ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

উন্নয়নের স্বপ্নসারথী বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা


স্বরূপ রায় photo স্বরূপ রায়
প্রকাশিত: ১৭-১-২০২২ বিকাল ৫:১২

পিতা দিয়েছে স্বাধীনতা,কন্যা গড়ছে দেশ,আমরা পেয়েছি সুখী,সমৃদ্ধ,ক্ষুধা,দারিদ্র মুক্ত স্বপের সোনার বাংলাদেশ’’। বিশ^ রাজনীতির কবি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাজারও প্রচেষ্টা, ত্যাগ,তিতিক্ষার পর দেশের রাজনীতিতে একজন সফল প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দূরদশী নেতৃত্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি,সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশে^র বুকে রোল মডেল। শেখ হাসিনা শুধু দেশের রত্ন নয় তিনি বিশ^রত্ন।বাঙ্গালী জাতির চেতনার প্রতীক, আমাদের গর্ব,অহংকার ও অনুপ্রেরণা। শেখ হাসিনা মানেই  আজ উন্নয়ন। রূপকল্প-২০২১ইং এ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশকে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত, আধুনিক সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনে দেশরত্ন শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। করোনা মহামারী সংকট কালে বিশ^ অর্থনীতি যখন স্থিমিত বিশ^ অর্থনীতির অবস্থা যখন বেহাল, তখন শেখ হাসিনার জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করে দেশকে যে ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে তা বিশে^ প্রশংসনীয়। তাঁরই সুযোগ্য নেতৃত্ব করোনাকালীন ভয়াবহ  আর্থিক মন্দার পরেও বিদায় বছরে সম্ভবনার চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে, বাংলাদেশের সর্বাত্মকভাবে উন্নয়নে গুরুত্বপূণ ভুমিকা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৯৯৭ সাল থেকে  এখন পর্যন্ত আন্তজার্তিক পর্যায়ে অধিক পদক ও পুরষ্কার অর্জন করেছেন। পেয়েছেন জাতি সংঘের সাউথÑসাউথ কোঅপারেশন অ্যান্ড ভিশনারি অ্যাওয়ার্ড,ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্যা ইনফরমেশন সোসাইটি, ভ্যাক্সিন হিরো, চ্যাম্পিয়ানস অব দ্যা আর্থ,রোহিঙ্গা ইস্যুতে নেতৃত্ব ও মানবিকতার জন্য আইপিএস ইন্টারন্যাশনাল এ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড,স্পেশাল ডিসটিশন অ্যাওয়ার্ড ফর লিডার শিপসহ অসংখ্যা সম্মাননা তিঁনি পেয়েছেন। যা বাংলাদেশকে বিশে^র দরবারে আরও একধাপ এগিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় ও চতুর্থ  বারের মত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন ১৯৯৬ সালের ২৩ই জুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, যমুনা নদীর  উপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ, কৃষকদের জন্য উন্নয়ন মূলক কর্মসূচি, ভূমিহীন দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করেন। বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, আশ্রায়ন প্রকল্প, একটি বাড়ি, একটি  বাড়ি একটি খামার প্রকল্প চালু করেন। ইনডেমনিটি আইন বাতিল করণ ও বিচার ব্যবস্থা পূর্ণ গঠন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কার্যক্রম শুরু,বঙ্গবন্ধু ও তার স্বপরিবারে হত্যা, কারাগারে জাতীয় চার নেতাসহ সকল হত্যার বিচারের কার্যক্রম শুরু। ১৯৭৫ সালের  ১৫ই আগস্ট পরিবারের প্রায় সব সদস্য সহ বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে  হত্যা করা হয়। সেই হৃদয় বিদারক ক্ষত বাংলাদেশকে বয়ে যেতে হবে চিরকাল। বঙ্গবন্ধুকে হারানোর এই অপূরণীয় ক্ষতি, এই শোক আমাদেরকে ভাগ্যহত জাতিতে পরিণত করেছে। এই শোক আজীবন বহন করে যেতে হবে আমাদের। সেই দিন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা আমার প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা আপা বিদেশে অবস্থান করছিলেন বিধায় পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে বেঁচে গিয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে দুঃসহ যন্ত্রনা নিয়ে দীর্ঘদিন ছোট বোন শেখ  রেহানাকে নিয়ে নিবাসিত জীবন কাটাতে হয়েছিল। ১৯৮১ সালে আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে সর্ব সম্মতিক্রমে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন।  অবশেষে সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ১৭ ই মে তিঁনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। নব্বই এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন,সামরিক সরকার উচ্ছেদকরণ, রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির শাসন ব্যবস্থা থেকে সরে এসে সংসদীয় পদ্ধতির মন্ত্রীপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাসহ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করেন।  জিজিটাল বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার  আধুনিক রূপ, যার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। মায়ানমারের সামুদ্রিক জলসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সকল শিক্ষাথীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তুক বিতরণ, কৃষিকার্ড, দশ টাকার ব্যাংক হিসাব খোলা, সারাদেশে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, বিনা জামানতে বর্গাচাষীদের ঋণ প্রদান করেন। দেশে বর্তমানে মুঠোফোন সংযোগের সংখ্যা ১৮ কোটির অধিক। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, গ্রাম, এলাকায় আর্থসামাজিক ব্যবধান কমানো, অনলাইন ব্যাংকিং, ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার, এটিএম কার্ড ব্যবহারসহ ই-কমার্সের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। ২০২৫ সালের  নাগাদ যখন শতভাগ সরকারী সেবা অনলাইনে পাওয়া যাবে তখন নাগরিকদের সময়, খরচ ও যাতায়াত সাশ্রয় হবে। করোনা মহামারি থেকে দেশের জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে টিকা কার্যক্রম, টিকার তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা, সনদ প্রদানের জন্য  সুরক্ষা ওয়েব সাইড চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গ তথা সকলের প্রত্যাশিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্ধোধনের অপেক্ষায় যেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তে জনগণের  নিজস্ব অর্থায়নে তৈরির কাজ প্রায় সম্পন্ন। ঢাকা শহরে যানযট নিরসনে মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার প্রকল্পসহ একাধিক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড চালু রয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্প্রসারন, দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, ডিজিটাল অর্থনীতি সহ এমন বহুবিধ  ডিজিটাল কার্যক্রম বাস্তবায়নে আইন, নীতিমালা প্রনয়ন,সমগ্রিক কার্যক্রম পরিদর্শন, পরামর্শ ও তদারকি করছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের নির্মাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্ঠা সজীব ওয়াজেদ জয়। ১৯৬২ সালের স্কুলের ছাত্রী হয়েও আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ, ১৯৬৬-১৯৬৭ সালে কলেজ ইউনিয়নের সহসভাপতি হওয়ার মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক জীবনের পথ চলা শুরু। ১৯৬৯ এর  গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ অতঃপর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সদস্য ও রোকেয়া হল শাখার সেক্রেটারি হন। মূলত স্কুল জীবনেই রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।
ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে এসে তিঁনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন বাংলার সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণে। দীর্ঘপথ হেঁটে সহস্র বাধাঁ পেরিয়ে তিঁনি আজকের মমতাময়ী মা,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পউন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভ করেছে ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে পৌছে যাবে বাংলাদেশ। 
পরিশেষে দেশরত্ন শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে একটি কথা দিয়ে শেষ করবো সেটি হল ‘‘ শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার, শেখ হাসিনার হাতে থাকলে দেশ পথ হারাবে না বাংলাদেশ,উন্নয়ন,সমৃদ্ধি আর প্রবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।’’


 
লেখক: স্বরূপ রায়  সহ-সম্পাদক,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর
             উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, নড়াইল জেলা
             সদস্য, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি।

এমএসএম / এমএসএম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া