চট্টগ্রামের বইমেলা কাঁপাচ্ছে লেখিকা তৈয়বা মনির
দীপ্ত ও দহন। তাদের প্রেম-ভালোবাসা, মান-অভিমানের মধ্য দিয়ে গল্পটি এগিয়ে গেলেও পরবর্তীতে অনেক রহস্যময়তা, নাটকীয়তা ও কঠিন বাস্ততার সম্মুখীন হতে হয় ।ঘূণধরা সমাজ ও মন-মানসিকতার কারণে অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল মানুষ করে থাকে। এই ভুলগুলো মানুষকে ক্ষমা করে না। তার খেসারত পরবর্তী প্রজন্মের ছেলে মেয়েকেও দিতে হয়। এরই ফলশ্রুতিতে দহনের ন্যায় অনেকেই ব্রোকেন ফ্যামিলীর সন্তান হিসাবে বড় হয়। ব্রোকেন ফ্যামেলীর বাচ্চাগুলোর কষ্ট বাইরে থেকে বুঝা না গেলেও ভেতরে ভেতরে তারা প্রচন্ড নিঃসঙ্গতায় ভোগে। কখনো কখনো তারা সিজোফ্রেনিয়া রোগেও আক্রান্ত হয়ে থাকে।
প্রেম-ভালোবাসা-শ্রদ্ধা-বিশ্বাস -আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং সৎ চরিত্রের অধিকারী হওয়া সত্বেও স্বামীর কিংবা স্ত্রীর কোন একটা দুর্বল পয়েন্ট নিয়ে ঘুনেধরা সমাজের অনবরত হেমারিং জীবনকে ধংস করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। অথচ তৃতীয় পক্ষ প্রতিনিয়ত এই কাজটি নিজের অজান্তেই অবলীলাক্রমে করে থাকে। সেইসাথে কর্মক্ষেত্রে একজন নারীর নিরাপত্তার বিষয়টি তো আছেই ।এই জায়গাটা থেকে কেন যেন আমরা বেরিয়ে আসতে না।তবুও আমরা ভালোবাসি। ভালোবাসার ক্ষণগুলোকে হৃদয়ের গভীরে লোকচক্ষুর অন্তরালে স্বযত্নে লালন করি । কখনো কখনো আনমনে বলে উঠি, ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।
এমন সাড়া জাগানো বই এখন পাওয়া যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম একুশে বইমেলার অন্বেষা প্রকাশনীর ষ্টলে।ভূত এটাও আরো বেশী উচ্ছাঁস ছড়িয়ে এখন চট্টগ্রাম বইমেলার অন্বেষা প্রকাশনালয়ে একটা সময় ছিলো যখন মানুষ ‘ভূত’ শব্দটি শুনলেই ভয় পেত । কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে ‘ভূত’ সম্পর্কে ভয়ের চেয়ে কৌতুহলই বেশি কাজ করে।কোন এক অজানা কারণে নর্থ আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্ট সিটি হাসপাতালে মারা যায় নিমি ও নাবিল। নাবিল মৃত্যুর সময় যে কথাগুলো বলেছিলো তা বাংলাদেশে থেকে তিনবন্ধু একসাথে শুনতে পায়। কিন্তু এটা কি করে সম্ভব!
এই ঘটনাটি তিনবন্ধুর মনে জন্ম দেয় অনেক প্রশ্নের । এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজতে গিয়ে আরো কিছু অতিপ্রাকৃত বিষয় সামনে চলে আসে।এরকম আরো অনেক অনেক রহস্যময়তা ও নাটকীয়তার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তিন বন্ধুকে ।তিন বন্ধু কি আদৌ উন্মোচন করতে পারবে এই গোলকধাঁধার রহস্য!
চট্টগ্রামের প্রতি অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন-
চট্টগ্রাম, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি। সৃষ্টিকর্তা উদার হাতে সাজিয়েছেন এই ভূমিকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আবহ চট্টগ্রামবাসীকে মনের দিক থেকে করেছে অনেক বেশি শক্তিশালী।এই যান্ত্রিক জীবনের যাতাঁকলে কখনো যদি হাঁপিয়ে উঠি, তবে একটু স্বস্তির জন্য চলে যাই সাগর-পাহাড়ের মিলন স্থল চট্টগ্রামে।আমার বরের চাকুরীর সুবাদে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আমি চট্টগ্রাম হালিশহরে ছিলাম। বর্তমানেও বরের চাকুরীর সুবাদে প্রায়ই যাওয়া হয়। তাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আমি তাদের মনের সৌন্দর্য ও উদারতা অনুভবের সুযোগ পেয়েছি। প্রকৃতির মতো সাধারণ মানুষগুলোও খুব সহজেই আপন করে নিতে জানে সবাইকে। চট্টগ্রাম আমার কাছে ভালো লাগার নাম, ভালোবাসার নাম।
উল্লেখ্য:
তৈয়বা মনির। জন্ম ব্রাহ্মনবাড়িয়ায়। শৈশবের কিছুটা সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাটলেও পরবর্তীতে বেড়ে উঠা ও পড়াশোনা ঢাকাতেই। অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পূর্ণ করার পর বর্তমানে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ডি.ও.এইচ.এস. মহাখালি, ঢাকা সেনানিবাসে শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন। লিখালিখি তার শখ ও নেশা এবং মানসিক আনন্দের খোরাক । এই অস্তিত্বের মানে ও অসীমের আহ্বান দুই’ই তাকে প্রশ্নজালে আবদ্ধ করে অহরহ। সেই সাথে পরিবেশ-প্রকৃতি ও সামাজিক জীব হিসাবে আবেগ-অনুভুতি এবং চলার পথে যা দৃষ্টিগোচর হয় তাও তাকে লিখালিখিতে অনুপ্রাণিত করে। ২০১৯ ও ২০২০ সালে কাব্যগ্রন্থ “মনের জানালা” ও “চার বর্ণের ভালোবাসা” প্রকাশিত হয় । এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তার একাধিক লিখা যৌথভাবে বিভিন্ন বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে ।
এমএসএম / এমএসএম