নির্বাচন সামনে রেখে সীমান্তে বেড়েছে অবৈধ অস্ত্রের চালান

স্বৈরাচার হাসিনার সরকার পতনের পর যখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো। ঠিক সেই সময়ে বহুল কাঙ্খিত সুষ্ঠু নির্বাচন বানচাল ও দেশকে আবারো অশান্ত করতে দেশের বাইরে থেকে সীমান্ত দিয়ে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র আনছে আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্র।
সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক অস্ত্রের চোরাচালানে জড়িত সন্ত্রাসী ও চোরাকারবারি চক্র দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অশান্ত করতে দেশের বিভিন্ন সীমান্তে অবৈধ অস্ত্রের চোরাচালান বাড়িয়েছে।তার প্রমাণ হচ্ছে, গত তিন মাসে দেশে উদ্বেগজনকভাবে অবৈধ অস্ত্র চোরাচালানের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে কয়েকটি চক্র দেশের পশ্চিম, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের পাশাপাশি ছোট সীমান্ত দিয়েও নানা ধরনের অস্ত্র নিয়ে আসছে সীমান্তের ওপার থেকে। গত ২৬ আগস্ট টেকনাফের নাফনদীর সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত তিন মাসে দেশের বিভিন্ন সীমান্তে শুধু বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অর্ধশত অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এবং সহস্রাধিক রাউন্ড গোলাবারুদ জব্দ করেছে। আর জব্দ করা আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ছোট অস্ত্রের সংখ্যা বেশি।
বিজিবি সদরদপ্তরের এক সূত্র জানায়, গত তিন মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে দিয়ে অস্ত্র পাচারের সময় ১৬টি দেশি-বিদেশি পিস্তল, দুটি রিভলভার, দুটি এসএমজি, পাঁচটি রাইফেল, ১৬টি দেশি বন্দুক, তিনটি শর্টগান, তিনটি মর্টার শেল, আটটি হ্যান্ড গ্রেনেড, ২৭টি অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র, ২১টি ম্যাগাজিন এবং ১০০৩ রাউন্ড বিভিন্ন অস্ত্রের গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে। এর আগে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৮টি পিস্তল, পাঁচটি এসএমজি, ১৮টি গ্রেনেড, ৮টি রাইফেল, ছয়টি রিভলভার, ৫২টি সব ধরনের গান, ৮ হাজার ৮৫৯ গোলাবারুদ, ৪৫টি ম্যাগাজিন, চারটি মর্টার শেল, ৪১টি ককটেল, ১০.৪৪ কেজি গান পাউডার এবং ২৩৩টি ব্লাঙ্ক কার্টিজ জব্দ করেছে বিজিবি।গত বছরের চেয়ে এ বছরের সর্বশেষ কয়েক মাসে অস্ত্র চোরাকারবারিরা বেশি তৎপর হয়েছে। কয়েকটি চক্র সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আনছে, যেসব অস্ত্রগুলো সমতল ও পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতেই এসব অবৈধ অস্ত্র আনা হচ্ছে।
বিজিবির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত আগস্ট মাস থেকে অস্ত্র কারবারিদের তৎপরতা বেড়েছে।বিভিন্ন সীমান্তে ধরাও পড়ছে চোরাকারবারিরা, উদ্ধার হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র। এসব অস্ত্র দেশের ভেতর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে ব্যবহার হতে পারে। অস্ত্র চোরাচালানের জন্য উত্তরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দক্ষিণে সাতক্ষীরা, যশোর, কক্সবাজার, পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা সীমান্ত বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব সীমান্তে বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে করে আনা হয় আগ্নেয়াস্ত্র, বিশেষ করে ছোট অস্ত্রগুলো আনা হচ্ছে।বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পাহাড়ি বনাঞ্চলের পাশাপাশি সাগরপথেও অস্ত্র আনা হচ্ছে। তবে সীমান্তে অস্ত্র চোরাচালান ঠেকাতে বিজিবি গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে সদর দপ্তর। এ ছাড়া তাদের অভিযানিক কার্যক্রমও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিজিবির রামু সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ এক বার্তায় বলেছেন, সীমান্ত নিরাপত্তা, অনুপ্রবেশ, মাদক ও চোরাচালান রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। গত ১৫ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সীমান্ত দিয়ে আসা ২২টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলিসহ পাঁচজনকে আটক করা হয় বলেও জানান এই কর্মকর্তা। জব্দ করা অস্ত্রগুলো মিয়ানমার থেকে এসেছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে গত সোমবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সীমান্তের অস্ত্র কারবারিদের তথ্য চেয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, সীমান্ত দিয়ে দেশে অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ে বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতা ও আভিযানিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির টোল ফ্রি ০১৭৬৯৬০০৫৫৫ নাম্বারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে বেনাপোল আইসিপিতে আমদানিকৃত ভারতীয় মরিচ বোঝাই ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ১টি পিস্তল ও ৯৩ রাউন্ড গুলিসহ ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করেছে বিজিবি। গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে বিজিবির যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর অধীনস্থ বেনাপোল আইসিপির টহলদল আইসিপির আমদানি-রপ্তানি গেইটে একটি বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানের সময় ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচা মরিচ বোঝাই একটি ট্রাক (নম্বর-জিপি-০৪ পিইউ ৫২৮৮) তল্লাশি করে ১টি পিস্তল ও ৯৩ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। এ সময় ট্রাকের চালক ও হেলপারসহ দুইজন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন-গুরজীত সালুজা (৩১) ও রাম দাস নাওয়াদি (২৪)। তাদের বাড়ি চন্দ্র শিকড় ওয়ার্ড, সদর, বিতুল, মধ্যপ্রদেশ, ভারত। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক আটককৃত ভারতীয় নাগরিকদেরকে জব্দকৃত অস্ত্র-গোলাবারুদসহ বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী, জানান, সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত অস্ত্র, স্বর্ণ, রূপা, মাদক, ডলার, রুপি, হুন্ডি ও বিভিন্ন চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি বিশেষ পরিকল্পনার মাধ্যমে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বেনাপোল সীমান্তে সফল অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ মালামাল জব্দ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সীমান্তে এ ধরনের চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অপরদিকে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও দেশকে অশান্ত করতে দেশের অভ্যান্তরেও বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ অস্ত্র কেনা-বেচা শুরু করেছে অপরাধী চক্রের সদস্যরা। আর পুলিশের অভিযানে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাও ঘটছে। তার মধ্যে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর এলাকায় মিরপুর মডেল থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও ম্যাগাজিনসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীর নাম মো. আবু হানিফ (২১)। এসময় তার হেফাজত হতে একটি ম্যাগাজিন ও একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়। মিরপুর মডেল থানার পশ্চিম মনিপুর মোল্লাপাড়া এলাকায় অভিযান করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন রোববার দুপুরে মিরপুর মডেল থানার একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন মিরপুর মডেল থানাধীন পশ্চিম মনিপুর মোল্লাপাড়া এলাকায় কতিপয় দুষ্কৃতকারী অবৈধ অস্ত্রসহ অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত স্থানে অবস্থান পরিচালনা করে একটি ম্যাগাজিনসহ মো. আবু হানিফকে গ্রেফতার করা হয়।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানাধীন দাউদপুর এলাকায় তার গ্রামের বাড়িতে অভিযান একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবরুদ ৫ আগস্ট মিরপুর মডেল থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রটি নিজের দখরে রেখেছিলো বলে ঢাকা মহানগর পুলিশৈর মির্ডিা অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অস্ত্র গুলিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মো. আরিফ উদ্দিন (৪৬) ও হাফিজুল ইসলাম শামীম (৪৬)। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি শটগান, একটি টিউব ম্যাগাজিন, একটি বোল্ড অ্যান্ড বোল্ড ক্যারিয়ার, দুইটি বডি লকিং পিন, ব্যারেল জ্যাকেট, আগুনে পোড়া ট্রিগার গার্ড, দুইটি শটগানের সীসা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। মিরপুর থানার সেকশন-২ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, মিরপুরের সেকশন-২ এলাকার তুলি জেনারেল স্টোরের সামনে চেকপোষ্ট ডিউটি করাকালে মিরপুর থানার একটি টিম দুই ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। সন্দেহজনক ব্যক্তিদের তল্লাশী করার সময় আরিফ উদ্দিনের হাতে থাকা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ হতে একটি শটগান, একটি টিউব ম্যাগাজিন, একটি বোল্ড অ্যান্ড বোল্ড ক্যারিয়ার, দুইটি বডি লকিং পিন, ব্যারেল জ্যাকেট, আগুনে পোড়া ট্রিগার গার্ড ও হাফিজুল ইসলাম শামীম প্যান্টের পকেট থেকে দুটি শটগানের সীসা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা পলাতক আসামি নাসির (৪৫) সঙ্গে যোগসাজশে অবৈধভাবে অস্ত্র ও কার্তুজ ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশে নিজ হেফাজতে রেখে ছিলো মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
অপরদিকে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পাহাড়ে আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সদস্যদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যদের গুলি বিনিময় হয়। এ সময় ইউপিডিএফের একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে একে-৪৭সহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। ঘটনার দিন গত ২৯ জুলাই (মঙ্গলবার) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাঘাইহাটের দুর্গম পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান ও গুলি বিনিময় হয়েছে। একে-৪৭সহ বিভিন্ন অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সীমান্তের অস্ত্র কারবারিদের তথ্য চেয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে দেশে অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ে বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতা ও আভিযানিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির টোল ফ্রি ০১৭৬৯৬০০৫৫৫ নাম্বারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম

নির্বাচন সামনে রেখে সীমান্তে বেড়েছে অবৈধ অস্ত্রের চালান

ক্রীড়া পরিদপ্তরে ভয়াবহ লুটপাট!

৯২৬ টন পণ্যের হদিস নেই কাস্টমসে

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিমের পাহাড় সমান দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে না কেন?

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পে অনিয়মের পাহাড়

সরকার উৎখাতে জড়িত এনবিআর কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবি

সড়ক, জনপদ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে মোটরযান পরিদর্শক রাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা হরিলুট

গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইউসুফের দুর্নীতির রাজত্ব

দুর্নীতিতে পিছিয়ে নেই এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীগন

‘এনবিআর’এ স্বৈরাচার সরকারের পালিয়ে থাকা চক্রের চক্রান্ত

প্রাণ ধ্বংসকারী কোম্পানি প্রাণ
