বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাই হোক দৈনিক সকালের সময়ের পথচলার প্রেরণা ও প্রাণশক্তি

আজ ২৯ জানুয়ারি, দৈনিক সকালের সময় ৫ বছর পূর্ণ করে ষষ্ঠ বছরে পা দিয়েছে। এটি খুবই আনন্দের বিষয়। পত্রিকাটির সঙ্গে যারা জড়িত, সম্পাদকসহ তাদের সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দৈনিক সকালের সময় বলিষ্ঠ ও নির্ভীকভাবে খবর এবং খবরের পেছনের খবর পরিবেশন করে আসছে। পত্রিকাটির উপসম্পাদকীয় খুবই মানসম্পন্ন। উপসম্পাদকীয়গুলো এ কাগজের একটি বড় বৈশিষ্ট্য। আশা করব আগামীতেও দৈনিক সকালের সময় দেশবাসীর জন্য প্রকৃত সংবাদ তুলে ধরবে। আমি এ পত্রিকার উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করি।
একটি সংবাদপত্রের আয়ু নির্ভর করে তার পাঠকসংখ্যার ওপর, আর পাঠকসংখ্যা নির্ভর করে তার বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর। প্রতিটি সংবাদপত্রের কিছু দর্শন থাকে, তথ্য ও খবর পরিবেশনের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই সেই দর্শন প্রভাব ফেলে। আমরা অনেক সময় নিরপেক্ষতার কথা শুনি। আমি মনে করি, কোনো সংবাদপত্রের সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। কারণ নিরপেক্ষতার মাপকাঠি নিয়েই বিতর্ক হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমি বলব, পরিবেশিত সংবাদটি যেন পত্রিকাটির দর্শনের মধ্যে থেকে যতটা সম্ভব ব্যালেন্সড হয়। মতামতটি যেন ব্যালেন্সডভাবেই উপস্থাপিত হয়। তাহলেই পাঠকসংখ্যা বাড়বে।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থেকেও সব মত ও পথকে ধারণ করার অনন্য নজির দৈনিক সকালের সময় । প্রতিষ্ঠার প্রথম থেকেই অন্যতম এ পত্রিকাটি দেশ ও জনগণের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। ষষ্ঠ বছরে এসে এটি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে আরও সোচ্চার ভূমিকা গ্রহণ করেছে বলে দেখতে পাচ্ছি। দলমত নির্বিশেষে সবার মতামত প্রকাশের পত্রিকা দৈনিক দৃষ্টি প্রতিদিন দেশমাতৃকাকে এগিয়ে নেয়ার পথে আরও বলীয়ান হবে।
দেশে সাংবাদিকতার পেশাদারিত্বে দৈনিক সকালের সময়ের ভূমিকা অগ্রগণ্য। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদ ও মতাশ্রয়ী লেখার সমাবেশ ঘটিয়ে দৈনিক সকালের সময় ষষ্ঠ বছরে পদার্পণ করছে। এটি দেশের মুদ্রণ মাধ্যমে একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। আমি দৈনিক সকালের সময়ের সাংবাদিক এবং সব কর্মচারীকে এ উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। দৈনিক সকালের সময় দিনে দিনে আরও সমৃদ্ধ হবে, জনগণের আরও কাছাকাছি নিজেকে উপস্থাপন করবে, এটাই প্রত্যাশা করি।
দৈনিক সকালের সময় আমার প্রিয় দৈনিকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি পত্রিকা।পত্রিকাটি এমন অনেক বিষয় প্রকাশ করে যা অন্য অনেক পত্রিকা্তেই প্রকাশিত হয় না।অনেক বিষয়ে দৈনিক সকালের সময় সাহসী ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।কাগজটিকে ধারাবাহিকভাবে উন্নততর করার জন্য এর ব্যবস্থাপনা ও সম্পাদকীয় পরিষদ আন্তরিক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।আমি তাদের এ প্রয়াসের প্রশংসা করছি। পত্রিকাটি কোন ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর বৃত্তে আবদ্ধ না হওয়ায় সংবাদ প্রকাশের যে প্রফেশনাল চরিত্র দেয়া হচ্ছে তা অত্যন্ত আশাপ্রদ।একটি নিরপেক্ষ পত্রিকা হিসেবে দৈনিক সকালের সময় তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে পাঠক হিসেবে এটাই আমি আশা করি।
একটি পত্রিকার ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়েই সভ্যতা ও ইতিহাস অগ্রসর হয়। আমাদেরও সেই ধারায় দৈনিক সকালের সময়কে সংগঠিত করতে হবে। সেই কাজে পত্রিকাটি জনগণের স্বার্থে ভূমিকা পালন করবে,এটাই প্রত্যাশা। নামের সার্থকতার প্রমাণ দিয়ে পত্রিকাটি এভাবেই ইতিহাস নির্মাণের বাহক হয়ে উঠুক।
আমি সব সময় দৈনিক সকালের সময়ের সমৃদ্ধি কামনা করি।পত্রিকাটি জনগণের পক্ষে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্য দিয়ে দৈনিক সকালের সময়ের পাঠক মহলে একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। আশা করি পত্রিকাটির এই ধারা অব্যাহত থাকবে। চলমান ঘটনাপ্রবাহ, রাজনীতি,অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দৈনিক সকালের সময় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কথা বলে এবং দৃঢ়তার সঙ্গে বলে।
জনগণ যে ভাষা পছন্দ করে দৈনিক সকালের সময় ঠিক সেই ভাষাতেই কথা বলে-পত্রিকাটির অনেক প্রতিবেদন ও উপসম্পাদকীয়তে এটি আমরা দেখেছি। পত্রিকাটিতে স্বাধীনভাবে লেখা যায়, যা উৎসাহব্যঞ্জক। একটি সংবাদপত্রকে তার সাহসী ভূমিকা দিয়েই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে হয়। দৈনিক সকালের সময় আরও বড় হোক, আরও সমৃদ্ধিশালী হোক, এটাই আমরা চাই।
শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি
জামান / জামান

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া
