সড়ক, জনপদ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে মোটরযান পরিদর্শক রাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ
বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক মিরপুর-১৩ এর রাকিব হাসানের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি, দুর্নীতি এবং দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের হয়রানি করে ঘুষ আদায়ের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া রাকিবের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। সূত্র জানায়, বিআরটিএর ঘুষ বাণিজ্যের অন্যতম সিন্ডিকেটের নায়ক সহকারী পরিচালক রাকিব দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঢাকা মেট্রো-চ-১-৫১-৬৭৩০ নম্বর গাড়িটির বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানায় মামলা হয় এবং গাড়িটি জব্দ করা হয়। এরপরও উক্ত গাড়ির মালিককে হাজির না করে জব্দকৃত গাড়িটির মালিকানা পরিবর্তন করা হয়। এজন্য মোটা অংকের টাকা ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। একইভাবে ঢাকা মেট্রো-গ-৩২-২৫৬৫ গাড়ির মালিক হাজির না করে জালিয়াতির মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তনের অভিযোগও করা হয়েছে। এসব বিষয়ে তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবিতে গত ২৪ জুন সড়ক, জনপদ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মো. জালাল উদ্দিন ওরফে আকবর নামের একজন ভুক্তভোগী।
মিরপুর বিআরটিএ’র সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাকিব হাসান মিরপুর বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-১ এর একজন ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী কর্মকর্তা। তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আস্তাভাজন হিসেবে ব্যাপক পরিচিত ছিলেন। সেই পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কালো টাকার মালিক হয়েছেন। তার সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরেই বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-১কে জিম্মি করে রেখেছিল। সারাদেশে বিআরটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া সেবা প্রত্যাশীদের কাছে রাকিব হাসান বড় দুর্নীতিবাজ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। দুর্নীতি, জালিয়াতি ও সেবা প্রত্যাশীদের জিম্মি করে তিনি কয়েক কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, এসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-১ অচল হয়ে পড়বে। বিআরটিএর এই কর্মকর্তা রাকিব হাসানের ডজনখানেক সহযোগী আছে, যাদের মাধ্যমে তিনি বিআরটিএ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। তার সিন্ডিকেটের মধ্যে মাহতাব উদ্দিন এনামুল হক ওরফে ইমন অন্যতম বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, রাকিব হাসান বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-১, মিরপুর-১৩, ঢাকায় সহকারী মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি এর আগেও একই জায়গায় কর্মরত ছিলেন। আর দীর্ঘদিন একই জায়গায় থাকার সুবাদে তিনি বড় অংকের টাকার বিনিময়ে থানায় জব্দকৃত গাড়ির মালিক হাজির না করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তন করেন। যার প্রমাণ হলো, ঢাকা মেট্রো-চ-৫১-৬৭৩০ গাড়িটি গত ১৭/০১/২০২২ সালে র্যাব-৭ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আলমগীর কবিরসহ সঙ্গী ও ফোর্স গাড়িটিকে মাদক পরিবহনকালে গাড়ি ও মাদকসহ ড্রাইভারকে হাতেনাতে আটক করে। পরে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়, যার মামলা নং-১৯ তারিখ ১৭/০১/২০২২। উক্ত গাড়িটি থানায় জব্দ থাকা সত্ত্বেও গাড়ির প্রকৃত মালিককে হাজির না করে স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তন করা হয়েছে। এর বিনিময়ে বড় অংকের ঘুষের টাকা লেনদেন করা হয়েছে। আবার ঢাকা মেট্রো-গ-৩২-২৫৬৫ গাড়িটির প্রকৃত মালিক আনোয়ার হোসেনের স্বাক্ষর জাল করে মালিককে হাজির না করিয়ে গাড়িটির মালিকানাও পরিবর্তন করেছেন সহকারী মোটরযান পরিদর্শক রাকিব হাসান। তিনি উপরোক্ত গাড়িটির জন্য বড় অংকের ঘুষের টাকা গ্রহণ করে মালিকানা পরিবর্তনের সমস্ত ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। রাকিব হাসান এখনো স্ব-পদে বহাল তবিয়তে রয়েছে। আওয়ামীলীগের দোসর এবং আওয়ামীলীগের অর্থ যোগানদাতা হিসাবে পরিচিত রাকিব হাসান। বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-১ থেকে বাংলাদেশের সকল সার্কেল অফিসগুলোতে রাকিব হাসানের সাথে কয়েক ডজন দালাল কাজ করেন। তার দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের ভুক্তভোগিদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ ব্যাপারে রাকিব হাসানের সেল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তার ফোনটি রিসিভ করেননি।
এমএসএম / এমএসএম
অনিশ্চয়তায় নির্বাচন
পায়রা বন্দর সংযোগ সড়ক প্রকল্পে উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা
দুর্নীতির টাকায় কোটিপতি চসিকের মোরশেদ
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল
পাপ্পীর কানাডা ও আমেরিকার ভিসা বাতিলের আবেদন
আপিল বিভাগের নিদের্শনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ
ঘুষ কেলেংকারীতে ১৫ দিন খালি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের চেয়ার
ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এমডির বিচার চেয়ে ফের দুদকে আবেদন
উৎপাদন বেড়েছে, খরচ কমেছে, নতুন প্রকল্পে আশার আলো
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সকল সেক্টরে ইতিবাচক পরিবর্তন করবে : জননেতা অধ্যাপক মামুন মাহমুদ
কারা অধিদপ্তরে সক্রিয় বদলী বাণিজ্য সিন্ডিকেট, মূলহোতা রিয়াল
দুদকের ফাঁদে ফেঁসে গেলেন এম এ কাশেম