বোয়ালমারীতে প্রধান শিক্ষকদের যাতায়াত ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের যাতায়াত ভাতার টাকা কৌশলে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কয়েক শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলার ৯৭ প্রধান শিক্ষকের জন্য বরাদ্দ ২ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা এখন ঐ শিক্ষক নেতাদের পকেটে। ফলে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ভাতার টাকা এখনো হাতে পাননি প্রধান শিক্ষকরা। মোটা অংকের এই টাকা ভ্রমণের নাম করে আত্মসাতের পায়তারা চলছে বলে জানাগেছে। তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, বোয়ালমারীতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০২ টি। এর মধ্যে ৫ টি পৌরসভার আওতাধীন। সরকারী নিয়মানুযায়ী পৌর এলাকার প্রধান শিক্ষকরা যাতায়াত ভাতা পাননা। বাকি ৯৭ প্রধান শিক্ষকের জন্য যাতায়াত খরচের টাকা বরাদ্দ হয়।প্রতি বছর আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ হয় এখাতে।বরাবরের ন্যায় এবারও যাতয়াত ভাতা বাবদ এ উপজেলায় বরাদ্দ আসে ২ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা।তবে টাকা গুলো শিক্ষকদের মাঝে বন্টন হবার আগেই তা কয়েকজন শিক্ষক নেতা বিশেষ কৌশলে নিজেদের একাউন্টে তুলে নেন। বর্তমানে এই টাকা গুলো তিন শিক্ষকের কাছে গচ্ছিত রয়েছে বলে জানাগেছে। এরা হলেন-ছোলনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশাররফ হোসেন,বনচাকি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুর রহমান ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মোঃ জাহিদুর রহমান। জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শফিকুর রহমান বলেন,আমাদের কাছে ২ লক্ষ সামথিং টাকা জমা আছে। শিক্ষকদের সর্বসম্মত স্বীদ্ধান্তে টাকাগুলো আমাদের কাছে রেখেছি হাওর ভ্রমণে যাওয়ার জন্য। অচিরেই আমাদের এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হবে। একই কথা বলেছেন শিক্ষক নেতা জাহিদুর রহমানও। মোশাররফ হোসেনের মুঠোফোনে অনেক বার কল করা হলেও তা রিসিভ করেননি। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাঠ পর্যায়ের একাধিক প্রধান শিক্ষক ভিন্নমত পোষণ করে বলেন,আমরা অনেক দূর থেকে উপজেলা সদরে গিয়ে স্কুলের কাজ-কর্ম করি। কিন্তু কোন বারই ভাতার টাকা আমরা ঠিক মত পাইনা। এবারও একই পরিণতি হয়েছে। ৩০ জুনের মধ্যে ভাতার টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তার ছোঁয়া মেলেনি। শুনছি ভ্রমণে যাওয়ার জন্য এবারের টাকা নেতারা রেখে দিয়েছেন। এব্যাপারে আমাদের কোন মতামত নেওয়া হয়নি। তারা সফরে যাবেননা বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। শিক্ষক সমিতির সাবেক এক নেতা বলেন,প্রতি বছরই ভাতার টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু প্রকৃত হকদাররা কখনোই এই টাকা পাননা। শিক্ষা অফিসকে ম্যানেজ করে কিছু শিক্ষক নেতা টাকাগুলো ভাগবাটোয়ারা করে খান। এবারও ভ্রমণের নামে টাকাগুলো আত্মসাতের পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেন ঐ শিক্ষক নেতা। একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বলেন,আমার একাউন্টে ৭/৮ জন শিক্ষকের ভাতার টাকা ঢুকেছিল। পরে পিকনিকের কথা বলে একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আমার কাছ থেকে টাকা গুলো নিয়ে নিয়েছেন। ঐ শিক্ষিকার ভ্রমণে যাওয়ার মত না থাকলেও তার ভাতার টাকাটা তাকে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন। জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু আহাদ মিয়া বলেন,এবার ৩৮ জন শিক্ষকের নামে টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তাদের তালিকা হিসাব রক্ষণ শাখায় হস্তান্তরের পর কি হয়েছে তা বলতে পারবোনা। তিনি বলেন,টিএ,ডিএ এর টাকা তুলতে একটি জটিল প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এ কারণে অনেক শিক্ষকই আবেদন করেন না। ফলে তারা বঞ্চিত হন। যারা আবেদন করেন কেবল তাদের মধ্যেই বরাদ্দের সব টাকা বন্টন করা হয়ে থাকে বলে জানান শিক্ষা কর্মকর্তা।
এমএসএম / এমএসএম

সিংড়ায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে মারপিট, স্বামী আটক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোমস্তাপুরে অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ ও মাদকমুক্ত মহল্লা গড়তে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

আদমদীঘিতে শারর্দীয় দুর্গাপুজা শান্তিপুন ভাবে উদযাপনের লক্ষে প্রস্ততিমুলক সভা

রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি ও প্রবাসীদের মারধরের অভিযোগে ১২ হিজড়া গ্রেফতার

মির্জাগঞ্জে নয় মাসের নাতি কে নিয়ে বিপাকে বৃদ্ধা ভানু বেগম

শালিখায় গ্রীষ্মকালীন ক্রিড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

কুতুবদিয়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

বোয়ালমারীতে প্রধান শিক্ষকদের যাতায়াত ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নাঙ্গলকোটে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্ততি সভা অনুষ্ঠিত

নওগাঁয় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় মাসব্যাপী মশক নিধন ও পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

টুঙ্গিপাড়ায় রূপালী লাইফ ইনসিওরেন্সের গ্রাহক পরিবারকে মৃত্যুদাবী প্রদান ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত
