শান্তিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি : চরম দুর্ভোগে মানুষ

একের পর এক বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন হাওরপাড়ের মানুষেরা। বিপদ যেন আঁকড়ে ধরেছে তাদের। ফসলের ক্ষতির পর এবার ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রাস্থাঘাট ও ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে নাকাল উপজেলার পানিবন্দি পরিবাগুলো। পানি বৃদ্ধি চলমান থাকায় প্রতিনিয়তই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পাশাপাশি উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বন্যার কারণে ঘরছাড়া হয়েছে অনেক পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে দেখা দিতে পারে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের চরম সংকট। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় অনেকে ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। অসহায়ত্বে কাটছে তাদের জীবন। পানিবন্দি মানুষেরা হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। নলকূপ, গোচারণভূমি পানিতে প্লাবিত হওয়ায় গোখাদ্য নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
শুক্রবার (২০ মে) সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি পরিবারের মানুষরা কেউ কেউ ধান এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়ার কাজে ব্যস্ত আছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার চেষ্টাও রয়েছে প্রবল। গরু-ছাগল নিয়েও তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি চলমান থাকায় চারদিকে পানি থই থই করছে। এছাড়াও রাস্তাঘাট ডুবে গিয়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে মানুষের। ঢলের পানিতে উপজেলার ১৫টির মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে৷ এমন পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগে আছেন উপজেলার মানুষ। এভাবে বৃষ্টি চলমান থাকলে চরম বন্যা পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন পুরো উপজেলার মানুষ।
উপজেলার ডুংরিয়া গ্রামের সমিনুর বলেন, আমাদের গ্রামের প্রধান রাস্থাগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। আমাদের রাস্থায় হাঁটুপানি। চলাচলের একমাত্র বাহন এখন নৌকা। চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছি আমরা।
‘আমরার দুর্গতির কথা কইয়া আর কিতা অইত। বাড়ি পানির তলে গেছেগি। ফুরুত্তাইনতেরে লইয়া বিপদো আছি। আল্লায় জানইন ইবার কপালো কিতা আছে।’ আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন কাহার মিয়া নামে আরেকজন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেলিম খান বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলায় ১৫টি বিদ্যালয় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে৷ আমরা সার্বক্ষণিক তদারকিতে আছি। তবে এখনো কোনো বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ হয়নি। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন বলেন, ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর রাখছি৷ পানিবন্দি মানুষের তালিকা করে উপজেলায় পাঠানো হবে৷
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যা চলাকালে মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও আজ পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে শান্তিগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ বন্যার আশংকা রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই চাহিদা পাঠিয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব পানিবন্দি মানুষের মধ্যে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান বলেন, ইতোমধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের পানিবন্দি মানুষের তালিকা পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। উপজেলার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং যেসব মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ তারা আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেই আমরা ত্রাণ বিতরণ শুরু করব৷
এমএসএম / জামান

ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন

পটুয়াখালীতে ২০২৬ সালের জুলাই থেকে পূর্নোদ্যমে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করবে পায়রা বন্দর

চিলমারীতে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

মুরাদনগরে নারী উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কালিয়ার মাউলি পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় জরাজীর্ণ কক্ষে পর্দা টানিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

কুড়িগ্রামে গবাদিপশুর বীমা প্রকল্পের মাঠ কার্যক্রম সমাপ্তি ও ব্যবসা বৃদ্ধির পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

শান্তিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৬

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুদকের অভিযান

মান্দায় ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বিজয়র্যালি

পাবনায় ট্রাকের চাপায় এক গৃহবধুর মৃত্যু

রাঙামাটিতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

লাকসামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে করোনা ভাইরাস সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রেসমিট
