দ্বিতীয় পর্ব
গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির বিষবৃক্ষ: ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গাজীপুর
গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (গাউক) দুর্নীতির লাগামহীন দৌরাত্ম্য প্রথম পর্বের প্রতিবেদনকে ছাপিয়ে গেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি এখন শুধু অনিয়ম আর স্বৈরাচারিতার প্রতিশব্দে পরিণত হয়েছে। গাউকের কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে, এটি পরিকল্পিত নগরী গড়ার পরিবর্তে একটি দুর্নীতির বিষবৃক্ষ রোপণ করেছে, যার ফল ভোগ করছে সাধারণ মানুষ।
গাউকের কর্মকর্তাদের লোভ এখন আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। ছোট থেকে বড়, প্রতিটি কাজের অনুমোদনের জন্য নাগরিকদের জিম্মি করে ঘুষ আদায় করা হচ্ছে। প্ল্যান পাসের আবেদন জমা দিলে তা ইচ্ছাকৃতভাবে বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়, যতক্ষণ না পর্যন্ত আবেদনকারী ঘুষ দিতে রাজি হন। এটি এখন একটি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। যে কোনো বৈধ কাজ সম্পন্ন করতে গেলে হয়রানি এবং অর্থদণ্ডের শিকার হতে হয়। সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ এই দুর্নীতিবাজদের পকেটেই জমা হচ্ছে।
আইনের কঠোর বিধান থাকা সত্ত্বেও, তা যেন গাউকের কর্মকর্তাদের কাছে এক নিছক উপহাস। শহরজুড়ে যে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে, তার পেছনের কারণ হলো গাউকের কর্মকর্তাদের নীরব সমর্থন। এই অবৈধ ভবনগুলো ভেঙে ফেলার পরিবর্তে, কর্মকর্তারা তাদের মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা গ্রহণ করেন। ফলে, ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবনগুলো শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করছে এবং ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ডেকে আনতে পারে। অগ্নিকাণ্ড বা ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে এই ভবনগুলো চরম ঝুঁকির কারণ হবে, কারণ সেখানে জরুরি নির্গমন পথ বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। দুর্যোগের কারণ হতে পারে।
গাউকের দুর্নীতি কেবল আর্থিক ক্ষতিই করছে না, এটি গাজীপুরের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যকে মারাত্মক হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা শিল্প-কারখানাগুলো থেকে নির্গত বিষাক্ত বর্জ্য পার্শ্ববর্তী নদী-নালা ও খাল-বিলে মিশে যাচ্ছে। এই বর্জ্য শহরের জল এবং বাতাসকে বিষাক্ত করে তুলছে। অথচ, এই পরিবেশগত ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। গাউকের কর্মকর্তারা এসব দেখেও না দেখার ভান করছেন, কারণ তাদের পকেটে নিয়মিত টাকা ঢুকছে।
গাউকের এই সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রধান কারণ হলো জবাবদিহিতার চরম অভাব। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কোনো সংস্থা থেকে নিয়মিত তদারকি না থাকায় এই কর্মকর্তারা নিজেদেরকে ধরাছোঁয়ার বাইরে মনে করছেন। সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য কোথায় যাবে, তা নিয়ে দিশেহারা। এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির দ্রুত অবসান ঘটাতে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। অন্যথায়, গাজীপুর তার অস্তিত্ব হারাবে।
এই ভয়াবহ চিত্র কি এভাবেই চলতে থাকবে, নাকি আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে?
এমএসএম / এমএসএম
বিআরটিএতে বিতর্কিত কর্মকর্তা তোফাজ্জলকে বহাল রাখায় প্রশ্ন
মাওনায় ‘মিথ্যে মৃত্যু’ নাটক মাদার্স কেয়ার হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর হয়রানির অভিযোগ
উত্তরায় শিমুল আহমেদের নেতৃত্বে যুবদল নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন
সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ্ রাকিবের বারী সিদ্দিকী পদক অর্জন
বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের প্রেস উইংয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা নিয়োগে বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের প্রতিবাদ
১২ বার ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন আবু সালেহ রনি
গুলশানে রাজউকের মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান
ঢাকা-৫ আসনে এনসিপির মনোনয়ন চান সাদিল আহমেদ
উৎসব মুখর পরিবেশে ড্যাবের নুতন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত
কে এই প্রতারক নাহিদ,পরিচয় ও তার পেশা কি ?
রাজউকের জোন ৬/২-এ ভবন নির্মাণে অনিয়ম দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের না দেখার ভান