ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

গোবিন্দগঞ্জে নিরাময় ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল রিপোর্ট দিয়ে রোগীদের হয়রানি


গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি photo গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪-২-২০২২ বিকাল ৫:৬
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ৫০ শষ্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের কাছেই (২০ থেকে ১০০ গজের মধ্যে) নিরাময় ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও অনেক ডায়াগনস্টিক, ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের এমটিতে (ল্যাব) নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে হাতুড়ে ব্যক্তিদের দিয়ে।
 
নিরাময় ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিবেশ অধিদফতরের কোনো সনদ নেই। এই ক্লিনিকে কয়েক মাস পূর্বে এক প্রসূতি মা ভুল চিকিৎসায় মারা যান। ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিতে এমটি (ল্যাব), এক্স-রে, আল্ট্রাসনো ও রক্ত পরীক্ষা করার কাজ চলছে। গত কয়েক দিন পূর্বে কামারদহ ইউনিয়নের সতীতলা গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে তাহিদুল ইসলাম (২৯) কানের সমস্যা নিয়ে এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ‍এলে কানের এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ৭ দিনের ওষুধ দিয়ে জরুরি কানের অপারেশন লাগবে বলা হয় রোগীকে। ৭ দিনের ওষুধ সেবনের পর পুনরায় ক্লিনিকে এলে বলা হয় অবশ্যই আপনার কানের অপারেশন লাগবে। এতে সন্তুষ্ট না হয়া বগুড়া শজিমেক নিলে যথারীতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আপনার আপারেশন করা লাগবে না। ফলে রোগী ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসান বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
 
এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মনগড়া রিপোর্ট ধরিয়ে দিয়ে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা আর চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। দেখা যাচ্ছে সঠিক রোগের কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুয়া রিপোর্টের কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মূল পুঁজি হচ্ছে বড় বড় সাইনবোর্ড আর নামকরা সব ডাক্তারের নাম ঝুলিয়ে আকৃষ্ট করা। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে একটি নির্দিষ্ট রেট বেঁধে দেয়া থাকলেও সেটা মানছে না কেউ। 
 
বলা হয়ে থাকে, ডাক্তার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের মধ্যে কমিশন বিনিময় প্রথার মাধ্যমে রোগীর আদান-প্রদান করা হয়। ডাক্তার একটি নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাম রেফার করে দেন, রোগীকে সেখান থেকেই দ্বিগুণেরও বেশি বেশি ফিতে টেস্ট করাতে বাধ্য করা হন। আর এই রোগী প্রেরণের মাধ্যমে ডাক্তারকে দেয়া হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ পার্সেন্টেজ। অন্যদিকে ব্যবসায়ী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা হন লাখ লাখ টাকার মালিক। এই যদি হয় সেবা খাতের নমুনা, তাহলে বলা যেতে পারে রোগী জবাই করার বাকি থাকে কোথায়? অথচ কর্তৃপক্ষ নির্বিকার, যেন দেখেও কিছু দেখে না।
 
এছাড়াও উপজেলার অনেক জায়গায় নিয়ম না মেনেই অবৈধভাবে ডায়াগনস্টিক ব্যবসা চলছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মানসম্পন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে না। ভুল রিপোর্ট দেয়া হচ্ছে। আর খেসারত দিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্যসেবা। 
 
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, গাইবান্ধা জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কতিপয় অসাধু কর্তাব্যক্তিকে মাসোয়ারা দিয়ে এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক চালানো হচ্ছে।
 
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এম আক্তারুজ্জামান বলেন, আমরা করোনা ভ্যাকসিনের জন্য ব্যস্ত আছি। ব্যস্ততা শেষ হলেই এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের রেজিস্ট্রেশন যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনিয়মের প্রমাণ পেলে এগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।

এমএসএম / জামান

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত