হরিরামপুরে পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির হরিরামপুর অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আসলামুজ্জামান হকের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কাছ থেকে লাইন স্থানান্তর, সার্ভিস ড্রপ পরিবর্তন, সেচ প্রকল্পসহ বিভিন্ন কাজে ঘুষ দাবি এবং ঘুষ আদায়ে গ্রাহকদের হুমকি দেয়াসহ গ্রাহক হয়রানির নানা অভিযোগ উঠেছে।
কয়েকজন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, আসলামুজ্জামান তাদের কাছে থেকে সার্ভিস ড্রপ পরিবর্তন, সেচ প্রকল্পের লাইটিং অ্যারেস্টেটর পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কাজে টাকা নিয়েছেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সংযোগ বিছিন্ন করার হুমকিও দিয়েছেন। কিন্তু কাউকেই টাকা নেয়ার কোনো রসিদ দেননি।
লেছড়াগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ইউসুফ দেওয়ান জানান, তার দোকানের সংযোগের সার্ভিস ড্রপ নষ্ট হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করে দেয়ার জন্য তার কাছে থেকে আসলামুজ্জামান ২ হাজার ১০০ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু তাকে টাকার কোনো রসিদ দেননি।
বাহিরচর গ্রামের নান্নু জানান, তার পিতার নামীয় সেচ প্রকল্পের লাইটিং অ্যারেস্টেটর পরিবর্তনের জন্য আসলামুজ্জামান ২ হাজার ৪০০ টাকা দাবি করেন। কিন্তু তিনি তখন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসলামুজ্জামান তার সংযোগ বিচ্ছিন্নের হুমকি দেন। পরে নান্নু ধার করে ১ হাজার ৯০০ টাকা আসলামুজ্জামানকে প্রদান করেন। কিন্তু তাকে টাকার কোনো রসিদ দেননি।
বাহিরচর গ্রামের আরেক গ্রাহক টুলু জানান, নান্নুর মতো তার কাছে থেকেও আসলামুজ্জামান লাইটিং অ্যারেস্টেটর পরিবর্তনের জন্য ১ হাজার ৭০০ টাকা নিয়েছেন। তাকেও কোনো রসিদ দেননি।
বাহিরচর গ্রামের আখের আলী বলেন, তার কাছে থেকে আসলামুজ্জামান হক ৪ হাজার ২৬৬ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু কোনো রসিদ দেননি।
দিয়াবাড়ী গ্রামের সেচ গ্রাহক আনন্দ দাস বলেন, আসলামুজ্জামান তার নিকট থেকেও লাইটিং অ্যারেস্টেটরের জন্য নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। টাকার কোনো রসিদ দেননি।
সট্টি গ্রামের বিপ্লব রায়ের নামীয় সেচ স্থানীয় সুশীল নামের এক ব্যক্তি চালান। সুশীল বলেন, ‘আসলামুজ্জামান সেচ সংযোগের জন্য তার কাছে থেকেও ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। তাকেও টাকার কোনো রসিদ দেননি।
দিয়াবাড়ী বাংলালিংক টাওয়ারের (৫৭৬নং) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আমিরুল বলেন, টাওয়ারের ট্রান্সফর্মার মেরামত এবং লাইটিং অ্যারেস্টটর পরিবর্তনের জন্য তার কাছে থেকে আসলামুজ্জামান হক ১৪ হাজার টাকা নিয়েছেন ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বরে। তাকে টাকার কোনো রসিদ দেয়া হয়নি।
এছাড়াও কিছুদিন পূর্বে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে থেকে অবৈধভাবে নেয়া প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা চাপে পড়ে আসলামুজ্জামান হক স্থানীয় বাহিরচর গ্রামের ইলেকট্রিশিয়ান পান্নু বিশ্বাসের মাধ্যমে গ্রাহকদের ফেরত দিয়েছেন।
পান্নু বিশ্বাস বলেন, ‘সেচের লাইটিং অ্যারেস্টেটর পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন গ্রাহকের নিকট থেকে আসলামুজ্জামান টাকা নিয়েছিলেন কিন্তু তাদের কোনো রসিদ দেননি। পরবর্তীতে গ্রাহকরা তাদের টাকার রসিদ চাওয়ায় চাপে পড়ে আসলামুজ্জামান গ্রাহকদের টাকা আমার মাধ্যমে ফেরত দেন।’
সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে মো. আসলামুজ্জামান বলেন, আমি কারো কাছে থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেইনি।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঝিটকা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সামিউল কবির বলেন, গ্রাহকরা আমার বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ মৃধা বলেন, ‘গ্রাহকরা আমার নিকট লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / জামান
ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কেটে এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু
মসজিদের খতিব–ইমাম–মুয়াজ্জিনদের সুরক্ষায় নীতিমালা চূড়ান্তঃ কুমিল্লায় ধর্ম উপদেষ্টা
মেহেরপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুনঃবিবেচনার দাবিতে গণজমায়েত
চর ওয়াশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর করেন জাতীয় বীর আমান উল্লাহ আমান
গাজীপুরের রাজনীতিতে ঝড় তুললেন ইরাদ সিদ্দিকী
ধুনটে বালুবাহী দুই ট্রাকের চাপে অটোরিকশাচালক নিহত
পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের হীরক জয়ন্তী পালন
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিলমারী মডেল থানার এসআই আসাদুজ্জামানের আকস্মিক মৃত্যু
কোম্পানীগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও সহায়তা প্রদান
দুমকিতে সশস্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
দুমকিতে গাভী লুটপাটের অভিযোগ 'মিথ্যা', দাবি করে সংবাদ সম্মেলন
ভূমিকম্পকে আল্লাহর সতর্কবার্তা হিসেবে দেখার আহ্বান – মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব (বড় হুজুর, কাছাইট)