চৌদ্দগ্রামে সরকারি স্কুলে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগে অভিভাবকদের মানববন্ধন

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের এইচ জে সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রূপম সেনগুপ্তসহ পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ভর্তিতে বাণিজ্য, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ অভিভাবকবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজারের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার এলাকায় ওই বিদ্যালয়ের সন্নিকটে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার রামরায় গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুন নামে এক ভুক্তভোগী অভিভাবক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রূপম সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্য, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ আল মামুন তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম থাকলেও বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রূপম সেনগুপ্ত সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ৪ ধরনের ফরম বিক্রি করেন। দুই ধরনের ফরমে ক্রমিক নং কম্পিউটারাইজড আর দুই ধরনের ফরমের ক্রমিক নং হাতে লেখা ছিল। হাতের লেখা ক্রমিক নং ফরমে অনিয়ম করেন রূপম সেনগুপ্ত। অধিকাংশ অভিভাবক ৮-১০টি ফরম ক্রয় করেন। এ ধরনের পরামর্শ পছন্দের (যাদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করেছেন) অভিভাবকদের বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রূপম সেনগুপ্ত নিজেই দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, এতে একজন ছাত্র লটারিতে একাধিকবার চান্স পায়। একাধিকবার চান্স পাওয়া ছাত্রের একটি রোল রেখে বাকিগুলো ওই হাতের লেখা ক্রমিক নং দেয়া ফরমের মাধ্যমে তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে ২০-৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে চান্স না পাওয়া ছাত্রদের ভর্তি করান।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করা হলে এ ধরনের অনিয়ম করা সম্ভব হতো না। আমিও একটি ফরম ক্রয় করেছি। সরকারি বিধি মোতাবেক দুই শাখায় ১২০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করার নিয়ম থাকলেও ৬ জানুয়ারি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১৪০ জন শিক্ষার্থীর নাম হাজিরা খাতায় পাওয়া যায়। এছাড়াও রূপম সেনগুপ্ত ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি বাবদ ১ হাজার ২৬০ টাকা করে আদায় করছেন।
মোহাম্মদ মোশারফ নামে এক অভিভাবক বলেন, কুমিল্লা জিলা স্কুল ও ফয়েজুন্নেছা স্কুলসহ দেশের সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই শিফটে ক্লাস হয়। ব্যতিক্রম শুধু চৌদ্দগ্রাম এইচ জে সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে। সরকারি হওয়ার পর শিক্ষার্থী ভর্তি সংরক্ষিত বা সীমিত করার কারণে চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার ৩ ভাগের ২ ভাগ শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয়টিতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে না। উপজেলা সদরে পৌর এলাকায় বিকল্প কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই। ফলে আমাদের সন্তানদের অনেক দূরে গিয়ে ভর্তি হতে হচ্ছে। আবার অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পেরে এখানেই লেখাপড়ার ইতি টানছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রূপম সেনগুপ্ত বলেন, বোর্ড থেকে অনলাইনের এখনো কোন সফটওয়্যার না দেয়ায় ফরমের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হয়েছে। এতে কোনো অনিয়ম হয়নি। সরকারি বিধি মোতাবেক শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে অভিভাবক ও সুধীমহলের উপস্থিতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। টাকা গ্রহণ করে অনিয়মের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করার বিষয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়, এটি সম্পূর্ণ তথ্য বিভ্রাট।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মনজুরুল হক বলেন, মৌখিকভাবে এ ধরনের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে কোনো সত্যতা পাইনি। তারপরও সংক্ষুদ্ধ কোনো অভিভাবক লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শাফিন / জামান

মিরসরাইয়ে দাড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানের পেছনে বাসের ধাক্কায় নিহত হেলপার

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে কুষ্টিয়ায় মাসিক রাজস্ব সভা অনুষ্ঠিত

রায়পুরে সরকারি খাস জমিতে অবৈধ স্থাপনা, উচ্ছেদে ধীরগতি

জমির জন্য বৃদ্ধ দম্পতিকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

শ্রীপুর পৌর শহরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

আত্রাইয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

জয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

হাটহাজারী সাব রেজিস্টার অফিসে মূল দলিলের পাতা গায়েব করে ভুয়া পাতা সংযুক্ত

আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানকে সংসদীয় ৫ আসনে উপহার দিতে মীর হেলাল উদ্দিনের বিকল্প নাই -গিয়াস উদ্দীন

১৪৫ কোটি টাকার ফেরিঘাটে নেই ফেরি, সরকারের নতুন চিন্তা

জলবায়ু পরিবর্তনের ছোবল: স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় সন্দ্বীপে কর্মশালা
