ঢাকা শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মোতাওয়াল্লী রূপে গোপালগঞ্জের শয়তান

মসজিদের নামে জমি দখলের চেষ্টা করছে মল্লিক বিল্ডার্স


শামীম আহমদ photo শামীম আহমদ
প্রকাশিত: ১৩-২-২০২৫ দুপুর ১:৫১

সরকারের ঘোষিত ডেভিল হান্ট বা শয়তান ধরা অভিযান ঘোষণার প্রথম দিন গোপালগঞ্জের এক শয়তান ঢাকার উত্তরায় অন্যের জমিতে মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। অন্তরে শয়তানি থাকলেও দুধের মতো সাদা পাঞ্জাবি ও মক্কা শরীফের ছবিযুক্ত সুন্নতী টুপি পরা সাজীদ মেহেরাব মহাসড়কের ফুটপাত ধরে হেটে আসছে সকালের সময়ের বিশেষ প্রতিনিধিকে অভ্যর্থনা জানাতে। গতকাল রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দিন বাস বে-তে সকালের সময়ের বিশেষ প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাৎ হয় আব্দুল হাকিম আল আকসা জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লীর সাথে। অথচ অনেকেই জানেনা এই লেবাসধারী একজন ভুয়া মোতাওয়াল্লী ও সন্ত্রাসী চক্রের সহায়ক শয়তান। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ৭নং ভাবড়াশুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত্যু আব্দুল হাকিমের ছেলে। শেখ হাসিনা পতনের পরে গোপালগঞ্জের সেই সাজীদ মেহেরাব সুন্নাতী টুপি পাঞ্জাবি পাজামা পড়ে নিজে নতুন নাম রেখছে হাজী মোঃ সাহেব আলী মল্লিক। অবৈধভাবে জোরপূর্বক অন্যের জমি দখল করে সেই জমিতে মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা বলে নিজেই সেই মসজিদের মোতাওয়াল্লী দাবী করতেছে।

রাজধানীর উত্তরখানের ৪৫ নং ওয়ার্ডে মধ্যেপাড়া বালুরমাঠ এলাকায় মল্লিক বিল্ডার্স সাইনবোর্ড দিয়ে এই সাহেব আলী মল্লিক শয়তানের ফন্দি ফিকির চলছে। স্থানীয় শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলছে আমরা তাকে সবসময় অলিতে-গলিতে ঘুরাফিরা করতে দেখি। মাথায় টুপি হাতে তছবি থাকলেও এলাকার লোকজন তাকে শয়তান হিসেবে ইঙ্গিত করে। মসজিদ নির্মাণ করার ছুতোয় অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছে তাতে স্থানীয় লোকজন নিন্দা করে। তবুও সকলের সাথে তিনি পরিচিত হচ্ছেন মল্লিক বিল্ডার্সের মালিক ও মসজিদের মোতাওয়াল্লী হাজী সাহেব আলী মল্লিক নামে। মল্লিক বিল্ডার্সের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ সরজমিন পরিদর্শন করতে সকালের সময় আগ্রহী হলে তার আমন্ত্রণ পাওয়া যায়। আমন্ত্রণ অনুযায়ী উত্তরার জসীমউদ্দিন নামক এলাকায় পৌছালে মোতাওয়াল্লী হাজী মো: সাহেব আলী মল্লিক উত্তরার জসীমউদ্দিন এলাকা থেকে সকালের সময় প্রতিবেদকের সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে নিয়ে ৪ নাম্বার সেক্টরের ৪ নাম্বার সড়কের ১৫ নাম্বার বাড়িতে নিয়ে যায়। আবাসিক ওই বাড়ির তৃতীয় তলায় মল্লিক বিল্ডার্সের কোন সাইনবোর্ড বা কোন কাগজপত্র নেই। একটি মেয়ে ছিলো সেই ফ্লাটে কেবল চা-কফি পরিবেশ করার জন্য। মোতাওয়াল্লী বলছে ওই অফিস তিনি নতুন ভাড়া নিয়েছে তাই সবধরনের ডেকোরেশন করা হয়নি। সেই বাসা থেকে সকালে সময়ের প্রতিবেদককে তিনি নিয়ে যান উত্তরখানের ৪৫ নং ওয়ার্ডে মধ্যেপাড়া বালুরমাঠ এলাকায়। জমির বর্তমান অবস্থা ও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় ওই জমিতে রাইয়ান বিল্ডিং টেকনলোজি লিমিটেড সাইনবোর্ড রয়েছে। সেখানে রাইয়ান বিল্ডিং টেকনলোজির লোকেরা বসতি স্থাপন করছে। অন্যের জমিতে কিভাবে মসজিদের লাগালেন জানতে চাইলে মসজিদের মোতাওয়াল্লী হাজী মোঃ সাহেব আলী মল্লিক বলেন মসজিদের নামে আমি জমি রেজিষ্ট্রেশন করে লিখে দিয়েছি। দুই একদিনের মধ্যেই টিনসেট তৈরি করে মসজিদে নামাজ শুরু করে দেব। রেজিষ্ট্রেশন বা দলিলের ফটোকপি চাইলে তা তিনি দেখাতে পারেনি। ১ লক্ষ বা নূন্যতম ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তার কাছ থেকে জমির শেয়ার বা ফ্ল্যাট বুকিং দিলে তার পরে জমি ক্রয়ের দলিলের দেয়ার কথা স্বীকার করছে। স্থানীয় আশেপাশের মানুষের সাথে এবং জমিতে বৈধভাবে বসবাসকারীদের সাথে নানা বিষয়ে আলাপ হয়ে। জানা গেছে রাইয়ান বিল্ডিং টেকনলোজি লিমিটেডের লোকজন তিন বছর আগে থেকে  ওই জমিতে বসবাস করে। বসবাসকারীদের অভিযোগ মল্লিক বিল্ডার্স নামের এক টুপিওয়ালা তাদের রাতে এসে অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দিয়ে বলে "যদি বাঁচতে চাও তাহলে এই জায়গায় ছেড়ে চলে যেতে হবে"। বসবাসকারীরা কোথায় যাবে জানতে চাইলে উত্তর দিয়ে টুপিওয়ালা বলে কোথায় যাবি জানি না। টুপিওয়ালা মোতাওয়াল্লী বলে- "যদি আমরা পাঠাই তাহলে সোজা কবরে পাঠিয়ে দেব"।

ভুয়া মসজিদের ভুয়া মোতাওয়াল্লী হাজী মোঃ সাহেব আলী মল্লিক গ্রামের বাড়িতেই নানারকম অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলো। তার পিতা আব্দুল হাকিম দুই দশক আগেই মারা গেছে। পিতার আগেই মা মারা যায়। তার পরে ঢাকায় এসে গার্মেন্টে চাকুরী করে। গোপালগঞ্জের লোক তাই সবাই ভয় পেত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এলাকার লোক। সেই প্রভাব ও পরিচয়ে রাজধানীর উত্তরায় প্রভাব খাটানো শুরু করে। গার্মেন্ট চাকরি ছেড়ে শুরু করে সাংবাদিকতার পরিচয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি। নিজেই সংবাদভিত্তিক একটি ওয়েবসাইটের সম্পাদক ও প্রকাশক পরিচয় দেয়। খোঁজ নিয়ে ওই ওয়েবসাইটের কোন ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার ভিজিটিং কার্ড পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় সরকারি অনুমোদনহীন (খোঁজ২৪বিডি) নামের একটি ভুয়া সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক ও প্রকাশক পরিচয় দিয়ে মল্লিক বিল্ডার্স নামের ওই হাউজিং ও রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা চালাচ্ছে। উত্তরখান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে ভুইয়াবাড়ি মোরের একটি সরু সড়কে খুপরি ঘরে এই দাঁড়ি টুপি ওয়ালা মোতাওয়াল্লী নামধারী শয়তান সাহেব আলী মল্লিকের একটি অফিসের সন্ধান পাওয়া যায়। সেই অফিসের আশেপাশের শতাধিক টিনসেট বাড়ি দেখিয়ে বলে সেগুলো তারই ক্রয়করা। শিগগিরই ওসব জমিতে বহুতল ভবনের কাজ শুরু করবেন। আওয়ামী শয়তান হাজী মোহাম্মদ সাহেব আলী মল্লিক এখন নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হয়েছে। অন্যের জমি দখল করে গড়ে তুলেছে মল্লিক কিল্ডার্স নামের একটি নাম সর্বস্ব কোম্পানি। রাজধানীর উত্তরায় উত্তরখান এলাকার কিছু উশৃংখলদের সাথে অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল করে মসজিদের সাইনবোর্ড টানিয়ে সেই জমির শেয়ার বিক্রি হবে বলে মল্লিক বিল্ডার্সের আরো একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রচার করছে। স্থানীয় লোকজন বলছে তিনি কাউকে কখনও ফ্লাট দেয়নি। প্রতারণার অভিযোগে বহুবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে আবার সুকৌশলে ছাড়াও পেয়েছে। তার নামে দেশের ফৌজদারী অপরাধে বা অন্য কোন মামলা থাকতে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

জমির প্রকৃত মালিক রাইয়ান বিল্ডিং টেকনলোজি লিমিটেড বলছে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে জমিতে আমাদের লোকজন ওখানে বসতি গড়েছে। এখন সারা দেশে অজ্ঞাত কিছুলোক নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অন্যের সম্পদ দখল করার চেষ্টা করছে আমার কোম্পানির জমিতে তেমনি ভাবে কিছু সন্ত্রাসী প্রবেশের চেষ্টা করছে। তারা আমার জমিতে সাইনবোর্ড টানিয়েছে শুনছি। জোর জবরদস্তি করে অন্যের জমি কেড়ে নিয়ে সেখানে কি মসজিদ নির্মাণ করা যায়? এমন প্রশ্ন করে রাইয়ান বিল্ডিং টেকনলোজি লিমিটেড মালিক এই প্রতিবেদককে জিগ্যেস করেন একজন সন্ত্রাসী বা দখলবাজ কিভাবে মসজিদের মোতাওয়াল্লী পরিচয় দেয়? আমার সাবকবলা করা জমি সাহেব আলী মল্লিক নামের একজন নিরক্ষর সন্ত্রাসী দখলের চেষ্টা করছে। এই সন্ত্রাসী কিসের মসজিদ তৈরি করবে? ওই সন্ত্রাসীর কোন ধারণা আছে মোতাওয়াল্লী কি? কে কিভাবে মোতাওয়াল্লী হয়? তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন জোরপূর্বক জমি দখল রীতিমতো অন্যায়। তিনি বলেন আমি মহিলাদের নিকট থেকে জমি ক্রয় করেছি ওই মহিলা তিজন শয়তান ধূর্ত প্রকৃতির। মহিলা তিজনকে শুরুতে বুঝতে পারিনি, তারা আমার সাথে নানারকম প্রতারণা করছে। সারোয়ার আক্তার লিলা ওরফে খন্দকার লীলা হক, মিসেস রেখা হোসেন ও দেলোয়ার আক্তার শিলা ওরফে শিলা খান। এই তিন মহিলার মধ্যে বড় শতান রেখা নামের মহিলা। এদের নামে আমি দেশের প্রচলিত আইনে আদালতে মামলা করে রাখছি, যা চলমান আছে।

স্থানীয় লোকজন বলছে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন মালিক সাহেব আলী মল্লিক নামের এই লোক ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিরীহ মানুষের জমিতে অবৈধভাবে জোরপূর্বক সাইনবোর্ড টানিয়ে বড় বিল্ডিং তৈরি করার কথা বলে বহু মানুষের নিকট থেকে টাকা নিয়েছে। রাজউকের অনুমতি পাওয়া যায়নি এমন ছুতোয় গ্রাহকদের ফ্লাট দিত না এবং টাকাও ফেরত দিত না। এভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে মল্লিক বিল্ডার্সের মালিক সাহেব আলী মল্লিকের বিরুদ্ধে। তিনি কিছু জায়গায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে জমির একটি অংশ বিক্রি করে সেই জমিতে আবার বিল্ডিংয়ের ছবি ঝুলিয়ে ফ্লাট বিক্রি করে। এভাবেই প্রতারণা অব্যাহত রাখছে সাহেব আলী মল্লিক। একই প্লট- ফ্লাট একাধিকবার বিক্রি করার পরে ভবন নির্মাণের কথা বলে বিভিন্ন নামে-বেনামে টাকা দাবি করে শেয়ার ক্রেতার নিকট। রাজউক থেকে ভবনের নকশা অনুমোদন করতে ৪০ লাখ টাকা রাজউকে ঘুষ দিতে হবে বলে সেই অনুযায়ী আবারও চাঁদা আদায় করে সকলের নিকট থেকে। এতে শেয়ার ক্রেতাদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলেও কেউ কিছু বলতো না কারণ, সাহেব আলী মল্লিক আওয়ামীপন্থী সন্ত্রাসী। মল্লিক বিল্ডার্স গত তিন বছরে ফায়দাবাদ, দক্ষিনখান এলাকায় সাতটি ১০তলা ভবনের শেয়ার বিক্রির কথা বলে বহু লোকের নিকট থেকে টাকা নিয়েছে। এই সাতটি ভবনের রাজউকের অনুমোদন বাবদ রাজউক কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন সাহেব আলী মল্লিক। বর্তমানে তার কয়েকটি প্রজেক্টের ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। তার কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এসময় সরেজমিনে তার প্রজেক্ট ঘুরে দেখা যায়, ভবন নির্মাণে নগর ইমারত আইন লঙ্ঘনের বহু উদাহরণ। তিনি নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে রাজউককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ভবনের অনুমোদন (প্লানপাশ) করাতে বেশুমার ব্যয় বিষয়ে জানতে চাইলে সাহেব আলী মল্লিক বলেন, এতো বড় ভবনের অনুমোদন নিতে হলে খরচতো লাগেই। তাছাড়া কাজটা তিনি নিজে করেন না, রাজউকের লোক দিয়েই করান। ভবন নির্মাণে রাজউক আইন মানছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইন মেনেই তিনি কাজ করছেন। মোতাওয়াল্লীর চাচাতো ভাই নাজমুল মল্লিক তার সাথে উত্তরায় থাকে ১২ বছর। নাজমুল জানিয়েছে তার চাঁচতভাই সাহেব মল্লিক নিজেও কিছুদিন সাংবাদিক ছিলো এখন জমি ও বিল্ডিংয়ের সাথে জড়িত হয়েছে। সাংবাদিক নাম শুনলে রাজউকের লোকেরা এতো যাচাই-বাছাই করে না। সাংবাদিকতার আগে তিনি গার্মেন্টে চাকরির করছে।

মল্লিক বিল্ডার্সের ভবন নির্মাণের অনিয়মের বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বলছে উত্তরার কিছু লোক ওই কোম্পানীর বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ মৌলিক ভাবে দিয়েছে। লিখত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা কঠিন ব্যবস্থা নিবো। রাজউকের আইন না মেনে নকশার বিচ্যুতি ঘটিয়ে কোন ভবন নির্মাণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি। তিনি বলেন আমরা ইতিমধ্যে অবৈধভাবে নির্মিত ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। অভিযানের পাশাপাশি জরিমানাসহ ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে ওই এলাকায় কয়েকজন বাসিন্দা বলছেন মল্লিক বিল্ডার্স থেকে কেউ ফ্লাট কিনে বুঝে নিতে পারেনি। ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর সাহেব আলী মল্লিক গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কিছুটা কোনঠাসা হলেও বর্তমানে সংশ্লিষ্টদের স্থানীয় স্বঘোষিত নেতাদের ম্যানেজ করে চালাচ্ছে মল্লিক বিল্ডার্স এর অবৈধ কার্যক্রম। ওই জমির তফসিল অনুয়ায়ী দেখা যায় রাইয়ান বিল্ডিং টেকনলোজি লিমিটেডের কাছে সকল সম্পত্তির বায়না রেজিস্ট্রেশন এবং অধিকাংশ জমি সব কবলা করা। এই জমিতেই অবৈধ ভাবে মসজিদ নির্মাণের কথা বলে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে সাহেব আলী মল্লিক নামের স্থানীয় ওই লোক। রাইয়ান বিল্ডিং টেকনলোজি দেখিয়েছে জিলা-ঢাকা, থানা- উত্তরখান ও সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস উত্তরা অধীন, ঢাকা কালেক্টরীর তৌজিভুক্ত। জে,এল, নম্বরঃ সি,এস- ১৯৫ নং, এস,এ- ১৭ নং, আর,এস- ১২০ নং, ঢাকা সিটি জরিপে ১৯ নং মৌজা- উত্তরখান স্থিত। খতিয়ান নংঃ সি, এস- ৫০৬ নং, এস,এ- ৫৯৯ নং, আর,এস- ৩৯৬ নং, ঢাকা সিটি জরিপে- ১৩০২ নং তৎপর ১৩০২/১ নং খতিয়ান, যাহার জোত নং- ৬/৬৭। দাগ নং- সি,এস ও এস,এ- ১০০৭, ১০১০  নং ও ১০১২ দাগ। আর,এস- ৩৭৭০,৩৭৬৯,৩৭৬৬,দাগ। ঢাকা সিটি জরিপ দাগ  ২০৩৯০, ২৩৯৮০,২৩৯৮১, ২০৩৯১, ২০৩৯২,২০৩৯৪ ও ২৩৯৭৯ নং দাগ তার ক্রয় করা সম্পত্তি।

কোন ধরনের বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই গায়ের জোরে ট্রান্সমিটার, ফায়দাবাদ এলাকায় ৪টি প্রজেক্টে বহুতল ভবনের কাজ করে যাচ্ছেন ভূমিদস্যু সাহেব আলী মল্লিক। সাহেব আলী মল্লিকের বাড়ি গোপালগঞ্জ হওয়ায় সে কাউকে পরোয়া করেন না। ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে সে বিভিন্ন এমপি মন্ত্রীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে ঐ সময় ফায়দাবাদ দক্ষিণখান এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সে এতোটাই প্রভাবশালীও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে তার প্রজেক্টে জমির শেয়ার ক্রয় কৃত ব্যক্তিরা মল্লিকের কাছে অসহায়। তার নিকট থেকে শেয়ার ক্রয়কৃতরা বলেন বিগত ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাহেব আলী মল্লিক ক্ষমতার দাপটে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। নিজের অবৈধ সাম্রাজ্য রক্ষা করতে বর্তমানে সে কিছু রাজনৈতিক নেতার সাথে আঁতাত করছে। অর্থলোভী প্রতারক মল্লিক এতটাই বহুরূপী কখন কাকে কিভাবে ম্যানেজ করতে হয় তাও রপ্ত করে রেখেছে। নিজস্ব সন্ত্রাসী দল থাকার করনে কাউকে কোন ফ্লাট বুঝিয়ে দেয়নি।

এমএসএম / এমএসএম

গাজীপুর গণপূর্তের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকের ঢাকায় ১৯ বছরের লুটপাটের রাজত্ব

মসজিদের নামে জমি দখলের চেষ্টা করছে মল্লিক বিল্ডার্স

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি আবু সুফিয়ান এর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টেন্ডার বাতিল এর অভিযোগ

পিডব্লিউডি এর কয়েকজন স্টাফের বিরুদ্ধে আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর অভিযোগ

অবশেষে সেই মামুনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশীট

তুরাগ নদীতে মাটি খেকো চক্র বেপরোয়া

আদম পাচারের ফাঁদ পেতে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ

এলজিইডিতে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও বহাল তবিয়তে!

প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার চাকরি বাঁচাতে মরিয়া,দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন

দুর্নীতির শীর্ষে ২৪ তম বিসিএস ক্যাডারের অনেকেই

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ১০০ কোটি টাকার এফএমডি ভ্যাকসিন ক্রয়ে ভয়ংকর অনিয়ম

সংবাদ প্রকাশ করায় কন্ঠরোধের অপচেষ্টা