খরস্রোতা শিবসা নদী পলি জমে খালে পরিণত

খুলনার পাইকগাছায় একসময়ের খরস্রোতা শিবসা নদী পলি জমে খালে পরিণত হয়েছে। আর সেই পলি ভরাট নদী দখল করে চলেছে ধান চাষ। পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন পাইকগাছা গদাইপুর, লতা, সোলাদানা, দেলুটি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা শিবসা নদী। এ নদীটি পলি জমে এখন সরু খালে পরিণত হয়েছে। কয়েক বছর আগেও নদী দিয়ে লঞ্চ ও স্টিমার চলত। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের খুলনা শহরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল নদীপথ। ব্যবসায়ীরা কম খরচে নৌকায় মালামাল আনা-নেওয়া করত জেলা শহর থেকে।
পৌর সদরের পাইকারি ব্যবসায়ী পীযূষ সাধু বলেন, নদীপথ বন্ধ হওয়ায় ট্রাকে করে মাল আনতে খরচ বেশি হচ্ছে। পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় পানি বাড়লে নৌকায় মালামাল আনা যায়। কিন্তু পানি না বাড়লে মালবাহী নৌকা তীরে আসে না। সময়মতো মালামাল ওঠানামা করা যায় না। মালের বিশেষ প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নামাতে হয়।সোলাদানা ইউনিয়নের ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জানান, পৌরসভার তিন দিকে ছিল ৩টি খেয়াঘাট। হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হতো খেয়া নৌকায়। কিন্তু কালের বিবর্তনে নদীটি পলি জমে একেবারেই ভরাট হতে চলেছে। বর্তমানে লঞ্চ, স্টিমার দূরের কথা নৌকাও চালাতে পারছে না। খেয়াঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৩ কিলোমিটার ঘুরে বাড়ি যেতে হয়।
গদাইপুর ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, শিবসা নদী ভরাট হওয়ায় গদাইপুর ইউনিয়নের পানি নামতে পারছে না। সে কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পানিতে ডুবে আমন ধানসহ গাছপালা মারা যাচ্ছে। দেলুটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রিপন কুমার মণ্ডল বলেন, আমার ইউনিয়নটি দ্বীপবেষ্টিত। একদিকে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। অন্যদিকে, পানি বাড়লে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদা ভেঙে পানি প্রবেশ করে।জানতে চাইলে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, আগামী দিনে পৌরসভাসহ শিবসার পাশের ইউনিয়নকে বাঁচাতে হলে নদী খনন জরুরি হয়ে পড়েছে।
খুলনা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, ৩১ নম্বর পোল্ডার খনন করা হবে। শিববাটি ব্রিজ হতে সোলাদানা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার নদী পোল্ডারের আওতায় রয়েছে। আমরা কাগজপত্র তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখনো প্ল্যানিং কমিশনে রয়েছে। সেখান থেকে একনেক বৈঠকে পাস হওয়ার পর টাকা বরাদ্দ হবে। তখনই কাজ শুরু হবে। পাইকগাছা উপজেলা ও পৌরসভার প্রাণ কেন্দ্রে এক প্রকার প্রতিযোগিতায় নেমেছে দখলকারীরা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাশে শিবসা নদী দখল করে ধান রোপন করা হচ্ছে। পলি পড়ে শিবসা নদী ভরাট হওয়ার কারণে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চর জেগে উঠেছে। যার বিশাল বিশাল অংশ দখল করে অনেকেই গড়ে তুলেছে অবৈধ স্থাপনা। নেমেছে অবৈধ দখলের প্রতিযোগিতায় । তৈরী করছে ভবন, মাছের ঘের, বসত বাড়ী,বাগ বাগিচা ও পুকুর। এখন চলছে ধান রোপনের প্রতিযোগিতা। ভিলেজ পাইকগাছার মোহর আলী গাজী ও আব্দুল গাজী শিবসা নদীর মাঝখানে প্রায় ১৫ বিঘা দখল করে নিয়েছে। এলাকাবাসী জানান, এই ভাবে চলতে থাকলে একদিন উপজেলা বাসীর মন থেকে মুছে যাবে খরস্রোতা শিবসা নদী।
এমএসএম / এমএসএম

টেকনাফে আপত্তি জানিয়ে মুছে ফেলা হলো ‘জেন্ডার সমতা’ গ্রাফিটি

চৌগাছায় এক মাদকে বিক্রেতাকে ভ্রাম্যমান আদালতের জেল জরিমানা

চৌগাছায় থানা পুলিশ চুরি যাওয়া ৪টি গরু উদ্ধারের

চিলমারীর চরে স্বপ্ন বুনছেন হাজারও ভূমিহীন কৃষক

সাবেক এমপির ঘনিষ্ঠদের দখলে হাতিয়ার তমরদ্দি ঘাট

কুলাউড়ায় ফুটপাত দখলমুক্তের চেষ্টা ব্যর্থ, ভোগান্তি অব্যাহত

পঞ্চগড়ে প্রশিক্ষনে না থেকেও ভাতা নেওয়ার অভিযোগ শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে

কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল

কেশবপুরে আআগরহাটি ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল

নিউমার্কেট মাছ বাজার স্থানান্তরে ব্যবসায়ীদের আপত্তি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে ৯ শিক্ষক ও ২৮৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার।

কাউনিয়া হারাগাছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে শিল্পপতি ভরসা পরিবারের ইফতার মাহফিল
