করোনাকালীন শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থী

করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্ত হলেও বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তির তিনজনের দু’জনই ইতালি ফেরত এবং বাকি একজন তাদের আত্মীয়।
১৪ মার্চ পার্শ্ববর্তী ভারতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেদিনও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, বাংলাদেশে এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এর দুইদিন পরই হঠাৎ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও ওই মুহূর্তে এর কোন বিকল্প ব্যবস্থাও ছিলো না। ওই সময়ে অভিভাবকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবিও জানিয়েছিলেন। তখন হয়ত কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করেনি এতকাল (দীর্ঘ সময়) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
ইউনিসেফের তথ্যমতে, বাংলাদেশ ছাড়া আরও ১৩টি দেশে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই একমাত্র, যেখানে অব্যাহতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক বছরের বেশি বন্ধ রয়েছে। গত মার্চ মাস থেকে প্রায় ১৪ মাস ধরে লাগাতার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এসএসসি ও এইচএসসিতে তৈরি হয়েছে পরীক্ষাজট এবং উচ্চ শিক্ষায় সৃষ্টি হয়েছে সেশনজট। এ ছাড়াও নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের বিভিন্ন ক্লাসে অটো প্রমোশন দেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে সরকার অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করলেও তাতে সবার সবার অংশগ্রহণ লক্ষণীয় নয়।
অধিকাংশ পরিবারে তাদের সন্তানদের অনলাইন ক্লাস উপযোগী স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ কিংবা প্রয়োজনীয় ডিভাইস কিনে দেওয়ার সামর্থ্য নেই। এ ছাড়াও ইন্টারনেটের ধীরগতি এবং উচ্চমূল্য এই কার্যক্রম ব্যর্থ হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ। তাছাড়া আমাদের অধিকাংশ শিক্ষকগণও এই ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত নয়।
একটি বেসরকারি সংস্থার তথ্যমতে, প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। যদিও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, প্রায় ৯১ শতাংশ শিক্ষার্থী এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছে। আবার অতিরিক্ত অনলাইন ক্লাসের ফলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির একটি আশঙ্কা থেকেই যায়।
বিপথগামী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা এবং লকডাউনে লাগাতার ঘরে আবদ্ধ থেকে শিক্ষার্থীরা সময় পার করছেন স্মার্ট ফোনে বিভিন্ন অনলাইন গেম খেলে। অনলাইন ক্লাস কিংবা সময় পার করতেই হোক অতিরিক্ত স্মার্ট ফোনে বুঁদ হয়ে থাকায় শিক্ষার্থীদের তৈরি হচ্ছে স্মার্ট ফোনে আসক্তি।
কিং জর্জস মেডিকেল ইউনিভার্সিটির একজন সিনিয়র মনোবিদ বলেন, ‘মোবাইলে অনলাইন ক্লাস করার সুযোগে অতিরিক্ত স্মার্ট ফোন ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে অল্প-বয়স্ক শিক্ষার্থীরা। তারা এই ডিভাইস ব্যবহারে আসক্ত হয়ে পড়ছে। যার ফলে অল্পে মেজাজ হারানো কিংবা খিদে না পাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিচ্ছে।’
স্মার্ট ফোন আসক্তি ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া গ্রামের ছেলেমেয়েদের বাঁশঝাড়ে বসে মোবাইল গেম খেলার ছবি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে সেই বার্তাই দিচ্ছে।
এ ছাড়াও চায়ের দোকান, গাছতলা, রাস্তার ধারে, বাড়ির পাশে ও মাঠের মধ্যে, নদীর পাড়ে স্মার্টফোন হাতে নিয়ে অনলাইন নির্ভর পাবজি কিংবা ফ্রি ফায়ারের মতো গেমস এ ডুবে রয়েছে তরুণ প্রজন্ম।
গত শুক্রবার (২১ মে) দুপুরে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপাদি গ্রামে মামুন (১৪) নামের এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোবাইলে ইন্টারনেটভিত্তিক গেমস ‘ফ্রি ফায়ার’ খেলার এমবি কেনার টাকা না পেয়ে ওই কিশোর আত্মহত্যা করে।
তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আরো ভয়াবহ চিত্র। তাদের তথ্যমতে, করোনাকালে গত এক বছরে সারাদেশে আত্মহত্যা করেছে ১৪ হাজার ৪৩৬ জন নারী-পুরুষ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, ২০১৯ সালে সারা দেশে আত্মহত্যা করেছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। সেই হিসেবে গত এক বছরে দেশে আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েছে ৪৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীদের সংখ্যা বেশি।
তথ্যমতে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী রয়েছেন ৪৯ শতাংশ, ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ৩৫ শতাংশ। সবচেয়ে কম আত্মহননকারী ৫ শতাংশ হচ্ছেন ৪৬ থেকে ৮০ বছর বয়সীরা। তার মানে তরুণরাই আত্মহত্যার ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি। যাদের মধ্যে অধিকাংশই বিভিন্ন কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে সরকারি বাঙলা কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. শাহিনারা বেগমকে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে কোন সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সম্পর্ক আছে। ঘরে বসে থাকতে থাকতে ছেলেমেয়েদের মধ্যে এক ধরনের ডিপ্রেশন দেখা দিচ্ছে। এর বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আচরণে উগ্রতা, বদমেজাজ, বাবা-মায়ের অবাধ্যতা, জেদ এবং জীবনযাপন প্রক্রিয়া পরিবর্তন, খাওয়া দাওয়ার প্রতি অনীহা আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে অতিভোজনে আসক্তি, অনিদ্রা, গেম আসক্তি, খিটখিটে মেজাজ আরও অন্যান্য ছোটখাটো বিষয়ে অভিভাবক, পিতামাতা বন্ধু বা প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া বা মনোমালিন্যের জের ধরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে!
সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, সামাজিক ব্যবস্থা ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটি অশনি সংকেত বটে।
আঁচল ফাউন্ডেশনেরও আত্মহত্যার প্রধান কারণ হিসেবে পারিবারিক জটিলতা, সম্পর্কের অবনতি, পড়াশোনা নিয়ে হতাশা, আর্থিক সংকটকে চিহ্নিত করেছেন।
এ বিষয়ে সরকারি বাঙলা কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আহমেদ হাসান আল বাকার আত্মহত্যার ৬টি কারণ চিহ্নিত করেন-
১. বেকারত্ব
২. নিজের টিউশনি, পার্ট টাইম জব হারানো
৩. পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি
৪. নিঃসঙ্গতা
৫. মনস্তাত্ত্বিক/সামাজিক/দৈহিক
৬. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতি আসক্তি
ড. হাসান আল বাকার এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের ৮টি পরামর্শ দিয়ে তা মেনে চলতে বলেন-
১. নিজেকে যতটা সম্ভব সৃজনশীল/পজিটিভ কাজে ব্যস্ত রাখা
২. ধর্মীয়/নৈতিক অনুশাসন মেনে চলা
৩. সবার সঙ্গে যৌক্তিক আচরণ করা
৪. পরিবারের অর্থনৈতিক/সাংসারিক কাজে সহায়তা করা
৫. নিজেকে প্রচণ্ড ভালবাসতে হবে
৬. আত্মহত্যার মতো জঘন্য কাজকে ঘৃণা করতে হবে
৭. সামাজিক/অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে
৮. শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত নয়, সমাজের জন্যও কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে ফলে নিজের মাত্রাতিরিক্ত চাহিদা নগণ্য মনে হবে। নিজের মধ্যে সন্তুষ্টি আসবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ট্রেইনি স্কুল সাইকোলজিস্ট মো. ওয়াহিদ আনোয়ার বলেন, ‘আত্মহত্যার ঘটনা বৃদ্ধির অনেকগুলো প্রভাবক থাকতে পারে। যেমন টানা লকডাউনে মানসিক বিপর্যয়, আর্থিক অনিশ্চয়তা, ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বা আরো অন্যান্য কারণ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর। কারণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে একদিকে যেমন ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে, তেমনি সামাজিকভাবে এবং পরিবারের মধ্যেও তারা অমানুষিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বন্ধুবান্ধব ও শিক্ষকদের সঙ্গে পারস্পরিক যোগাযোগ এবং তাদের সুখ দুঃখ শেয়ার করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের ক্যাম্পাস লাইফ স্টাইলের সঙ্গে এলাকার জীবনযাত্রার পার্থক্য তাদের পীড়া দিচ্ছে। সামগ্রিকভাবে দেখলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা অনেক বেশি বেড়ে গেছে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাওদা জামান রিশা মনে করেন, পুরো বিশ্ব করোনার কারণে থমকে আছে বহুদিন। সম্পূর্ণ স্বাভাবিকতা না থাকলেও তারা চেষ্টা করছে স্বাভাবিকতার চর্চা করতে। তাদের অর্থনীতি, শিল্প, শিক্ষা সকল ক্ষেত্রই বিশেষ কোন নিয়ম অনুসরণে চলমান আছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অর্থনীতি ও ব্যবসা সংক্রান্ত সকল ক্ষেত্র পুরোপুরি চলমান কিন্তু কেবল শিক্ষা ক্ষেত্র স্থবির। কিন্তু এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তাজনেরা এই বিষয়টি খুব বেশি চিন্তিত নন। এর ফলে শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে ঝরে গেছে দেড় বছর। সকলের আর্থ সামাজিক অবস্থা এক নয়। পারিবারিক -সামাজিক এবং ব্যক্তিক সমস্যা মিলিয়ে তারা জীবন নিয়ে অনিশ্চিত। বেড়ে চলেছে হতাশা যার পরিণামে আত্মহননের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলমান সামাজিক পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনার কোন বিকল্প নেই।
সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী মো: মাসুম বিল্লাহ বলেন, অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা তবে সেই ফাঁকা স্থান কখনো ফাঁকা থাকবে না, বরং সে জায়গা দখল করবে স্বয়ং শয়তান। ইসলামি শরিয়তে আত্মহত্যা করা হারাম। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন-
‘আর (হে মুমিনগণ!) তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।’ (সুরা নিসা : আয়াত ২৯)
আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত হাদিসকে উল্লেখ করতে পারি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবে, জাহান্নামেও তার সেই যন্ত্রণাকে অব্যাহত রাখা হবে। আর যে ব্যক্তি ধারালো কোনো কিছু দিয়ে আত্মহত্যা করবে, তার সেই যন্ত্রণাকেও জাহান্নামে অব্যাহত রাখা হবে।’ (সহিহ বুখারি, খণ্ড ২, হাদিস নং ৪৪৬)
ইসলামি অনুশাসনে যারা বিশ্বাসী তারা আত্মহত্যা করে কখনো নিজেদের পরকালীন জীবনে জাহান্নামে নিশ্চিত করতে চাইবেন না এটাই স্বাভাবিক। কোনো ধর্মই আত্মহত্যাকে সমর্থন করে না। তবে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন নিশ্চিতে এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
লেখক: শিক্ষার্থী, সরকারি বাঙলা কলেজ।
এমএসএম / এমএসএম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া
Link Copied