ঢাকা রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পদ্মার ভয়াল থাবায় লণ্ডভণ্ড হরিরামপুরের চরাঞ্চলগুলো


আবিদ হাসান, হরিরামপুর photo আবিদ হাসান, হরিরামপুর
প্রকাশিত: ৩-৯-২০২১ দুপুর ৩:৫৪

পদ্মা-যুমনার অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে পানির তোড়ে পদ্মার ভয়াল থাবার মুখে লণ্ডভণ্ড হচ্ছে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের দুর্গম চরাঞ্চলের আজিমনগর, সুতালড়ি, লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের হাতিঘাটা, নুসরতপুর, ইব্রাহিমপুর, হরিণাঘাটসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। প্রতিদিনই গাছপালাসহ ভিটেবাড়ি গ্রাস করছে সর্বনাশী পদ্মা। ফলে ভাঙন আতংকে অসহায় হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, গত ২৮ আগস্ট (শনিবার) রাতে চরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নের জনগণের একমাত্র চিকিৎসা সেবার অবলম্বন হাতিঘাটা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রটি সম্পূর্ণরূপে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পর গত ৩১ আগস্ট (মঙ্গলবার) রাতে হাতিঘাটার ইব্রাহিমপুর জামে মসজিদের একাংশ ভাঙনের কবলে পড়ে। ফলে এলাকাবাসী পরদিন বুধবার সকালে মসজিদের টিনের ঘরসহ আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেন এবং ওই দিনই মসজিদটির ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়াও গত মঙ্গলবার রাতেই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হান্নান মৃধার ভিটেবাড়িও নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ফলে ভাঙন আতংকে এলাকাবাসী ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।

সাবেক চেয়ারম্যান হান্নান মৃধার ভাতিজা মহিদুর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার সকালে এখানে পরিদর্শনে আসেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইন উদ্দিন, হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শন শেষে ডিসি স্যার জিওব্যাগ ফেলার কথা জানান। কিন্তু এখনো তা শুরু হয়নি। পদ্মার অস্বাভাবিক ভাঙনের ফলে এলাকাবাসী এখন ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। যেদিন তারা পরিদর্শন করে গেছেন, ওই দিন রাতেই ইব্রাহিমপুর জামে মসজিদসহ বেশ কয়েকটি ভিটেবাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা নদীতে চলে গেছে।

৯নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল হালিম জানান, গত দুদিনে ভাঙনের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। এ পর্যন্ত হাতিঘাটা পূর্বপাড়া থেকে ২৫-৩০টি পরিবার তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে গেছে এবং আরো সরাচ্ছে। জিওব্যাগ ফেলার কথা শুনছিলাম কিন্তু এখনো তা ফেলেনি। তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ না নিলে এই ইউনিয়নই টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে যাবে।

এনায়েতপুর গ্রামের নাসির জানান, জিওব্যাগ ফেলার আশ্বাস পেলেও এখনো তা কার্যকর হয়নি। ফলে অনেকেই ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন।

হাতিঘাটার গণকল্যাণ ট্রাস্টের ম্যানেজার সামজু মিয়া জানান, ভাঙনের ভয়াবহ অবস্থা দেখে আমাদের অফিসের ঘরসহ আসবাবপত্র সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইন উদ্দিন মুঠোফোনে এ ব্যাপারে জানান, আমরা এখনো কাজ করার অনুমতি পাইনি। তবে চেষ্টা চলছে। তাছাড়া বর্তমানে পানি বিপদসীমার প্রায় ৬০-৭০ সে.মি উপরে আছে। তাই এখন কাজও করা যাবে না। ২-৩ দিনের মধ্যে পানি কমতে থাকবে। এরমধ্যে অনুমোদন পেলে তখন কাজ শুরু করব। কাজটা যেন দীর্ঘমেয়াদি হয় আমরা সে ব্যবস্থাই করার চেষ্টা করছি। এখন জিওব্যাগ ফেললেও তা টিকবে না। তাই সাময়িকভাবে একটু কষ্ট করতে হবে।

এমএসএম / জামান

থমথমে খাগড়াছড়ি, ১৪৪ ধারা বলবৎ

বড়লেখায় জীবননাশ ও গুমের আশঙ্কায় আতংকিত ব্যবসায়ী

নাসা গ্রুপের কর্মরত শ্রমিকদের পাওনা বেতন প্রাপ্তির লক্ষ্যে যৌথ আলোচনা সভা

অ্যাকুয়াকালচার নীতির প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মোরেলগঞ্জে চার লাখ মানুষের সুপেয় খাবার পানির অভাব

রৌমারী উপজেল্ াস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ছের গাছের কি দোশ

দুর্গাপূজায় কোন ঝুকি নাই, নিরাপত্তা আমরা দিব, দুর্গাপূজা শুধু একটি উৎসব নয়, এটি বাঙালির সম্প্রীতি ও মহোৎসব

টেকনাফে যৌথ অভিযানে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

হাটহাজারী সাব রেজিস্টার অফিসে মূল দলিলের পাতা গায়েব করে ভুয়া পাতা সংযুক্ত

রাঙামাটিতে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন

বিশ্ব পর্যটন দিবসে পরিচ্ছন্ন অষ্টগ্রাম গড়ার শপথ

কাশিয়ানীতে বাস ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত-৪, আহত-৩

কেশবপুরের সাংবাদিক কন্যা সোনালী মল্লিক পেলেন ইয়েস কার্ড'