কে এই প্রতারক নাহিদ,পরিচয় ও তার পেশা কি ?
কে এই নাহিদ ? কি তার পরিচয়, কি তার পেশা ? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে ভয়ঙ্কর সব প্রতারণার তথ্য পাওয়া গেছে। দরিদ্র ঘরে জন্ম হলেও শিক্ষা- দীক্ষার ধারে কাছে নাই। তারপরেও নিজেকে উচ্চশিক্ষিত পরিচয় দিয়ে কোটিপতির মত চলাফেরা তার। অল্প সময়ে দেশের উচ্চ শিক্ষিত ও সুন্দরী ধনাঢ্য তরুনী ও নারীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এরপর প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিলাশবহুল জীবনজাপন করেন। থাকেন রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় প্রায় লাখ টাকার ভাড়া বাড়িতে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতারক নাহিদ কখনো পরিচয় দেন ছাত্র, কখনো আবার সরকারি চাকুরজীবি, আবার কখোনো জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)’-এর কর্মকর্তা কখনো বা বড় ব্যবসায়ী। এছাড়া আরো জানা গেছে, তার মা ইয়াবাসহ নানা রকম মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। এমনকি একাধিক নারীকে ব্লাকমেইল করার কারণে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর, রাজধানীর আগারগাঁওসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সেই মামলায় জেল খেটেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এভাবে গত প্রায় ৮ বছর ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতারণা করে যাচ্ছে।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, প্রতারক নাহিদ উচ্চ শিক্ষিত অর্থশালী নারীদের টার্গেট করে ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সখ্যতা তৈরী করেছে। এরপর তাদেরকে ব্লাক মেইল করে কোটিপতি বনে গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাদের নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ছাড়াও বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগে পাওয়া গেছে।
আরো জানা গেছে, রাজধানীর শুক্রাবাদ কাঁচাবাজার এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে ঐশী নামের সুন্দরী নারীকে নিয়ে থাকেন। পরে তাকে বিয়ে করে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার নামে প্রতারণা করেন। শুধু তাই নয়, তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া সেখানে সুন্দরী নারীদের দিয়ে অসামাজিক কাজ ছাড়াও বিদেশ থেকে আসা ও বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন এলাকার দামী দামী চোরা মোবাইল সেট ও স্বর্ন পাচার করে ব্যবসা করছেন। শুধু প্রতারক নাহিদই নয়, তার ছোট ভাই এবং মা এই প্রতারণার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
তাছাড়া, মো. মনিরুল ইসলাম, পিতা মোজ্জাফর, দর্শনা থানার শ্যামপুর থানার পাইপঘাট। ব্যবসার পরিচয়ে সূত্রে নাহিদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। চোরাই মোবাইল কেনাবেচার সূত্রে গত ১৫/১১/২০২৫ ইং তারিখ, প্রতারক নাহিদের নামে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগে বলেছেন, গত ১৩/১১/২০২৫ ইং তারিখ ডাচ বাংলা ব্যাংকের তার একাউন্ট হতে প্রতারক নাহিদ এর একাউন্টে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। এখন তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে রেখেছেন। মনিরুল এখন টাকার চিন্তায় দিসেহারা হয়েছে।
ভুক্তভোগী হারুন শরিফ (সৌরভ) জানান, আমি সহ এলাকার বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে প্রতারক নাহিদ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এরমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জাকির ও তার আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে নিয়েছে ১ লাখ টাকা। তার এলাকার কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, প্রতারক নাহিদের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানীর সিন্ডিকেট রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালামাল পাচার করছে। বেনাপোল ও হিলিস্থল বন্দর সীমান্তে শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়মিত স্বর্ন পাচার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে তার গোটা পরিবার জড়িত রয়েছে। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সহয়তায় তিনি তার কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন।
এমএসএম / এমএসএম
উৎসব মুখর পরিবেশে ড্যাবের নুতন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত
কে এই প্রতারক নাহিদ,পরিচয় ও তার পেশা কি ?
রাজউকের জোন ৬/২-এ ভবন নির্মাণে অনিয়ম দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের না দেখার ভান
মনোহরদী থানার ওসি দুলাল আকন্দের বিরুদ্ধে আইজিপির কাছে অভিযোগ
ঢাকা-১২ আসনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে উত্তর বিএনপির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত
ট্রাভেল এজেন্সির অধ্যাদেশ-২৫-এ উদ্বেগ আটাব সদস্যদের
যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবির শিক্ষক এরশাদ হালিম কারাগারে
উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে সেবা নিলেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ
১৫ নভেম্বর উদ্বোধন হচ্ছে বিআইডব্লিউটিসির শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী প্যাডেল স্টিমার ‘পি এস মাহসুদ’
উৎসবমুখর পরিবেশে ড্যাবের সাংগঠনিক মাসের সূচনা
রাজউক চতুর্থশ্রেনীর কর্মচারীর কোটি টাকার সম্পদ
কার্গো ভিলেজ এখনও ধ্বংসস্তূপ: অভিযোগ উঠেছে সংস্থা গুলোর সমন্বয়হীনতা নিয়ে