নিয়ন্ত্রণহীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি; চরম উৎকন্ঠায় জনজীবন

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটাই নাজুক হয়ে পড়েছে যে, সাধারণ মানুষ দিনেও বাইরে বের হতে ভয়পায়। দেশের আইন শৃঙ্খলা কেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না, জনমনে এ প্রশ্নটি জোরালো হচ্ছে,চরম উৎকন্ঠার মধ্যে দিন পার করছে গোটা দেশের লোক। গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের একদফা দাবির প্রেক্ষিতে আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় লাভ করেন। ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে একটি অন্তবর্তীকালীন গঠিত হয়। সরকারের ইতোমধ্যে সাত মাস অতিবাহিত হলেও আজও দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক হয়নি। সারাদেশে নানাভাবে চাঁদাবাজি ছাড়াও একের পর এক খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, দখলবাজি,লুটপাট ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে যেন কোন কেয়ার করছেনা। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর পরই আন্দোলনের নামে ছাত্রজনার সাথে দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন থানা আক্রমণ করে ৫ হাজার ৮২৯ টি অস্ত্র ও ৬ লক্ষ ৬ হাজার রাউন্ড গুলি লুট করে নিয়ে যায়। সরকার কর্তৃক বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করার পরও সব অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করতে পারেনি। অনেকের ধারনা দেশে এতো লুটপাট, হত্যার কারণ অবৈধ অস্ত্রের কারণে এসব ঘটনা ঘটছে।
"কেউ কাউকে মানছে না। স্বাধীনতার ৫৩ বছরের সবচেয় খারাপ সময় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিশিষ্ট নাট্য অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু এ মন্তব্যটি করেছেন।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে বলেন, বিগত ১৬ বছর আমি কোন প্রকার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিনি, আমি আমার ইচ্ছামতো কাজে বের হয়েছি, কখনো নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে হয়নি। কিন্তু এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি। আগে আমি বাসা থেকে একাকী বের হতাম, এখন আমি একা বের হওয়ার সাহস পাইনা। সাথে কাউকেনা কাউকে রাখতে হয়, সন্ধার আগে বাসায় ফিরতে হয়। তারপরও মনে কাজ করে অজানা আতঙ্ক, কখন জানি কি হয়ে যায়।
সাধারণ মানুষও পথে বের হতে ভয়পায়। খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও একাকী কিংবা রাতের টহল দিতে ভয়পায়। ৫ আগস্টের পর দেশটা প্রায় অনিয়ন্ত্রিত ভাবেই চলছে কেউ কাউকে মানছেনা। গত ছয় মাসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সন্দেহভাজন অপরাধী, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার হলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো। এ কারণে নাগরিকদের বড় একটি অংশ নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারছেন না। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ঢাকার বেশ কিছু এলাকায় দিনের আলোয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে সন্ধ্যার পর বের হতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। জনরোষ ও মব জাস্টিসের নামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইনে বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে ও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই বাড়িটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার আতুড়ঘর। এখানেই বাস করতেন বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের সকল আন্দোলন ও সংগ্রাম ও ঘোষণা এই বাড়ি থেকে আসতো। প্রতিহিংসা ও শেখ হাসিনার অপশাসনের ধুয়া তুলে সেই বাড়িটিকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব কিছুই ঘটেছে এই মব জাস্টিস নামক বিশৃঙ্খলার কারণে। জনতা শুধু ৩২ নম্বরের বাড়িই পুড়িয়ে, ধ্বংস করে ক্ষান্ত হয়নি, পাকিস্তানী জঙ্গি আইএসআই-এর পতাকা নিয়ে নেচেছে। যা এদেশের জন্য একটি ভীতির কারণ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ নিয়ে গলা ফাটিয়ে দিয়েছেন। শুধু ধানমন্ডি ৩২ নম্বরই পোড়ায়নি উন্মত্ত জনতা ও দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ বহু নেতাদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী শুধু নিরব দর্শকের মতো তাকিয়ে দেখেছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রশাসন শুধু দায়সারা বিবৃতি দিয়েই ক্ষান্ত হয়েছে। দেশের আইন শৃঙ্খলা বলতে কিছুই নেই। প্রতিদিনই দেশে কোথাও না কোথাও সহিংসতা লেগে আছে। বিগত ১৬-১৭ বছর আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন নির্যাতন ও নিপিড়নের স্বীকার হওয়ার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আজ গোটা দেশব্যাপী আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়া, লুটপাট, হত্যা,গুম ও খুন করা হচ্ছে যা রীতিমতো অন্যায় ও মানবাধিকারের চরম অবস্থায় পৌছেছে বলে সাধারণ জনগণের ধারনা। মব জাস্টিসের নামে শুধু সহিংসতাই চলছে না দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে গলিত, অর্ধ গলিত, মুখে কাপড়, কসটেপ পেচানো, কখনো হাতপা বাঁধা নারী-পুরুষের লাশ, কখনো বাড়ির পানির টাংকিতে মৃত লাশ, ধর্ষিত নারীর লাশ জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখা যায়,কখনো খালে, বিলে, নদীতে লাশ ভেষে ওঠে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট এলাকায় মস্তকবিহীন যুবতীর লাশ, কুমিল্লায় দেবিদ্বারে পাওয়া হাত-পা বাঁধা যুবতীর লাশ, ঢাকা সিলেট মহাসড়ক বারৈচায় পাওয়া গেলো মহিলার লাশ, কাপাশিয়া তারগাঁও দেওনা গ্রামে রাস্তায় পড়ে থাকা এক জনের লাশ, রাজধানীতে ৫ জন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হাতিরঝিলে ফেলে দেয়া হয়েছে তরুনীকে, পাবনায় যুবলীগকর্মীকে গুলি করে হত্যা, রাউজানে যুবদল কর্মী পিয়ার মোহাম্মদকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা, বরিশালের বানারিপাড়ার গাভা ইউনিয়নে সালাম নামক একব্যক্তি এক নারীকে মেরে টেনে নিচ্ছে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হলেও এসব নিউজ মিডিয়া তেমন প্রচার করেনা। এসব দেখলে মনে হয় দেশটা যেন লাশের উপত্যাকায় পরিনত হয়েছে। বাতাসে লাশের গন্ধ। বিগত ছয় মাসে অপরাধ প্রবনতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধির চিত্র উঠে এসেছে সরকারি তথ্যেও। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে, ডাকাতির মামলা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে পুলিশ। এই সময়ে ডাকাতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে ২৪৩ টি, যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৯৮টি।
এই চার মাসে ৫৫৩টি ডাকাতির ঘটনা, ৩০২টি অপহরণ এবং ৯৪৯টি চুরির ঘটনা পুলিশের কাছে নথিভুক্ত হয়েছে। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ৩৯৬টি ডাকাতি, ১৬০টি অপহরণ এবং ৮৫৯টি চুরির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৪৭টি খুনের ঘটনা থানায় রিপোর্ট করা হয়েছে।
গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গণপিটুনিতে ২০২৪ সালে ১২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে আগস্ট থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১১৯ জন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫১।
এ সময়ের মধ্যে মাজার ও দরগায় বহু হামলার ঘটনা ঘটে। গত ২৩ জানুয়ারি, 'গ্লোবাল সুফি অর্গানাইজেশন' এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে যে গত ছয় মাসে দেশজুড়ে ৮০টিরও বেশি মাজার ও দরগায় উগ্রবাদী গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছে। সরকারি তথ্য বলছে ৪ আগস্ট থেকে কমপক্ষে এরকম ৪০টি স্থাপনায় ৪৪ বার হামলা হয়েছে।
দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে যৌথবাহিনি "ডেভিল হান্ট" নামক অভিযান পরিচালনা করলেও একমাসে আইন শৃঙ্খলার তেমন কোন পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। শয়তান নিধনের নামে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত ১৩ হাজারের অধিক গ্রেফতার হয়েছে। এরমধ্যে ৯৯ ভাগই আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী। দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটাই বিপর্যস্ত গত কয়েকদিন আগে মোহাম্মদপরে খোদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন।
উত্তরায় প্রকাশ্যে রিকশা আরোহীকে রামদা দিয়ে কোপানো, ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে বাসের মধ্যে তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি ও ধর্ষণের মতো পৈশাচিক ঘটনা, এর একদিন পর রাতে মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে বনশ্রীতে বাসার সামনে প্রকাশ্যে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে ছিনতাই, মোহাম্মদপুর ও আদাবরে দুই রিকশা আরোহীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব লুট এবং ধানমন্ডিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এমন সিরিজ দুষ্কর্মের বেশকিছু ভিডিও ফুটেজ ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই জনমনে আতঙ্ক বেড়েছে।
গেল ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতন হওয়ার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি লক্ষ করা যাচ্ছে। অবশ্য যে কোনো দেশেই গণ-অভ্যুত্থান হওয়ার পর কিছুদিনের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়ে থাকে। কিন্তু এদেশে গণ-অভুত্থানের ছয় মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও কেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে, এ প্রশ্নের সদুত্তর জরুরি। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষার্থীরা তথা যারা ফ্যাসিস্ট সরকার পতনে মূল ভূমিকা রেখেছে, তারাও রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ করেছে। শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিক্ষুব্ধ জনতা নানা কর্মসূচি পালন করেছে। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণেই যে তারা পথে নেমেছে, তা বলাই বাহুল্য। প্রশ্ন হচ্ছে, জননিরাপত্তার এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার কি সন্তোষজনক পদক্ষেপ নিতে পারছে?
আমরা দেখছি, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো তো বটেই, অলিগলিতেও হরদম ছিনতাই হচ্ছে এবং এসব অপকর্ম করছে মূলত জেলফেরত আসামিসহ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে, অপরাধীরা শুধু সম্পদই লুট করছে না, আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভুক্তভোগীকে আঘাতও করছে। কথা হচ্ছে, অলিগলির ছিনতাইকারীদের এলাকার প্রায় সবাই চেনে। আর যারা অচেনা, স্থানীয় সিসি ক্যামেরায় তাদের চেহারা ঠিকই ধরা পড়ছে। তারপরও তাদের বিরুদ্ধে কেন দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উল্লেখযোগ্য তৎপরতা না থাকার কারণে ছিনতাইকারীদের দমানো যাচ্ছে না। সেনাবাহিনীর তৎপরতায় কোথাও কোথাও ছিনতাইকারীদের উপদ্রব সাময়িকভাবে কমে এলেও সুযোগ পেলেই তারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে। ফলে অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, নগরবাসী রাস্তায় বেরোলেই সর্বক্ষণ ভীতসন্ত্রস্ত থাকে-কখন তারা ছিনতাইয়ের শিকার হয়। দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে; চরম উৎকন্ঠায় জনজীবন।
গত কয়েকদিন ধরে সুনামগঞ্জের দিরাই, শাল্লা ও জামালগঞ্জ উপজেলায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের সামনে হাজার হাজার মানুষ লুট করে নিয়েছে জলমহালের মাছ। ইজারাদারদের দাবি, ৬ দিনে তিন উপজেলার অন্তত ১১টি জলমহাল থেকে প্রায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার মাছ লুট করা হয়েছে। দেশে হত্যা,গুম, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, ছিনতাই, অগ্নিসংযোগ নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। জনজীবনের নেই সামান্যতম নিরাপত্তা।
এতসবের পরও সম্প্রতি তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনুস বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,
আমিতো হিসাব নিচ্ছি। অপরাধের পরিমাণ মোটেই বাড়েনি। আগের মতোই হয়েছে।
জানমালের নিরাপত্তা এভাবে হুমকিতে পড়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এর দায় স্বাভাবিকভাবেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার ওপরই বর্তায়। জনগণের করের টাকায় বেতনভুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং সমাজে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখবে, এটাই কাম্য। সেক্ষেত্রে এই ব্যর্থতার পেছনের কারণ কী, কেনইবা অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে, এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র কাজ করছে কি না, তা জানার প্রয়োজন রয়েছে। ভুলে গেলে চলবে না, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব যাদের, তারা ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হলে আইনের শাসন মারাত্মক হুমকিতে পড়তে পারে।
সারা দেশের মানুষ এখন দিশেহারা, কোথায় কার কাছে বিচার দিবে, কোথাও নেই এতটুকু নিরাপত্তা, চরম বিশৃঙ্খলার ও নিরাপত্তাহীনতায় জনজীবন। কারো উপর দোষ না চাপিয়ে, দেশের স্বার্থে বর্তমান সরকারের উচিৎ
রাজধানীসহ সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে, এটাই প্রত্যাশা।
মো. জাহিদুর রহমান
লেখক,কলামিস্ট, সাংবাদিক
এমএসএম / এমএসএম

নিয়ন্ত্রণহীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি; চরম উৎকন্ঠায় জনজীবন

বিটকয়েন বা ভার্চুয়াল কারেন্সি; আগামীর মুদ্রা ব্যবস্থার জন্য মঙ্গল নাকি অমঙ্গল!

মহা শিবরাত্রির ইতিহাস ও জগতের মঙ্গল কামনা

জিনিস যেটা ভালো , দাম তার একটু বেশি

মব জাস্টিসের প্রভাবে বর্তমান বাংলাদেশ

সুস্থ জাতি গঠনে দরকার নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা

রাষ্ট্রভাষা বাংলা ও একুশে বইমেলা

বিশ্ব জলাভূমি দিবস: টিকে থাকার জন্য জলাভূমি সুরক্ষা এখন সময়ের দাবি

দেবী সরস্বতী: বিদ্যা, জ্ঞান, ও শুভ্রতার বিশুদ্ধ প্রতীক

স্বাস্থ্যসেবায় বায়োকেমিস্টদের অবদান: এক অপরিহার্য দৃষ্টিভঙ্গি

আতঙ্ক আর হতাশার মধ্যেই ট্রাম্পের যাত্রা

কন কনে শীতে অযত্নে -অবহেলায় কাটছে পথশিশুদের জীবন
