নদীভাঙন কেড়ে নিয়েছে ভিটে-জমি, দিন দিন ছোট হচ্ছে সদরপুর গ্রাম

দিনের বেলা সবার সাথে মিলেমিশে কাটালেও অন্ধকার নামামাত্রই চলে আসে মরণ ভয়। নদীভাঙনের তীব্রতা যে হারে বাড়ছে চিন্তা হয় তাদের কখন যেন ঘুমের মধ্যে পরিবারসহ স্বপ্নের নীড় চলে যায় নদীতে। আর তার সাথে তলিয়ে যায় পৃথিবীর আলো দেখার স্বপ্ন। এভাবেই অনুভূতি ব্যক্ত করেন সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার নাইন্দা তীরবর্তী মানুষরা।
বন্যার আগ্রাসনের পর নদীভাঙনের কবলে দিশেহারা শান্তিগঞ্জের নাইন্দা নদীর তীরবর্তী জনপদের মানুষ। নির্ঘুম রাত কাটানো এই জনপদের ২৫-৩০ টি পরিবার নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন৷ চুখের সামনেই নদী প্রতিনিয়তই গিলছে বতসভিটা। ঘোলা পানিতে ভেসে যাচ্ছে বেঁচে থাকার স্বপ্ন। পরিবার নিয়ে নদীর পাশে সুখের নীড় গড়ে তুললেও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে নদীভাঙন।
শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে সরেজমিন দেখা যায়, জয়কলস ইউনিয়নের নাইন্দা নদীর তীরবর্তী সদরপুর গ্রামের হতদারিদ্র পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেক বাড়ি ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। অনেক বসত ভিটায় বড়-বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় কখন যেন তাদের ডাক আসে নদীতে চলে যাওয়ার। সামনে পেছনে পানি থাকায় নদীভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে এই অসহায় পরিবারগুলো। এই মুহূর্তে ছেলেমেয়ে নিয়ে চিন্তার শেষ নেই তাদের। ভাঙনের কবলে এই পরিবারের এখন মাথ গোঁজার ঠাঁই নেই। অভিযোগ করে এসব পরিবার জানায়, ভাঙনে আমাদের সব স্বপ্ন তলিয়ে যাচ্ছে; কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখনো কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
কয়েক বছর আগে পাঁচ বিঘা জমি কিনে নাইন্দা তীরবর্তী সদরপুর গ্রামে বসতি শুরু করেন শ্যামল দেব ও তার পরিবার। প্রথম অবস্থায় জীবনযাপন সুন্দরভাবে চললেও পরে দেখা দেয় নদীর ভাঙন। এ দিকে প্রতি বছরই নদীভাঙনে বিলীন এমন একাধিক পরিবারের বসতভিটা। বারবার স্থান পরিবর্তন করেও রক্ষা মিলছে না তাদের। নদী দিয়ে বড় বড় নৌকা চলাচল করার কারণে ঢেউয়ে আঘাতেও ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, গত তিন’বছর এই নদী বিরামহীনভাবে ভাঙছে। ভাঙনরোধে নেয়া হচ্ছে না যথাযথ কোনো ব্যবস্থা। স্থানীয়দের দাবি, এখনো যদি পদক্ষেপ নেয়া হয় তবে নদীর তীরের মানুষেরা ফিরে পাবে বাঁচার নতুন স্বপ্ন।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, ভাঙনের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বরাদ্দ আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন বলেন, আমি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি৷ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান বলেন, নদীভাঙন রোধে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জামান / জামান

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

বগুড়ার শেরপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি

বোয়ালমারীতে প্রাণি সম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে হাঁস বিতরণ কর্মসূচি পালন
