বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে খোলা মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট

কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। ঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সব ধরনের মার্কেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই খোলা রয়েছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটটি মূলত তিনভাবে বিভক্ত। এর একাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাইকারি বিক্রির বাজার। একাংশে একই ধরনের পণ্য বিক্রি হচ্ছে খুচরা দরে। আর এই দুইয়ের মাঝখানে পোশাক, গহনা ও গৃহস্থালি পণ্য বিক্রির দোকান।
মঙ্গলবার দুপুরে মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, পোশাক, ব্যাগ, জুতা, গহনা, প্রসাধনীর সবগুলো দোকান খোলা রয়েছে। পাশাপাশি মার্কেটের সামনের ফুটপাতের সব দোকানও খোলা।
গত সোমবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সব শপিংমল, মার্কেট, রিসোর্ট, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
প্রজ্ঞাপনের পরে গতকাল থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশের সব শপিংমল ও মার্কেট বন্ধ করা হয়। রাজধানীর সব নামিদামি মার্কেট ও বিপণি-বিতান বন্ধ রয়েছে। তবে ব্যতয় ঘটেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের ক্ষেত্রে। মার্কেটের সব ব্যবসায়ী তাদের দোকান খোলা রেখেছেন।
পোশাক বিক্রির দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। পাশাপাশি প্রসাধনীর দোকানে নারী ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। এছাড়া ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানেও রয়েছে ক্রেতাদের আনাগোনা। আর মার্কেট জুড়ে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি মানা বা সামাজিক দূরত্ব।
সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে দোকান খোলা রাখার কারণ জানতে চাইতে কথা বলতে রাজী হননি ব্যবসায়ীরা। উল্টো প্রতিবেদকের উপর চটে যান কয়েকজন। মার্কেটের একজন পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, 'আপনাদের এত সমস্যা ক্যান? আমরা খোলা রাখছি, আমাদের সমস্যা নাই। কাস্টমারের সমস্যা নাই। আপনারাই সব ঝামেলা বাধান।'
এদিকে পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একজন পোশাক ব্যবসায়ী ঢাকাটাইমসকে জানান, মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক মো. মিয়া চাঁনের অনুমতিতেই তারা মার্কেট খোলা রেখেছেন। মিয়া চাঁন মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
মার্কেট খোলা থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। মিয়া চাঁন দাবি করেন, পাইকারি ও খুচরা খাদ্যপণ্যের দোকান খোলা আছে। বাকি সব বন্ধ।
এই প্রতিবেদক মার্কেট পরিদর্শন করেছেন এবং পুরো মার্কেট খোলা রয়েছে বলা হলে মিয়া চাঁন বলেন, 'কয়েকটা দোকান খোলা থাকতে পারে। এগুলো দোকানদারা নিজেরা খুলেছে।'
দোকান খোলার রাখার অনুমতি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন মিয়া চাঁন। তিনি বলেন, 'আমি কাউকে দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেইনি। আমি মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমি সরকারের একটা অংশ। আমি তো সরকারের নির্দেশ অমান্য করতে পারি না।'
মার্কেট বন্ধে তার ভূমিকা কী হবে জানতে চাইলে মিয়া চাঁন বলেন, 'আমি ব্যবস্থা নেব। আজকে তো না। কালকে থেকে বন্ধ থাকবে।'
প্রীতি / প্রীতি

মোহাম্মদপুরে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত

তেজগাঁও মডেল হাই স্কুলের মেইন গেইট উদ্বোধন করেন সাইফুল আলম নীরব

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা এখন ডাকসুর নির্বাচনে

সেনা সদরের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছে গণঅধিকার পরিষদ

উত্তরায় খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের ষষ্ঠ দিনেও সক্রিয় অংশগ্রহণ মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিনের

মৃত্তিকায় প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

বারবার অভিযানের পরও থামছে না উত্তরা রেসিডেন্স আবাসিক হোটেলের অনৈতিক কার্যকলাপ

যানবাহনের ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বেসরকারি খাতে প্রদানে দূর্ণীতির আশঙ্কা

ডেমরায় নেশার টাকা না দেয়ায় বাবার সাথে ধস্তাধস্তিতে ছেলের মৃত্যু

নিয়ম অনুযায়ী ভবন নির্মাণ না করায় দক্ষিণখানে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান

সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মানিক ও যুবলীগ নেতা মনির (আলাল-দুলাল) দুই ভাই বেপরোয়া

নিটোরে বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস পালিত
