চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামে প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রিট ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তমালিকা পাল।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ডিজিএম (কমন সার্ভিস) শাহনুর আলম, ডিজিএম ভিজিল্যান্স প্রকৌশলী ছগির আহমেদ, ব্যবস্থাপক বিক্রয় প্রকৌশলী জিয়াউল হক চৌধুরী, ব্যবস্থাপক সেফটি সিকিউরিটি মো. শাহজাহান, ব্যবস্থাপক প্রটোকল মো. বেলায়েত হোসেন, উপ-ব্যবস্থাপক ভিজিল্যান্স ইঞ্জিনিয়ার সেলিম খান, উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন, উপ-ব্যবস্থাপক বিক্রয় ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী ভিজিল্যান্স মো. সাজ্জাদ হোসেন।
জানা গেছে, ৫-৬ বছরে ধরে উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের দেড় কিলোমিটার এলাকায় বিপুলসংখ্যক পরিবার অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করছে। এরমধ্যে ৩০-৪০টি পরিবারের গ্যাস বিল পরিশোধের বই রয়েছে। অনেকে বিল পরিশোধ করেছে। কিন্তু বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের মতে, পুরো গ্যাস লাইনটি অনুমোদনহীন। অফিসের নিয়মিত অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের অংশ হিসেবে খাজুরিয়া গ্রামে মঙ্গলবার প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শতাধিক সাধারণ গ্রাহক।
ভুক্তভোগী অনেকের অভিযোগ, গ্যাস ব্যবহারকারী হিসেবে অনেকের বিল পরিশোধ বই রয়েছে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি। এখন নতুন চুলা ও বোতলজাত এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করতে হবে। কে দেবে নতুন চুলা ও বোতলজাত গ্যাসের টাকা?
এ ব্যাপারে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ডিজিএম (কমন সার্ভিস) শাহনুর আলম বলেন, বই অথবা অনলাইন কার্ডের মাধ্যমে ব্যাংকে বিল পরিশোধ করলে সঠিক হবে না। কারণ, মূল লাইনটিই অবৈধ। অভিযানের দুই মাস আগে থেকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিন্তু গ্রাহকরা এখন বিষয়টি স্বীকার করছেন না।
এমএসএম / জামান