বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে মামলা- হামলার শিকার হয়েছি -সুরুজ্জামান

বিগত ফ্যসিবাদ সরকারের শাসনামলের ১৭ বছর বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা অজুহাতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত হয়রানি, হামলা, মামলা, গুম খুন আর নির্যাতনের শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী। তারই ধারাবাহিকতায় সাবেক পৌর ছাত্রদল সভাপতি ও সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক যুবদল ঢাকা জেলা বিএনপি,মোঃ সুরুজ্জামান বলেন, আমিও এর বাইরে ছিলাম না। বিগত শাসন আমলের ১৭ বছরে অর্ধশত মামলা, সাভার থানার একটি মামলায় মিথ্যা ইস্যু দেখাইয়া ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল ঢাকা জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পৌরছাত্রদলের সভাপতি মোঃ সুরুজ্জামানকে। মোঃ সরুজ্জামানকে রাজপথ থেকে সরাতে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের তালিকাতে গুরুত্ব পাই বলে একটি উদ্ধৃত দিয়ে সুরুজ্জামান বলেন, ২০২৩ সালে আমাকে ঢাকা থেকে এরেস্ট করা হয় এবং গুম করে রাখা হয়েছিল কয়েকদিন যা সাবেক হ্যাপিবাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুকে পোষ্ট করে। দেশব্যাপী বিরোধী মতাদর্শকে দমনের জন্য ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যে মামলা ছিল বিগত সরকারের অন্যতম নিকৃষ্ট চরিত্রের এক বহিঃপ্রকাশ। বিগত সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে রাষ্ট্রের আইনশৃংখলা বাহিনীকে ন্যাক্কারজনকভাবে লেলিয়ে দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। সরকারের মদদে এবং লোকাল পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ভূমিকাতে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রগ্রামে বাধাগ্রস্হ করতে পরিকল্পিত ভাবে হয়রানিমুলক মামলার শিকার হয়েছিলাম।এছাড়া আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্নরকম হয়রানি করাসহ আমাদেরকে বাড়ি ছাড়া করানো হয়। এমনকি আমি চিকিৎসা জনিত কারনে বাংলাদেশ স্পেশালিস্ট হসপিটালে ভর্তি থাকা অবস্থায় ফেসিস্ট সরকারের উশৃংখল নেতাকর্মীরা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে হসপিটালে হামলা চালায়। আল্লাহর অশেষ কৃপায় সে যাত্রায় আমি বেঁচে গিয়েছিলাম বলে অভিমত প্রকাশ করেন বিএনপি দলীয় সাবেক এই ছাত্রদল নেতা ও সাবেক ঢাকা জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুরুজ্জামান।
অন্য একটা অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, সতেরো বছরে একাধিক বার জেলে যেতে হয়েছে এবং ৫০ টি মামলার আসামি ছিলেন বলে অনুভূতি প্রকাশ করেন এই বিএনপি দলীয় নেতা।
বর্তমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার কথা জানান এবং বলেন বর্তমান আমরা কিছুটা হলেও মুক্তমনে চলাফেরা করা এবং পরিবার নিয়ে নিজ বাড়িতে জীবন যাপন করতে পারছি এবং গণতান্ত্রিক মানসিকতা নিয়ে কথা বলতে পারছি । বিএনপির এই নেতা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গত জুলাই আগস্ট আন্দোলনে সব থেকে বেশি আন্দোলন হয়েছে সাভারের মাটিতে। আর এই আন্দোলনে ছাত্র শ্রমিক জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে ৬০ থেকে ৬৫ জন নিহত হয় এই সাভারে। বিভীষিকাময় এই দিনের কথা মানুষ কখনোই ভুলবে না।
বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মামলার আসামি হলেও রাজপথে লড়াকু সৈনিকের ভূমিকায় ছিলেন সাভারের এই ত্যাগী নেতা। বিগত সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে শত প্রতিকূলতার মাঝেও দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়মিত খোঁজ রাখতেন ঢাকা জেলা পৌরছাত্রদলের সাবেক এই নেতা।
বিএনপির দলীয় মনোভাবের প্রশ্নে তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি বড়দের দেখে এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা বাস্তবায়নের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করার অনুপ্রেরণা পান। শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নের আন্দোলনে একের পর এক হামলা, মামলায় পারিবারিক এবং আর্থিকভাবে অবর্ননীয় ক্ষতির শিকার হয়েও জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রেরণায় পাড়ি দিয়েছেন দীর্ঘ পথ। স্ত্রী, সন্তান কিংবা স্বজন কেউই বাদ যায়নি ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্মম অত্যাচার থেকে। স্বৈরাচারী সরকারের রোষানলে পড়ায় দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর স্বাভাবিক জীবন যাপনের স্বপ্নটা ছিল অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতো- এমনটাই বলছিলেন সাভারের ত্যাগী এই রাজনেতিক নেতা। দলীয় নেতা-কর্মীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে বিএনপির সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী ২০০৯ সাল থেকে হাসিনার পতন অবধি যেমন সোচ্চার ছিলেন তেমনি হাজার হাজার নেতা-কর্মী উৎসর্গ করেছিলেন স্বৈরাচারমুক্ত দেশ গঠনের চেতনায়।।
সমৃদ্ধ একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশায় সাধারণ মানুষের পাশে থেকে জীবনের বাকীটা সময় কাটিয়ে দিতে চান শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক সুরুজ্জামান। এবং দল তার ত্যাগের মূল্যায়ন করলে ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ইমানী দাযিত্ব মনে করে কাজ করে যেতে চান সুরুজ্জামান।
বর্তমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহংকার জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশে ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে আশা রাখি এর ব্যত্যয় ঘটাবে না। দলীয় নীতির বাইরে কোন অপরাধ করলে দল থেকেই তার ব্যবস্থা করবে। এছাড়া দুর্নীতি পরায়ন ও চাঁদাবাজদের কোন স্থান নেই বলে দূঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে মতামতে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সব সময় নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক মানসিকতার ছিলেন বলেই কখনো অন্যায় ভাবে ক্ষমতা যাওয়ার প্রচেষ্টা করেননি। তাঁর শাসন আমলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। এই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং মানুষের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নেয়া এবং জনগণের পাশে থেকে কাজ করার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এমএসএম / এমএসএম

পুরুষাঙ্গ কেটে তরুণদের হিজড়ায় রূপান্তর

মনিরামপুরে কুমোরঘাটায় তৈরী ডিঙ্গী নৌকা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে

নাগেশ্বরীতে ২৫ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

পঞ্চগড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে চার হাজার পিস ট্যাপেন্টাডল সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

নবীনগরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন

মনোহরগঞ্জে মহেন্দ্র খাল দখলে জলাবদ্ধতা -দুর্ভোগে লাখো মানুষ

সুবর্ণচরের মোহা শাহজাহানের আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

জনদুর্ভোগের আরেক নাম বাঘা উপজেলার প্রধান সড়ক; সংশ্লিষ্টদের নেই গুরুত্ব

আদমদীঘিতে পুকুরে বিষ প্রয়োগ ৭০ হাজার টাকার মাছ বিনষ্ট

জাতীয় স্মৃতিসৌধের ওভার ব্রিজ যেন ‘মরণ ফাঁদ’

টঙ্গীতে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ বাবা-মা

বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে মামলা- হামলার শিকার হয়েছি -সুরুজ্জামান
