ঢাকা শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫

বিআরটিএতে বিতর্কিত কর্মকর্তা তোফাজ্জলকে বহাল রাখায় প্রশ্ন


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০-১১-২০২৫ বিকাল ৫:১

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ব্যাপক পরিবর্তন এলেও সড়ক পরিবহন খাতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বেশ কিছু পদে পূর্বের প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের বহাল অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে উচ্চমান সহকারী তোফাজ্জল হোসেনকে কেন্দ্র করে নানা আলোচনা চলছে।

অভিযোগ রয়েছে, তেজগাঁও কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হিসেবে পরিচিত তোফাজ্জল হোসেন ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। সেই প্রভাবের কারণেই তিনি বিআরটিএর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করেন। অভিযোগকারীদের দাবি, দিনের বেলা তিনি দপ্তরে দায়িত্ব পালন করলেও রাতে তৎকালীন যুব মহিলা লীগের প্রভাবশালী নেতা অপু উকিলের চেম্বারে নিয়মিত যাতায়াত করতেন।

২০১২ সালে তিনি ঢাকা মেট্রো সার্কেল–২ এ দায়িত্ব পান এবং একটানা প্রায় ছয় বছর সেখানে কর্মরত থাকেন। সাধারণ প্রশাসনিক রোটেশনের নিয়ম অনুযায়ী কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট সময় পর বদলির কথা থাকলেও তার ক্ষেত্রে তা কার্যকর হয়নি। ঢাকার বাইরে তাকে কোনোদিনই পাঠানো হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ঢাকা মেট্রো সার্কেল–২ এর পর তিনি ঢাকা মেট্রো সার্কেল–১, ড্রাইভিং লাইসেন্স বোর্ড, এবং সদর কার্যালয়ের প্রশাসন বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন—যার ফলে তার পুরো চাকরি জীবনের অধিকাংশ সময়ই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটগুলোতেই কাটে।

লাইসেন্স বোর্ডে ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ

বিভিন্ন সূত্রের দাবি, লাইসেন্স বোর্ডে দায়িত্ব পালনকালে তোফাজ্জল হোসেন ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্য ও বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসব অভিযোগ নিয়ে সংস্থার ভেতরে অসন্তোষ থাকলেও প্রভাবশালী রাজনৈতিক সমর্থনের কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পেতেন না।

তার পেছনে শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রভাব হিসেবে উঠে আসে তার আপন চাচা কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুনের নাম, যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দলের শীর্ষ পর্যায়ে ব্যাপক প্রভাবশালী ছিলেন। অভিযোগকারীরা বলছেন, এই সম্পর্কই তাকে বহু বছর ধরে “অস্পর্শযোগ্য” করে রেখেছিল।

ছাত্র আন্দোলনের পর প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তন এলেও তোফাজ্জল হোসেন এখনো তার পদে বহাল আছেন। এতে বিআরটিএর অন্যান্য কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে—দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি কিভাবে বদলির বাইরে রয়ে গেলেন?

বিআরটিএর কোনো কর্মকর্তা এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে রাজি না হলেও অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, সংস্থাটিকে সুশাসনের পথে ফেরাতে হলে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রশাসন নিশ্চিত করা জরুরি।

এখন প্রশ্ন—প্রশাসনকে সংস্কারের পথে এগিয়ে নিতে গেলে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, নাকি তারা আগের মতোই বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন করবেন

এমএসএম / এমএসএম

বিআরটিএতে বিতর্কিত কর্মকর্তা তোফাজ্জলকে বহাল রাখায় প্রশ্ন

মাওনায় ‘মিথ্যে মৃত্যু’ নাটক মাদার্স কেয়ার হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর হয়রানির অভিযোগ

উত্তরায় শিমুল আহমেদের নেতৃত্বে যুবদল নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন

সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ্ রাকিবের বারী সিদ্দিকী পদক অর্জন

বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের প্রেস উইংয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা নিয়োগে বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের প্রতিবাদ

১২ বার ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন আবু সালেহ রনি

গুলশানে রাজউকের মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান

ঢাকা-৫ আসনে এনসিপির মনোনয়ন চান সাদিল আহমেদ

উৎসব মুখর পরিবেশে ড্যাবের নুতন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

কে এই প্রতারক নাহিদ,পরিচয় ও তার পেশা কি ?

রাজউকের জোন ৬/২-এ ভবন নির্মাণে অনিয়ম দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের না দেখার ভান

মনোহরদী থানার ওসি দুলাল আকন্দের বিরুদ্ধে আইজিপির কাছে অভিযোগ