সরকার উৎখাতে জড়িত এনবিআর কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবি

সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কাস্টমস, এক্সাইজ, ভ্যাট ও ট্যাক্স বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং এনবিআর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার দপ্তরেও লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীন বাংলাদেশ কাস্টম ও বাংলাদেশ ইনকাম ট্যাক্স কর কমিশনারেট বিভাগের সকল সার্কেলের আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। যদিও কিছু আন্দোলনকারীকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, কিন্তু আন্দোলনের মূল নায়কদের শাস্তি দেওয়া হয়নি।
সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অর্থের বিনিময়ে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ নথিভুক্ত করছেন না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্পদ বিভাগ শাখা-২ ইতোমধ্যে তিন শতাধিক আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা চূড়ান্ত করেছে। এদের মধ্যে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন এবং বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন ও সংবাদমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এটি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে শৃঙ্খলা এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ব্যানারে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার মানস কুমার বর্মন, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান মজিব, মো. মাজহারুল ইসলামসহ আরও অনেকে। এছাড়াও, বাংলাদেশ কাস্টমস (বাকাস) ও বাকাএভ-এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন মানস কুমার বর্মন (অতিরিক্ত কমিশনার, কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেট), মো. আলহেলাল তাজ (মহাসচিব, বাংলাদেশ কাস্টমস সমিতি), মো. মাহবুব হোসাইন (কাস্টমস পূর্ব কমিশনারেট), মো. শামসুদ্দিন (কাস্টমস পশ্চিম কমিশনারেট), মো. বাবুল হোসেন (কাস্টমস দক্ষিণ কমিশনারেট) এবং আরও অনেকে। এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে এবং কিছু কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকল পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এমএসএম / এমএসএম

রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল

পাপ্পীর কানাডা ও আমেরিকার ভিসা বাতিলের আবেদন

আপিল বিভাগের নিদের্শনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ

ঘুষ কেলেংকারীতে ১৫ দিন খালি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের চেয়ার

ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এমডির বিচার চেয়ে ফের দুদকে আবেদন

উৎপাদন বেড়েছে, খরচ কমেছে, নতুন প্রকল্পে আশার আলো

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সকল সেক্টরে ইতিবাচক পরিবর্তন করবে : জননেতা অধ্যাপক মামুন মাহমুদ

কারা অধিদপ্তরে সক্রিয় বদলী বাণিজ্য সিন্ডিকেট, মূলহোতা রিয়াল

দুদকের ফাঁদে ফেঁসে গেলেন এম এ কাশেম

দরপত্র খোলার আগেই ২.৫ কোটি টাকার চুক্তিতে কাজ নিশ্চিত করলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রুভেন বুল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক

বিআরটিএ-এর দালালি করে কয়েক কোটি টাকার মালিক

চট্টগ্রাম দিয়ে কখনই দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে চাইনি : রায়হান কবির
