ঢাকা শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫

মাওনায় ‘মিথ্যে মৃত্যু’ নাটক মাদার্স কেয়ার হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর হয়রানির অভিযোগ


এম এস রহমান  photo এম এস রহমান
প্রকাশিত: ২০-১১-২০২৫ দুপুর ১:৫২

গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় অবস্থিত মাদার্স কেয়ার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রসবকালীন জটিলতা নিয়ে ভয়াবহ ভুল তথ্য প্রদান এবং হয়রানির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, একটি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রসূতি ও তাঁর পরিবারের সামনে এমন পরিস্থিতি তৈরি করে, যাতে রোগীর মা (যিনি ক্যান্সার আক্রান্ত) এবং প্রসূতি নিজেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

ভুক্তভোগী প্রসূতি অনন্যা (২৬) জানান, তিনি নিয়মিত চেকআপের জন্য গত ৬ ১১ ২০২৫ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার মাদার্স কেয়ার হাসপাতালে যাই চেকআপের করাতে। রিপোর্ট প্রদানে কর্তব্যরত নার্স এসে পরিবারকে জানায়, "একটি মেয়ে মারা গেছে, অন্য মেয়েটির নাভিতে প্যাঁচ লেগে আছে। এখনই আইসিইউ দরকার, তা না হলে ঘটনা মর্মান্তিক হয়ে যাবে।"

অনন্যা বলেন, "আসলে আমি গিয়েছিলাম আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য। কিন্তু তাদের ভুল রিপোর্ট এবং কার্যকলাপেই এই ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছে।"

ঘটনার ভয়াবহতা আরও বাড়ে যখন রোগীর অসুস্থ মায়ের সামনে এই খবরটি প্রকাশ করা হয়। অনন্যা জানান, "আমার মা ক্যান্সারের রোগী। আমার মায়ের সামনে মর্মান্তিক এই ঘটনা প্রকাশ করলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।" মায়ের এই অবস্থা দেখে প্রসূতি অনন্যা নিজেও অজ্ঞান হয়ে যান।পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কোনো রকম দেরি না করে পরিবারটি দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী ও নবজাতককে ময়মনসিংহের ইউনিভার্সেল হসপিটালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন, মারা যাওয়ার খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল। বর্তমানে মা অনন্যা এবং তাঁর দুই নবজাতক কন্যা (যমজ)—সকলেই সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন।

মাদার্স কেয়ার হাসপাতালের এই মারাত্মক ভুল ঘোষণার বিষয়ে অভিযুক্ত ডাক্তার জহিরুন্নেসা রেনু এর বক্তব্য জানতে চেয়ে সাংবাদিকরা হাসপাতালে যান। কিন্তু তাঁকে সেখানে পাওয়া যায়নি। এমনকি, মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডাক্তার রেনু ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এলাকায় নানা রকম তদবির করেছেন এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন, যার কারণে পরিবারটি প্রকাশ্যে অভিযোগ জানাতে সাহস পাচ্ছে না।

এই গুরুতর অভিযোগ সত্ত্বেও স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, "আমি পুরো বিষয়টি জানি। কিন্তু রোগীর পরিবারের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো কিছুই বলতে চাননি। কেন বলতে চাননি, তা স্পষ্ট নয়। তাই কারো কোনো লিখিত অভিযোগ না থাকার কারণে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি না। অভিযোগ এলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব হলো সঠিক তথ্য দেওয়া এবং মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করা।আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে ভুল বা মিথ্যা ভীতিকর তথ্য দিয়ে প্রসূতি এবং তাঁর অসুস্থ মায়ের জীবন বিপন্ন করে তোলার অভিযোগটি চিকিৎসা নৈতিকতার মারাত্মক লঙ্ঘন।

ভুক্তভোগী পরিবার যখন ভয়ভীতির কারণে মুখ খুলতে পারে না, তখন জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে এবং আইনের শাসনের প্রশ্নে স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বপ্রণোদিত হয়ে এই বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স, ডাক্তারদের যোগ্যতা ও সেবার মান নিয়ে অবিলম্বে তদন্ত শুরু করা জরুরি।

এমএসএম / এমএসএম

বিআরটিএতে বিতর্কিত কর্মকর্তা তোফাজ্জলকে বহাল রাখায় প্রশ্ন

মাওনায় ‘মিথ্যে মৃত্যু’ নাটক মাদার্স কেয়ার হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর হয়রানির অভিযোগ

উত্তরায় শিমুল আহমেদের নেতৃত্বে যুবদল নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন

সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ্ রাকিবের বারী সিদ্দিকী পদক অর্জন

বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের প্রেস উইংয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা নিয়োগে বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের প্রতিবাদ

১২ বার ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন আবু সালেহ রনি

গুলশানে রাজউকের মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান

ঢাকা-৫ আসনে এনসিপির মনোনয়ন চান সাদিল আহমেদ

উৎসব মুখর পরিবেশে ড্যাবের নুতন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

কে এই প্রতারক নাহিদ,পরিচয় ও তার পেশা কি ?

রাজউকের জোন ৬/২-এ ভবন নির্মাণে অনিয়ম দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের না দেখার ভান

মনোহরদী থানার ওসি দুলাল আকন্দের বিরুদ্ধে আইজিপির কাছে অভিযোগ