শহীদ মিনার নিয়ে যুগে যুগে ষড়যন্ত্র হয়েছে

এই শহীদ দিবস এবং শহীদ মিনার নিয়ে সব সময়ই একটি ষড়যন্ত্র ছিল। স্বাধীনতার ঠিক অব্যবহিত পরই পরাজিত পাকিস্তানিদের একটি অংশ রাতের বেলা শহীদ মিনারের পরিবেশকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় লিরিক ছিল। তখন এখনকার মতো এতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। একটি রাজাকার গোষ্ঠী প্রাণপণ চেষ্টা করেছিল শহীদ মিনারের পবিত্রতাকে নষ্ট করতে।
তারপর বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করার পর এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আরো বেগবান হয়ে ওঠে। তখন শুরু হয় জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতি মিনারের সবচেয়ে উপরে স্থাপন করার প্রতিযোগিতা। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কর্মীবৃন্দও ছাড় দেয়নি। প্রায়শ:ই শহীদ মিনারে সংঘর্ষ হতো। মনে হয়নি দেশে কোনো সরকার আছে। শহীদ মিনারে নেতৃবৃন্দের কাপড় ছেড়ার ঘটনাও ঘটেছে।
অর্থাৎ এসমস্ত করা হয়েছিল যাতে মানুষ শহীদ মিনারে যেতে নিরুৎসাহিত বোধ করে। এরশাদের আমলে তো সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি জুতা পরে শহীদ মিনারে উঠে যেত। এখনো একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী গ্রামে গঞ্জে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বর্ণনা করে এবং শহীদ দিবস এলেই এদের তৎপরতা বেড়ে যায়।
স্বাধীনতার পূর্বে এবং ঠিক তার পর শহীদ দিবস কে ঘিরে যেভাবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে পরিচালিত হতো তার অনেক টাই ৭৫ পরবর্তী সময়ে কমে গিয়েছিল। নিজামীরা তো কখনোই শহীদ মিনারে যায় নি। তারা আবার দেশ শাসনও করেছিল। এভাবে একটি দীর্ঘ প্রজন্ম বিভ্রান্ত হয়েছে। তারা ‘জীবন থেকে নেয়া‘ ছবির কথাও শোনেনি।
আমরা ভাগ্যবান যে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসেছিলেন এবং বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য কে সমুন্নত রাখতে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন এবং অনেক সময় মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন। আজ যে সারা দেশে সুষ্ঠুভাবে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যাপারটি, সেটা সম্পূর্ণ তাঁর অবদান। আমদের সকলকে শহীদদের সম্মানে নিজ নিজ অবস্থান থেকে শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে, অন্যকে উৎসাহিত করতে হবে এবং শহীদ মিনার বিরোধীদের রুখতে হবে।
লেখক : ট্রেজারার ও সাবেক প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সাবেক চেয়ারম্যান, ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
শাওন / জামান

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন
