে গুজব রটানোর চেষ্টা চলছে।বিএনপি নেতা সালাম বলেন,যেহেতু আমি পেশায় একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার তাই রাজনীতির পাশাপাশি ডেসকোতে চাকুরী করতাম , বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় আওয়ামী সরকারের আমলে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
সেখানেই ক্ষান্ত হয়নি ফ্যাসিবাদী সরকার ও তার দোসররা দিনের পর দিন পালা করে পুলিশ বাড়িতে অভিযান চালানোর কারণে এলাকাতে থাকতে পারিনি,কাটাতে হয়েছে অনেক নির্ঘুম রাত ও বিচ্ছিন্ন ছিল পরিবারের সকলের সাথে যোগাযোগ।
হতে হয়েছে গ্রেফতার খাটতে হয়েছে জেল আমার রাজনীতি করার কারণে আমার পরিবারকেও হতে হয়েছে আওয়ামী গুন্ডা বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেনস্থার শিকার। বিনা অপরাধে আমাকে না পেয়ে আমার ছোট ভাই আব্দুস সামাদ মন্ডলকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ তার উপরেও নির্মম নির্যাতন চালিয়ে তাকেও পাঠানো হয় কারাগারে।
আমি কারাগার থেকে জামিনে বের হওয়ার পর পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে "হাজী কফিল উদ্দিন রাইস এজেন্সি" নামে মালেকেরবাড়ী বাজারে শুরু করি পাইকারী চাউলের ব্যবসা, সেখানেও হামলা চালিয়ে বন্ধ করে দেয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। লুটপাট করা হয় দোকানের মালামাল এতে আমার প্রায় ২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।
বৈধ লাইসেন্স নিয়ে নিয়মিত ট্যাক্স-ভ্যাট দিয়ে ও ব্যবসা করতে পারিনি ঠিকমতো,বিভিন্ন হুমকি এবং ভয়ভীতির মধ্যে জীবন যাপন করতে হয়েছে তাহলে আওয়ামী নেতাদের সাথে কিসের সম্পর্ক আমার, এটাই আমার প্রশ্ন।
তিনি আরো বলেন দলকে ভালোবেসে যৌবন বিসর্জন দিয়েছি প্রয়োজনে দেশ ও দলের জন্য জীবনটাও দিতে রাজি আছি। কয়েকটি দুষ্কৃতিকারী মহল আমার ছবি সুপার এডিট করে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে বসিয়ে আমার হাই কমান্ড এর কাছে ভুল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
বিএনপি নেতা সালাম আরো বলেন,আমি এই দুষ্কৃতিকারীদের ভিত্তিহীন ও মিথ্যাচার নিয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গাছা থানা বিএনপি’র সভাপতি বাবুল সিপাই’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন একটি কুচক্রীমহল আমাদের নেতাদের সুনাম নষ্ট করার জন্য এরকম করে যাচ্ছে তবে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আলী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, ইদানিং এই বিষয়গুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এর আগেও অনেক নেতাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের গুজব ছড়ানোর অভিযোগ পেয়েছি এবং এই বিষয়গুলো খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
T.A.S / T.A.S